‘পিটার প্যান’, একটি বিখ্যাত শিশুতোষ রূপকথা যেটি পরে একটি লেজেন্ড হয়ে যায়।
কিন্তু এর পিছনে যে কি পরিমান ডার্ক এলিমেন্ট আছে সেটা অনেকেই জানেন না। স্কটিশ লেখক জেমস ম্যাথিউ ব্যারি ১৮৬০ সালে লেখেন। তার ছোট ভাই মাত্র ১৩ বছর বয়সে মারা যায়। যেটা তার মা কখনোই মেনে নিতে পারেননি। ব্যারি তার মাকে এভাবে বুঝ দেন, “আমার ভাই বেচে আছে, সে এমন এক জায়গায় আছে যেখানে তার বয়স আর বাড়ছে না।” তার মা আমৃত্যু এই কথাটি বিশ্বাস করেছিলেন। এবং তিনিও সম্ভবত এটাই বিশ্বাস করতেন।
ব্যাক্তিগত জীবনে অসুখী ছিলেন ব্যারি। দুটো বিয়ের কোনটাই টেকেনাই। ২য় স্ত্রীর প্রথম পক্ষের বড় ছেলে ‘পিটার’ কে তিনি খুবই ভালোবাসতেন। এই ভালোবাসা নরমাল ছিলনা। তিনি একই সাথে সমকামী ও পেডোফিলিয়াক ছিলেন।
নভেলে তিনি সৃষ্টি করলেন “নেভারল্যান্ড”। যেখানে কারো বয়স আর বাড়েনা! আপনি যা খুশি তা করতে পারেন। পড়াশোনা করা লাগবে না। কোন রুল ফলো করা লাগবে না। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং পয়েন্ট ছিল এই জগতে যাওয়ার আহবানটা,যেটা পিটার করত এভাবে , “তুমি কি এমন কোথাও যেতে চাওনা যেখানে কোন নিয়ম নেই?, তোমাকে শুধু বাড়ি ছাড়তে হবে।” .. এটা হল সেই কথাগুলো যেগুলা লুসিফার তার অনুসারী অ্যাঞ্জেলদের বলেছিল।পিটারের পুরো নাম ‘পিটার প্যান’। প্যান হল গ্রীক মিথের ব্যাভিচারের দেবতা। মূল নভেলটিতে প্রচন্ড পেডোফিলিয়া ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে “নেভারল্যান্ড” আর কিছুই না ... লুসিফার যে নতুন জগত বানাতে চেয়েছিল আর প্যান যে পাপমহল সৃষ্টি করতে চেয়েছিল সেটারই সংমিশ্রন। মাইকেল জ্যাকসন এতোটাই অবসেসড ছিলেন এই কাহিনীতে যে তিনি নিজেই একটি "নেভারল্যান্ড" বানিয়েছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৩০