ব্ল্যাক ডেথ বা কালো মৃত্যু ! ইউরোপে চতুর্দশ শতকের এক ভয়াবহ লেজেন্ড। হিব্রু মিথের “নরকের সাত রাজপুত্র” এর একজন হল ‘বেলজিবাব’। সে প্লেগ,হতাশা আর ত্রিকোণমিতির ডেমন।তাকে মাছিদের রাজা বলা হয়। কথিত আছে কিছু ইহুদী পন্ডিত সরাসরি বেলজিবাব কে ডেকে আনতে পারেন। বেলজিবাব ক্ষমতাতে প্রায় শয়তানের সমকক্ষ।
যাইহোক ব্ল্যাকডেথের কারণ হিসাবে বিজ্ঞান চিহ্নিত করেছে প্লেগ বা মড়ককে।তিন ধরনের মড়ক বা প্লেগ দেখা দিয়েছিল ইউরোপে। ব্যুবনিক প্লেগ,নিউমোনিক প্লেগ এবং সেপ্টিসিমিক প্লেগ। কৃষ্ণমৃত্যুর নামকারণ সংক্রমণের লক্ষণ। কুঁচকির রক্তের মতো রংহীন পদার্থে সীমারেখায় ফুলে কালো হয়ে ওঠে, রোগীর শরীরে টিউমার দেখা দিত। এই টিউমারগুলোর আকার ছিল ডিম থেকে আপেলের সাইজ। মড়কটি ছিল ভয়ানক সংক্রমক। বিশেষ করে নিউমোনিক প্লেগটি। সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির দ্বারা নিউমোনিক প্লেগ সংক্রামিত হয় ফুসফুসে। সেপ্টিসিমিক প্লেগটি বিরল হলেও ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর। কেননা সেপ্টিসিমিক মড়কের অণুজীব সরাসরি রক্তে মিশে যেত। সুস্থ মানুষ রাতে বিছানায় গেল পরের দিন তাকে মরে পড়ে থাকতে দেখা যেত। নিউমোনিক প্লেগও দিন কয়েকের মধ্যে ভয়ংকর হয়ে উঠত। কৃষ্ণমৃত্যুর প্রাদুর্ভাবের আগে ১৩১৫ থেকে ১৩২২ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ানক এক দুর্ভিক্ষের কারণে চরম খাদ্যাভাব দেখা দেয়।
এই ব্ল্যাকডেথের কারণ হিসাবে তখন ইহুদীদের দায়ী করা হয়। বলা হয় যে ইহুদীরা বেলজিবাব কে ডেকে এনেছে।১৩৪৯ সালে রাইনল্যান্ড, স্ট্যাসবুর্গ, ফ্র্যাঙ্কফুট, মাইনয এবং কোলনে কৃষ্ণমৃত্যুর কারণ হিসেবে ইহুদিদের গণহত্যার সম্মুখীন হতে হয়
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪