এলাকার মফিজ জিপিএ ফাইভ পাওয়ার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলল। সে ভেবেছিল টেনেটুনে পাস করবে। কিন্তু রেজাল্ট দেখে চোখ চরকগাছ।
হায় আল্লাহ এইটা কেমনে হইল- বইলা চিৎকার করেই জ্ঞান হারায়। এমন আনন্দঘন মুহূর্তটা মাটি হয়ে যায়। তার বাবা-মা শুনে খুব খুশি। ছেলে জ্ঞান হারিয়েছে তো কি হয়েছে, জিপিএ ফাইভ বলে কথা। তাই এলাকার সবাইকে মিষ্টি বিতরণ করে।
মফিজের জ্ঞান ফিরে আসলে সে হাসি মুখে বাবাকে বলে, বাপজান এবার কিন্তু একেবারে বিয়া করাই দিবেন।
তার বাপ হেসে হেসে বলে, কয়টা করবি ক? তোরে আজই বিয়া করামু। জিপিএ ফাইভ পাইছোস, বলছিলাম যা চাবি তাই দিব।
-- হ, তাইলে আজই।
ধুমধাম করে মফিজের বিয়ে দেওয়া হয় সেদিন রাতেই। অবশ্য মফিজের নিকট প্রথম কেউ মেয়ে দিতে রাজি হয় না, পরে যখন জানতে পারে ছেলে জিপিএ ফাইভ পাইছে তখন রাজি হয়। সখিনাও খুব খুশি মফিজের মত মেধাবী স্বামী পেয়ে।
বাসর রাতে, মফিজ বলে- এই শোনো।
সখিনা বলে- কি, বলো?
-- তুমি আমাকে চুমু খাবে।
-- যা, দুষ্টু।
--জিপিএ ফাইভ পেয়েছি। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সখিনা তার গালে চুমু খায়।
বাসর রাতের আর কিছু বর্ণনা করতে চাই না। আপনারা কল্পনা করে নিন।
সকালে উঠে মফিজ আরেক দফা জ্ঞান হারায়। এবার কি হয়েছে? জিপিএ ফাইভ পর্যন্ত দেখে আর তো রেজাল্ট সে দেখে নি। সকালে আরেকবার চেক করতে গিয়ে দেখে সে শুধু জিপিএ ফাইভই পায়নি, গোল্ডেন এ+ পেয়েছে।
বারবার জ্ঞান হারানোর ফলে তার মাথা কিছুটা পরিষ্কার হয়। তার মনে পড়ে, সে টেস্টে ফেল করেছিল। এবার স্যার-রা দেখুক, সে কেমন ছাত্র। স্কুলে তো তাকে নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গ্যাছে।
মফিজের খানিক বাদে মনে পড়ে, সে তো বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করে নি। বাবার নিকট মাইর খাইতে হবে দেখে মিথ্যা মিথ্যা পরীক্ষা দেওয়ার অভিনয় করে যাইত। পরীক্ষা না দিয়েও সে গোল্ডেন এ+।
সে সহিসালামতে কলেজেও ভর্তি হয়ে গেল। শুধুমাত্র শিক্ষকরা ব্যাপারটা জেনেও চেপে গেল। কারণ গোল্ডেন এ+ তো স্কুল থেকে কেউ পায় নি।
মফিজের মাঝখান থেকে বিয়েটা হোল। অনেকদিন থেকেই তার শখ হয়েছে বিয়ে করবে। যাক, সে শখও পূরণ হোল।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:০০