১. বৃষ্টি
--
তোমরা শুনে রাখ, মহাসাগর থেকে জল যখন বাষ্পিভূত হয়ে মেঘের আকৃতি ধারণ করে, তখন সূর্যের তাপে তা গলে বৃষ্টিরুপে তোমাদের নিকট যায়। বৃষ্টির এক বিন্দু জল যখন কারো শরীরে প্রবেশ করে তার ভিতর থেকে ঐ জল পরিমাণ পাপ ধ্বংস হয়ে যায়। অথচ তোমরা বৃষ্টির সময় ছাতা ব্যবহার কর, ঘরের মধ্যে বন্দী থাক। তোমরা কি চাও না, তোমাদের পাপগুলো সব বৃষ্টির জলে ধূয়ে যাক।
২. জল
--
তোমাদের জেনে রাখা উচিত, মাটির অগভীরে জলের ধারা বয়ে যাচ্ছে, সমুদ্রের বহু বহু গভীরেও বয়ে যাচ্ছে, পাহাড়ে ঝর্ণা, এমনকি মনুষ্য শরীরেও বয়ে যাচ্ছে জল। সে জলকে তোমরা কিভাবে অবহেলা কর, যা তোমাকে জীবনী শক্তি যোগান দিচ্ছে। তবে কি ধরে নিব, তোমরা জীবনকে ঘৃণা কর?
৩. রক্ত
--
রক্ত শরীরের প্রত্যেকটা শিরা-উপশিরায় বয়ে চলেছে, জলের মত। সুই ফুটালেই তা গলগল করে বের হয়ে আসে। যে রক্ত নিয়ে বেঁচে আছো, তা রাজপথে দেখলেই কেন অত ভয় পাও?
৪. মদ
--
গাঁজনকৃত আঙ্গুরের রস থেকে সৃষ্টি হয়ে যখন বোতলে প্রবেশ করে, তখন তোমরা তাহাকে গ্রহণ কর শরীরকে ভারসাম্যহীন করার উদ্দেশ্যে। কেন মদই পান করতে হবে, শরীরকে ভারসাম্য করার উদ্দেশ্যে অমৃত পান কর, যা শরীর ও মন উভয়কে ভারসাম্যহীন করে দিবে।
৫. দুধ
--
মায়ের দুগ্ধগ্রন্থি থেকে উৎপন্ন পানীয়। যা অতি স্বর্গীয়, অতি সুস্বাদু। ইহার কথা কিভাবে ভুলে যাও, যখন বড় হয়ে পশুর দুধ পান কর।
৬. বীর্য
--
সেমিনাল ভেসিকল থেকে উৎপন্ন অঘনীভূত, ঈষৎ ক্ষারীয়, আঠালো জেলির ন্যায় জৈব তরল পদার্থ, যা সন্তান উৎপাদন করে ডিম্বাণুর সঙ্গে সঙ্গমে। তোমরা কি জানো না, ইহা কত শক্তিশালী, এর চেয়ে অধিক শক্তি আর কিসের আছে দেখাও, যা জীবন দিতে জানে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৩