ভাইজান, আজ লাগাইতে যামু। বলেই ফোকলা দাঁত বের করে হাসিব হাসে। তার কথায় বিরক্ত হয়ে লিটনের কপালে ভাঁজ পড়ে। চোখ দু’টো বড় বড় হয়ে যায়। সে বলে, মানে?
মাগী পাড়ায়, ভাইজান। আপনে যান নাই, কোনদিন? আবার হাসে সে। দিন ভর গঞ্জিকা টেনে টেনে ঘরের মধ্যে পড়ে থাকে। রাত হলেই বের হয়। উদ্দেশ্য মাগী-পাড়ায় যাওয়া।
ঐ রকম নোংরা জায়গায় আমি যাব?
সরি, ভাইজান। তয়, আপনের মত অনেকরেই দেখি তো, তাই ভাবলাম। এবার আর হাসে না। চোখ দু’টো নিচের দিকে নিয়ে সিগারেটের পড়ে থাকা প্যাকেট দেখতে থাকে।
কখন যাবা?
এহনই। আপনে যাইবেন? আবার সে হাসে। হয়ত ভাবে একজন সঙ্গী পেলে মন্দ হবে না। টাকার পরিমাণ কমানো যাবে।
নোংরা জায়গায় আমি যাব! যাও যাও, চোখের সামনে থেকে যাও।
বড়ই শান্তির জায়গা, ভাইজান। বুঝলেন না। বড়ই পবিত্র তারা। পবিত্র বেশ্যা কইতে পারেন। বলে সে উঠে দাঁড়ায়। লিটনের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে। চোখ মনের কথা বলে, সে চেষ্টা করে সেই কথাগুলো বোঝার। ব্যর্থ হয়।
রাতের বেলা লিটন ল্যাপটপের সামনে বসে আছে। দু’টি চোখ তার স্ক্রিণে, বা’হাত দিয়ে লিঙ্গ কচলাচ্ছে। হেড ফোনের মাধ্যমে পর্ণস্টারের শব্দগুলো ব্রেনে ঢুকিয়ে নিচ্ছে। স্বপ্ন দেখছে ছেলেটির জায়গায় সে নিজে। লিঙ্গকে উঠা-নামা করাচ্ছে দ্রুত গতিতে। নিজের ভিতর থেকে গুঞ্জণ বের হয়ে আসছে। ‘‘ইয়েস, ইয়েস’’ শব্দ বাজছে তার কানে। সেই মুহূর্তে বা’হাত সরিয়ে নেয় লিঙ্গ থেকে। বিছানায় শুয়ে পড়ে। ল্যাপটপের স্ক্রিণে তখন ছবিগুলো দেখা যাচ্ছিল, চলতেই থাকে, নীল ছবি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৫