রোজ রোজ আমাকে দক্ষিণের জানালাটা ডাকে। প্রচন্ড ডাক। মধ্যরাতের ঠিক একটু আগে, যখন পাখিরাও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন জানালা আমাকে ডাকে। আমি কিছুতেই নিজেকে আটকে রাখতে পারি না। সহ্য হয়ে গ্যাছে। আর হবেই বা না কেন?
মধ্যরাতের ঠিক একটু আগে, আমি জেগে গেলাম। প্রত্যেকদিন রাতে জাগি না। জানালা ডাকলে তবেই উঠে পড়ি। চিলে-কোঠার একটি মাত্র কক্ষে আমার বসবাস। ছাদের অর্ধেকটা চিলে-কোঠা, বাকিটা খালি। ব্যাচেলর লাইফ দারুণ-ভাবেই কেটে যাচ্ছে। সঙ্গে এমন জানালা থাকলে তো কথাই নেই। চোখ কচলাতে কচলাতে জানালার নিকট পৌছালাম। ওপাশ থেকে সামান্য গোঙ্গানির শব্দ হচ্ছে। আহা! মিস করলাম নাকি। জানালার পাল্লাটা কাঠের। দুই পাল্লার ঠিক মাঝখানে, যেখানে পাল্লা দু’টি মিলিত হয়, সেখানে এক চোখ পরিমাণ ছিদ্র রয়েছে। সেই ছিদ্রতে চোখ রাখলাম।
প্রথমে কিছুই চোখে পড়ল না। আরে, ভয় পেয়ে গেলাম।কি হল, নেই নাকি, সে? একটু পরে আওয়াজ শুনতে পেলম কে যেন দরজা খুলে ঢুকছে। ধীরে ধীরে রহস্য উম্মোচন হল। দেখি সাদিয়া ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে। আমি চোখ সরিয়ে নিলাম। যদি টের পায়। তার পিছু পিছু আরেকজন আসছে। এই লোকটাও নতুন। সাদিয়া এত নতুন নতুন মাল কই থেকে পাই? নিজেকেই নিজে জিজ্ঞেস করলাম। লোকটার গতি তীব্র। সে সময় নষ্ট করল না। সাদিয়ার জামা-কাপড় খোলা শুরু করে দিল। আমিও আমার কাজ শুরু করে দিলাম। সম্পূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে প্রত্যেকবারের মত জানালাকে ধন্যবাদ দিলাম। আরো বললাম, এমন ছিদ্র যেন প্রতি জানালায় জানালায় থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০২