
বৃক্ষের জন্য পত্রের আত্ম-ত্যাগ যে প্রথায় অনুবর্তন, কবিও সেই সৃষ্টির সার্বিক প্রক্রিয়ার অনুগত। ফলে অর্থ উৎপাদনের প্রক্রিয়া অনর্থকে বাজিয়ে দেখবে। যা কিছু অর্থের গায়ে মরচে ধরিয়েছে তাকে সাফসুতরো করবে। সেই কাজ শুধু শব্দের নয়। তার সাথে জুড়ে আছে জীবন, আছে বহাল সম্পর্কের সাথে জীবন্ত বিচার প্রক্রিয়া। সেই জন্য এখানে নিকাশের দায় থাকে। কবিতা এমন করে মানুষের জীবন আর প্রতিষ্ঠানে যা কিছু অর্থহীন হয়ে গেছে তাকে নিষ্কাশিত করে, করে এসেছে।
(বইয়ের ফ্লাপ অংশ, লিথেছেন : জাভেদ হুসেন)

ব্লগে অপ্রকাশিত একটি কবিতা : রোদ
দু’পা ফেলি আবার পিছলে পড়ি
এমনই ভেজা পথ; কী করি—
ওঠে না রোদ দিনের পর দিন।
বাবা জমি চষে, বীজ বোনে—
এক সময় ক্ষেত ভরে ওঠে রোদে;
আমাদের আঙ্গিনায় রোদ নেই।
মা কারখানায় চাকা ঘোরায়—
উৎপাদন হয় লক্ষ লক্ষ টন রোদ;
আমাদের আঙ্গিনায় রোদ নেই।
আমি রহমতপুরে পাথর কাটি—
অজস্র ধারায় নামে চড়া রোদ;
আমাদের আঙ্গিনায় রোদ নেই।
ভাই দূরের শহরে সুইচ টেপে—
রোদে ভরে ওঠে গুদাম ঘর;
আমাদের আঙ্গিনায় রোদ নেই।
বোন গার্মেন্টসে কাটিং করে—
উৎপাদন হয় অজস্র উত্তপ্ত রোদ;
আমাদের আঙ্গিনায় রোদ নেই।
মালিকের অনেক গুদাম ঘর—
গুদাম ঘর ভরা রোদ আর রোদ
আমাদের আঙ্গিনায় রোদ পড়ে না
আমাদের কালিঝুলিমাখা গায়ে
রোদের তাপ লাগে না
কিন্তু দিনের পর দিন আমরা
উৎপাদন করি সীমাহীন রোদ।
আমার ছবি :

প্রতিস্থান :
@ সূচীপত্র, ষ্টল নং- ২১১, ২১২, ২১৩
@ উলুখাগড়া, (লিটল ম্যাগাজনি চত্বর)
সবার প্রতি অনেক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা রইলো :
