রাত ১টা বেজে ২৩ মিনিট।
প্রতিদিনকার মতো শুভ্র নিজের রুম অন্ধকার করে বিছানায় শুয়ে আছে।
অন্ধকার বরাবরই শুভ্রর খুব প্রিয়। নিজেকে কেন যেনো একা একা খুঁজে পেতে ভালোবাসে সে।
তো শুভ্র বরাবরের মতোই সোশিয়াল মিডিয়া আর আইটি বিষয়ক ওয়েবসাইটে ঘাটাঘাটি করছে আর চিন্তা করছে।
শুনতে কেমন যেনো লাগলেও শুভ্র কিভাবে কিভাবে একসাথে কয়েকটা কাজ কিভাবে করতে হয় তা নিজে থেকে শিখে নিয়েছে। এবং সে নিজেকে এর জন্য যে কত হাজার সংখ্যক বার বকাঝকা করেছে তা কল্পনাতীত।
রাত ১.৫৬ শুভ্রর সব কাজ শেষ । মোবাইল টা পাশে রেখে সিলিং ফ্যানের দিকে অন্ধকারেই তাকিয়ে রইলো। কল্পনার জগতে ডুবে গেলো সে।
বরাবরই তার চিন্তাভাবনা ফ্যান্টাসি সবকিছুই একমাত্র কাজল কে নিয়ে ।কাজল,শুভ্রর একমাত্র ভালোবাসা।দেড় বছর হলো ওদের সম্পর্ক টা।
কাজল কে শুভ্র এতটাই ভালোবাসে যে কাজল কোনোদিনও জানতেই পারে নি শুভ্র তার জন্য নিজের লাইফের কত কিছু মিস করে গেছে।
কাজল কে নিয়েই শুভ্রের পৃথিবী। সারাক্ষণ তো কাজল মাথায় থাকেই, ঘুম থেকে উঠা থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এমন কি ঘুমের মধ্যেও সে কাজলকে নিয়ে ভাবনা ছাড়তে পারে না।
শুভ্র ভাবে, ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে।মনের মধ্যে সবসময় ভয়,ভবিষ্যত কি?
শুভ্র স্বপ্ন দেখে। কাজল কে নিয়ে একসাথে বাঁচার স্বপ্ন।
ছোট্ট একটা পরিবার। নতুন একটা পৃথিবী। যেখানে মাত্র দুজন মানুষ। সাথে ছানাপোনা। আরো কত কি?
কিন্ত বাস্তবে শুভ্র অনেক ভীত। যখন সে বাস্তব নিয়ে ভাবে তখনই মাথা টা কেমন যেনো খালি হয়ে যায়।চোখ দুটো ঘোলা হয়ে যায়।নোনটা জল টা অনেক কষ্ট করেও বের হতে পারে না।
শুভ্র জানে কাজলকে সে পাবে না। মাঝে মধ্যে মাথার মধ্যে পোকাগুলো গিজগিজ করতে থাকে। নালীগুলো,শিরাগুলো যেনো মাথার মধ্যে ফুলে উঠে। কিন্তু শেষ পরযন্ত মাথায় বিস্ফোরণ টা হয় না।
শুভ্র বেশিদিন বাঁচবেও না। মন থেকে এটা সে মানে।আর মন থেকে যে মরে যায় সে তো মৃতই।
,,,,,,,,,,,,,,,চলবে
এই গল্পেরই অংশ,
অপ্রকাশিত কাজল কথন-LINK
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৯