তোমার ঠোঁটে মহাবিশ্বটাকে হেলে পড়তে দেখি
তোমার বুকে আমি চিরদিন পুড়ে ছাই হবো
ঐ কাজল চোখের আলোয় চলব দীর্ঘ পথ-
আর তোমার কান্নার স্রোতে ভাসাব যৌবন।
তুমি একদিন শহর কিংবা গ্রামের মত ছিলে
ছিলে সেদিন নৃত্যপাগল ঝর্ণার মত জাগ্রত।
আরেকদিন মরুঝড়ের মত ঘুমিয়ে থেকেছ
সেদিন ছিলে অনন্ত নক্ষত্রের অসীম নীলে।
দু’বাহু প্রসারিত করে ছিলে এক রাতে,
যখন একটি উজ্জ্বল তারা খসে পড়েছিল।
তারপর ঊনিশ বৎসরকাল লাটিমের মত ঘুরছি
যেন আর থাকতে নেই কোন বাসনা হৃদয়ের
যেন জীবন গিয়ে ঠেকেছে মহাকালের স্তনেে
নেই আঙ্গুরের রসে নেশাতুর ধমনীর কোলাহল।
আমি এখন উদাস ঘুরে বেড়াই পাহাড়ে ও বনে
কিংবা গোলাপ-বেলী-গাঁদার নাভীমূলে খুঁজি
তোমার যোনীর তরঙ্গ- যেন হিমালয়ের চূড়া
এবং গজল শুনছি, শোনাচ্ছি মৃতগত অনুভবে!