তোর কথা শুনলে আমার ঘেন্না হয়
কারণ তুই হচ্ছিস কলুষিত অমানুষ
তুই পাপী, তুই মাংস, তুই লজ্জা
তার উপর নেই তোর কোন শিঁড়দাড়া!
এবং যে কোন সময় তুই খুনী হয়ে যাবি
যে কোন অন্যায় তোর হাসির খোরাক
বুকে রেখে হাত বল দেখি: সুন্দর।
না, হয় নি- তুই আসলে এখন মৃত
তুই সবকিছু ভেঙ্গে ফেলে রেখেছিস
তুই কিছু কখনো গড়তে শিখিস নি
আর ধীর লয়ে চলছে তোর ধ্বংসলীলা
তোর ভেতর যে কোন একটি শব্দও নেই
তবুও তুই কিছু কখনো অনুভব করিস না
তোর কেউ নেই, ছিল না, থাকবে না
এ পৃথিবীকে নিয়ে যাবি ভয়ঙ্কর মৃত্যুতে?
অথচ তুই করছিস না কিছু কখনো কোথাও
এই নে তোর স্বল্পায়ু প্রাণে আমি থুথু দিই
তোর বিরামহীন ক্লান্ত মুখে মহাজাগতিক বিষ্ঠা
কারণ তুই অন্ধকারে পচা অন্ধ পোকার মতো
ধীরে ধীরে তলিয়ে যা, ডুবে যা বিস্মৃতির গর্ভে।
আমি ভুলতেই পারি না তোর ভেতর ছিল পাখি
যে তোকে একা ফেলে চলে গছে দূরে বহু দূরে
আর তুই বিদ্যা-বুদ্ধিহীন একদম চিরদিনের একা
আজ তুই চির অযোগ্য, মৃত্যুকামী আহাম্মক
স্মৃতিহীন তোর অকৃতজ্ঞ হৃদয়ের বিচলিত কান্না
তুই শূন্যতায় শূন্যতার চাষবাসে লিপ্ত আজ
নোনা জলের তৃষ্ণা কি আজও নেই তোর?
নেই কি প্রেম কিংবা ভালবাসার আহ্লাদ?
বৃষ্টি আর নদীর গন্ধে ঘুমিয়ে থাকার সাধ-
অভিশপ্ত পাথরের ভেতর পালাতে গিয়ে
স্নানহীন অবিশ্বস্ত ফুলের জন্য উল্লাসে ফেটে পড়া
আর তারাভরা সঙ্গীহীন রাতের ভয়ঙ্কর ধিক্কার
এই তোর চির জীবনের নিয়তি: কি ভীষন গরীবরে তুই!