এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে ভুল করলো বরিশাল বোর্ড (!)
চোখের জলে ভেসে গেলো প্রায় ১৪০০ পরিবার। চঞ্চল সব
ছেলেমেয়ে গুলো চিরদিনের জন্য নিশ্চুপ হয়ে গেলো। ছেলে বা
মেয়েকে নিয়ে গর্ব করা বাবা-মা বাহিরে কারো সাথে কথা বলতে ভয় পায় এখন।
যদি কেউ ছেলে বা মেয়ের পরীক্ষার ফলাফল জানতে চায় সেই ভয়ে !
যেই ছেলেটা পরীক্ষার পর সবাইকে এ+ পাবে বলে বেড়িয়েছে সেই
ছেলেটা দেখলো তার ফলাফলের খাতায় F গ্রেড ! পরীক্ষায় ফেল করায় ঘৃণায়
সোজে দৌড়ে গিয়ে ৭ তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে পড়ে আত্মহত্যা !
আমার এক প্রিয় শিক্ষক এখনও মনমরা হয়ে থাকে এই ভেবে যে, এলাকার সবাই
জেনে গেছে তার পড়ানো বিষয়টাতেই ছেলেমেয়েরা সবথেকে বেশি
খারাপ করেছে।
সেদিন এক ছেলে দৌড়ে এসে বললো, "ভাইয়া শিক্ষাবোর্ড থেকে একজন
অফার করেছে তাকে ২ লক্ষ টাকা দিলে আমাকে এ+ পাইয়ে দেবে"। আমি
নির্বাক হয়ে গেলাম। ভাবছিলাম বাবা'র টাকা থাকলে আমিও এই পন্থাটাই অবলম্বন করতাম !
এত কষ্ট করে পড়াশোনা করলাম কেন সারাজীবন?
আমাদের দেশের মিডিয়া এই খবরগুলো খুব কম প্রকাশ করে। ফলাফল প্রকাশের
দিন তো সংবাদপত্র গুলো হাত উঠিয়ে ছবি তোলা মেয়েদের ছবি ছবি ছাপিয়েই
খালাস !
দুঃখ লাগে তখন যখন ভাবি, মরে যাওয়া ছেলেটার জন্য শিক্ষাবোর্ডের বিরুদ্ধে
কোনো আন্দলন হয়নি দেশের কোথাও ! আচ্ছা, এই ছেলেটার জায়গায় যদি
আপনার ভাই থাকতো? কী করতেন তখন? পাগল হয়ে যেতেন। কেননা ফেল
করার অপবাদ নিয়ে মরে যাওয়া ছেলেটি এ+ পেয়েছিল !
আমরা আসলেই ভীতু হয়ে গেছি। এর থেকেও বেশি হয়েছি মাথা মোটা। এর
অবসান দরকার। না হলে প্রতিবছর হাজারো প্রতিভাকে হারাতে হবে এই দেশটার।