সুন্দর একটা সকাল দেখে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। সাইবার ক্যাফেতেও ফুরফুরে মন নিয়ে ঢুকলাম। ইউকের ভিসা পাওয়ার তারিখ পার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোন রেসপন্স পাচ্ছি না এমবাসি থেকে। সরাসরি যোগাযোগে ওয়েবসাইট থেকে রেজাল্ট দেখে নিতে বলে। কথা বলতে তাদের নাকি মুখে ব্যথা হয়। প্রায় ১৭ হাজার টাকা ভিসা ফি দিলাম তাও তাদের মন ভরে না। নাহ, আজও রেজাল্ট হলো না।
সুযোগ পেলেই তিনটে ব্লগ চেক করি। সামহোয়ারইন, সচলায়তন এবং আমারব্লগ। আমারব্লগে ঢুকেই বিব্রত হলাম। চারদিকে এত এত নোংরামি, মানুষ এত নোংরা হয়? ছি! ছি! বিষয়টা কি আসলে?
যুদ্ধপরাধীর বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী হাতে নিয়ে মাঠে নামে দুই ব্লগের ব্লগারগন। প্রথম ফর্ম গুলির নিচে সামহোয়ারইনব্লগে ঠিকানা এখনো জ্বলজ্বলে। দ্রুত যোগাযোগ এবং ফর্মগুলো ডাক ঠিকানায় ব্যবহার হয় আজিজ সুপার মার্কেটে ব্লগার রাহার কিংবদন্তির ঠিকানা।
উদ্যোক্তা হিসেবে জামাল ভাস্কর যখন গণস্বাক্ষর কর্মসূচীর পরিকল্পনা করে শুরুতেই এগিয়ে আসে ব্লগার আইরিন সুলতানা, কৌশিক আহমেদ, রাসেল......., বৃত্তবন্দি, শফিকুল, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, নাঈম সহ অনেকেই । পরবর্তীতে মঞ্জুরুল হক এর যোগদান, সুশান্তের তহবিল যোগানসহ অরণ্য আনাম এবং তার দলের অমানুষিক পরিশ্রমে আজকে প্রায় ৪ লক্ষাধিক স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়।
কিন্তু এখন কি হচ্ছে?
পিয়াল, জেবতীক, রাসেলরা প্রধান মন্ত্রীর উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করে। আর এই তিনজনেই সেই ব্লগের রেসিডেন্ট ভার। যেখানে নেই জামাল ভাস্কর – যিনি উদ্যোক্তা ছিলেন। নেই কৌশিক, নেই আইরিন সুলতানা সহ অনেকেই।
নাট্য মঞ্চ থেকে প্রথমে দেখলাম কৌশিকের সাথে নোংরামি করে কর্মসূচী থেকে আউট করা হলো। এর পর এখন আইরিন সুলতানার চরিত্র হনন। হিমু এসে জামাল ভাস্করকে নিয়ে নোংরামি করে তাকেও নিস্তেজ করে দেয়।
চতুরতার সহিত পুরো কর্মসূচীটাকে সামহোয়ারইন ব্লগ থেকে আউট করে আমারব্লগ কেন্দ্রীক করে তার ফল ঘরে তোলার প্রক্রিয়াধীন।
জয়তু এ টিম ও তার চেলা চামুন্ডারা।