তখন সন্ধ্যা। মোজা দুটো পড়া বাকি ছিল। ফোন পাওয়া মাত্র ওদু্টোও পড়ে ছু্টলাম চীন মৈত্রীর দিকে। আগমীকাল সম্মেলন অথচ এখন নাকি কারা ঝামেলা শুরু করেছে। লোকজন যে যেখানে আছে খবর দিয়ে বাসে উঠলাম। ঝামেলা করছিল পুলিশ। কেউ ঝামেলা করতে পারে এ আশংকা আগেই ছিল। ঝামেলা হলোই তবে ঠিক আগ মুহুর্তে যখন প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা হোক, রাত দুইটায় যখন বাসায় ফিলরলাম তখনো আশা নিরাশার দোলা। সম্মেলন কেন্দ্রে তখন রেখে এসেছি অন্তত পাঁচশ উদ্বীগ্ন ভাইদেরকে।
অবশেষে অন্ধকার রাত পেরিয়ে শুভ্র সকাল শুরু হলো। ধৈর্য আর আল্লাহর উপর নির্ভরতাকে সাথে নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করলেন আয়োজকবৃন্দ। পুলিশি বাধা পেরিয়ে আশংকা দূর করে সকাল দশটায় শুরু হলো বাংলাদেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন। সফল হোক সম্মেলন। দেশ জাতি ও মানবতার কল্যাণে নতুন কোন ঘোষণা আসবে, কর্মসূচি আসবে এটিই সকলের প্রত্যাশা।
সম্মেলনে মোট দুটি অধিবেশন হবে। প্রথম অংশ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, দ্বিতীয় অংশ সাংগঠনিক কার্যক্রম। সাংগঠনিক কার্যক্রমে বিগত বছরের কাজের পর্যালোচনা, নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচন, সভাপতির শপথ গ্রহণ, ও সেক্রেটারী জেনারেল মনোনয়ন হবে।
এখন চলছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সকাল ১০ টায় শুরু হয়েছে। একে একে মেহমানবৃন্দ বক্তৃতা দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। সম্মেলন থেকে একটি ডিক্লারেশন পাঠ করা হয়েছে। চেষ্টা করবো এ পোস্টে নিয়মিত আপডেট দেবার ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:২১