ও আলো! আমায় ছেড়ে দে।
অন্তর্যামী আঁধারের নখে ডুবে থাকা
গতকাল বিকেলের শেষ রোদ্দুর বিন্দুটিও
আর সহ্য হয় না।
তোর কারণে আজ আমার
সহস্র রোদনের অস্তিত্ব কেঁপে ওঠে।
চোখ জোড়া পঙ্কিল সমুদ্রে পা ডুবিয়ে বসে আছে।
বিধাতার সন্যাসীরা কালো তালিকায় ফেলে দিয়ে বলে,
“বড্ড উচ্ছন্নে গেছিস তুই”।
আমি তো ছায়াপথের করুণ অশ্রু দেখেছি।
দেখেছি শীতের নির্জন ডাল,
ঠাইহীন পাতাগুলোর এলোমেলো শোক।
এসব দেখে আলোর কুটিরে হাসি ঠাট্রার রোল পড়ে শুধু।
ও আলো! আমায় ছেড়ে দে।
আমি আজ শীতের হিমাদ্রি খুঁড়ে
বিষাদের টানেল বানাবো।
যার শেষ বিন্দুতে আলো পৌঁছবেনা কোন দিন।
আঁধার আমায় কখনই প্রশ্ন করবেনা,
“কামনার ওজন কত”?
পাপের পদটীকাগুলো বারবার বিশদ রচনার আশ্রয় চায়।
“নিশিতে রচিত হও তুমি”,
হে পাপ!
হয়তো সেখানেও থাকবে
বিধাতার উগ্র সন্যাসীরা।