মাঝরাতে হাতের মোচড় খেয়ে দুর্বল মরীচিকাগুলো ঝরে পড়ে।
গন্ধরাজের ফলন্তী বুকের চপল হাসি ঝিরঝির বয় যেন।
টলমল নৌকার দুপাশে কবিতার স্পষ্ট পায়ের আওয়াজ!
একই সময়ে, একই মুহূর্তে। সুবোধ বালকের মত তন্দ্রারা ঘুমিয়ে পড়ে।
সে ঘাস ফড়িংয়ের মত বিক্ষিপ্ত পথ চলে না। লাজুক পায়ে আগপিছ করে আসে।
লাজুক মোহিনীর অন্তর্জাল বড় উতলা! কাব্য ঝড়ে গ্রহানু নুয়ে যায়,
পাগুলো দুর্দান্ত টাইফুন হয়, শিরায় শিরায় কাঁচা বীজের অঙ্কুরোধ হয়।
আবছা হয়ে আসা সুখ অনন্তে পাটগুলো যেন শুধু পাক খেতে থাকে।
ভাবলেশহীন অথচ উৎসুক ডোরাকাটা চোখ, হাঁটু থেকে বৃদ্ধাঙ্গুলতক অনাদিকাল নড়ছে,
উড়োজাহাজে করে উড়ছে হৃদয়। কিন্তু সব কিছু ঘোলা ঘোলা দেখা যায়।
এ গন্তব্যের বোধ হয় কুল নেই। নাকি আমি অপরিপক্ক?
নিরন্তন হয়তো চেয়ে থাকব। তরুলতার মত এ-ডাল ও-ডাল করে বড় আর হতে পারিনি,
বড্ড পেঁচিয়ে গেছি। ভাবছি, উপরে উঠলেই এ দুনিয়া হারাব।
পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে তাই আকারটা বনসাই করেছি।
সারাক্ষণ কাব্যের জলপ্রপাতে শব্দের ছলছল শুনি।
কেন যানি ভালো লাগে। উদাস লাগে। বেঁচে থাকতে ইচ্ছে হয়।
দু’হাত এখনও ‘ক’ আর ‘ব’-এর ঘাড়ে।
তন্দ্রাদের পাহারায় বসিয়ে হয়তো এখনই ঘুমিয়ে পড়ব।