রাতের একান্ত আঁধারে তারারা লণ্ঠন জ্বালাবেনা আর বেশিদিন।
অনভিজ্ঞ কাফেলা দিশে হারিয়ে দিগ্বিদিক ছুটবে উদভ্রান্তের মত।
মরু লু হাওয়ার ছিটে ছিটে গতি ঢেকে দেবে টোল পড়া সোনালী বালির অসীম দিগন্ত।
অজাতশশ্রূ অন্তরে দাগ পড়বে। মালকোচা মারবে বরেন্দ্র জাদুঘরের পুরোনো মুর্তিগুলো।
শীত-গ্রীষ্ম-বসন্ত মিলে চক্রান্ত আঁটছে, বায়ুরসে অনুভুতিশূন্য আবেশের ঔষুধ গুলিয়ে দেবে।
সাদামাটা মানুষগুলো হঠাৎ ক্ষিপ্ত হবে, চলে যাবে হুমায়ুন আজাদ স্যারের আশঙ্কার মত—
নষ্টদের অধিকারে।
দু’চোখের করুণায় থুথু ছিটাবে। বালি দিয়ে ভরাট করবে ধানমন্ডির নির্মল লেক।
কলমের নিবগুলো ঘুরবে গাধার পিঠে চড়ে, নিরস আবৃত্তি বেরুবে সেসবে।
ধুম্রকুণ্ডলী তাজা তাজা কয়েক পাক দেবে, একগুঁয়েমির নেশা ছড়াবে। পণ করবে—
পূণ্য আকাঙ্খার সতিত্ব নষ্ট করার।
সেদিন তুমি আমি, যারা ধোঁয়া দেখে ব্রেক কষিনি, অশান্তি আমাদের চাবকাতে থাকবে।
গভীর ঘুমে আমি তোমার মাঝের বড় আঙুলটি ধরতে যাব,
অমনি লাফিয়ে উঠে স্পর্শের মাদকাতায় জল ঢেলে দেবে। সারারাত থাকব তন্দ্রাহীন।
অভিমানের ক্ষুদ্ধতা এখনই তোমায় নিরস করে দিয়েছে। ভাবতে পার—
সেদিন কি হবে?
যেদিন সবকিছু চলে যাবে নষ্টদের দখলে।