আশার সমুদ্রতটে গড়িয়ে বালু ছাড়া পাইনি কিছু।
ভাটার পর জোয়ারের প্রতীক্ষা,
সে জোয়ার এসেছিল বটে,
সৈকতে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দিতে।
শুকনো মৌসুমের পর বর্ষা,
কালো মেঘের রাগী চিৎকার,
ভরা দুর্যোগের আর্ত ডাকও সে শুনলনা।
হঠাৎ হৃদয়ের বৈকুণ্ঠে আনন্দ জ্বালিয়ে জাগল সে।
নিশ্চুপ সকালে অপরিচিত হাঁসিটি ঘোলাটে করে দিল সব।
ঘোরের টানে পেছনে দৌড়েছি অনেক,
কিন্তু বিভোরের লগ্নটিও মহাজনি আচরণ ফলাল।
হাহাকারের তীব্র বেগ ব্যাকুল সত্ত্বার প্রতিটি তন্ত্র কামড়ে ধরল।
অনুভুতির সবকটি কণা চিবিয়ে নিঃস্বাড় খোলসে অভিযান চালাল।
নিজেকে শুধালাম,
তার পেছনে ছুটে লাভ কি?
কিন্তু ঘোরের তমশা কাটছেনা আর,
কত আর আপনাকে ছোট করা?
যত চাই লুকোতে,
পেছন থেকে ঝাপটে ধরে আমায়,
অজানা এক বাসন্তী উত্থান।
দুর্বল শিহরণগুলো আঁধার পল্লীর আঁচলে ফিরে চলে।
সেখানে লুণ্ঠন জ্বালালাম,
যদি বা তার দেখা মিলে।
দেশলাই ফুরে আসল যখন,
ভাবলাম, কিবা এমন সে?
অচ্ছুত কিছু তো নয়,
অগণিত নয়নের কামনাই হয়ে থাকবে।
কিম্বা মুমুর্ষ ঝর্ণার দুর্বল গতি।
মনে লয়ে তীব্র অভিমান,
ছুটলাম আমি নিজ লোকালয়ে।
গহীনের রোনাজারী বন্ধে পাথর চাপা দিলাম।
কিন্তু পাথর উপচেও পানি গড়ায়।
ভুলে থাকা দায় হলেও থাকব ভুলে।
আর ভিড়াবোনা সে সৈকতে মোর তরী।
তার অধিকারের পত্র পল্লব মাড়াবোনা।
সে আমায় উৎকট ভেবে নাক সিঁটকেছিল।
বুঝলাম, ভালোলাগার প্রণয় ঝুলিতে কামনার পোটলা ছাড়া কিছু নেই।
মুখে ক্রুড় হাঁসি নিয়ে জীবন রেলের শেষ বগিটিতে উঠলাম।
দেরী হলেও পৌঁছুতে হবে গন্তব্যে,
পাখির কুজন তো থাকবেনা থেমে।
হিমালয়ের চুড়ায় উঠাও থামবেনা।
ভাবনারা শক্তি জোগালো শেষে,
প্রণয়ের পাজরে কষে লাথি মেরে চললাম,
দুরন্ত গতিতে...