মুক্তি তুমি,
বদ্ধ কপাটের তালার ওপর বারকয়েক ধপাস ধপাস,
মুষ্ঠি হাতের তীব্র গতি জালিমের সর্বনাশ।
নীল কালিমা আছড়ে ফেলে সীসার টগবগানো,
তপ্ত বালির অশ্বারোহীর বেদুঈনী লম্ফানো।
মুক্তি তুমি,
জন্মলগ্নে অশান্তির পারঙ্গম,
গোলামী জিঞ্জির ভেঙে শুধু খুন আর জখম।
জল কামানের সামনে দাঁড়িয়ে চামড়া ছুলে ফেলা,
নিয়ম নীতি শূলে চড়ায়ে বিচ্ছিন্নতার এক মেলা।
মুক্তি তুমি,
ফরিয়াদির এক ক্লান্ত কণ্ঠধ্বনি,
অবুজ শিশুর রক্তে ভেজা দেহটির শেষ কাঁপুনি।
অজানা উঠোনে দাবানলের গুপ্ত মহিরূহ,
বিলাস প্রাসাদ জ্বালিয়ে দিয়ে বিশৃঙ্খলার ব্যুহ।
মুক্তি তুমি,
অগোছালো কবির রাতজাগা কলম বিক্ষোভ,
থরথর কাঁপা শিরাগুলো যেন আযাদি কুশিলব।
লড়াই শেষে জালেমী ধড়ের চিরতরে দাফন,
আঁধার ফুঁড়ে আলোর শিখার তীব্র বিচ্ছুরণ।
মুক্তি তুমি,
খেয়ালি রাজার বনবাসের স্বাধীকার।
পল্লী বালার সরল হাঁসির নির্বিঘ্ন পারাপার।
বিহঙ্গদের উড়ে যাওয়া কোন এক অজানায়,
সহস্র হাতের মেলানো শপথ শান্তির বারিধারায়।