আমার এ ছুটে চলা কালো আঁধারের সঙ্কুল পথে।
আজগুবি আহ্বানে নদীর স্রোতে কান পেতে দেই।
টিনের চালে পায়রাদের পায়ের আঁচড়ে বুঝি খেই ফিরল!
মুক্ত বাণে খড় কুটোগুলো চোখে এসে পড়ে।
ঝাপসা এ পথ রৌদ্র করোটিতে ধু ধু বালুচর।
মেঘের আস্তর ভেদে নেতিয়ে পড়ে আকাশের ঘাম।
শুরু শেষ সবই যে উল্টো! সবাই বাতুল ভাবে,
রাত জেগে বসে থাকি সুবহে সাদিকের রেখাটি দেখব বলে।
তারপর স্বপ্নলোকের হাঙ্গামা শুরু…
লম্বা লম্বা পা ফেলে নীলক্ষেত থেকে শাহবাগ,
আগ পিছ না তাকিয়েই ভাবি,
কতজন দেখছে আমায়!
ল্যাম্পোস্টের সোডিয়াম আলোয় ইচ্ছেশক্তি ফ্যাকাশে হয়ে পশমের গোড়ায় চলে আসে।
গাড়ির ফ্রেমের ওপারে কবিতারা অস্থির পায়চারি করছে।
আহ্বানে কে সাঁড়া দিল না দিল,
সে দেখার দায়িত্ব তো আর আমার নয়।
শুধু বলি, জঙ্গলের ওপাশে নরম জিলেপি ছাড়া কিছু নেই।
পানকৌড়ির মত শুধুই ভিজে ভিজে হতাশ হওয়া!
ছিটেফোটা ব্যাঙের ছানাও নেই কুয়োও,
সময় ফুরোয় নি, আমি দ্বারে খিল না লাগিয়েই ঘুমোলাম।
এ হৃদয়ে রঙচটা আভিজাত্য না থাকতে পারে, কিন্তু জঞ্জাল নেই।
এ দোরের খিলটি আজ ভেঙেই দিলাম,
এবার ভুলেও আটকানো যাবেনা।