* খিদা লাগলেই বোতল বা কলসিতে ফুঁক দিয়ে রোজা আটকে রাখতাম । এখন আর আগের মতো বুতলে কিংবা কলসিতে রোজা আটকাতে পারিনা।
,
* দিনে দুই-তিনটা রোজা রখা ছিল মামুলী ব্যাপার ।
,
* সেহরির সময় কেউ না ডাকলেও থালা-বাসনের গচরমচর শব্দে ঠিকই উঠে যেতাম।
,
* আজান হলেও সমস্যা নেই খাওয়া দাওয়া দিব্যি চলতোই ।
,
* যেদিন ইফতারি আসতো ঐ দিন মিষ্টি দিয়ে রোজার বরোটা বাজাতাম।
,
* নামাজে গিয়ে একেবারে সামনের সারিেত বসলেও, বড়দের জন্য জায়গা ছাড়তে-ছাড়তে নামজ শেষে নিজেকে আবিষ্কার করতাম একেবারে পেছনের সারিতে।
,
* মহিলাদোর সাথে নামাজ পড়লে নিজেকে অনেক বড় মনে হতো, কারন হুজুরের ঠিক পেছনেই দাড়ানোর সুযোগ পেতাম। আর মহিলারা থকতো আমাদর পিছনে পর্দার আড়ালে।
,
* গ্রামের সকল মসজিদে ধারা-বাহিক ভাবে আজ এই মসজিদ, তো কাল ঐ মসজিদে নামাজ পড়তাম।
,
* প্রতিদিন হিসাব করা হতো এইবার কে কয়টা রোজা রাখবে।
,
* ইফতারের পূর্বে লুকিয়ে আজান দিতাম,কিন্তু কেউই আমার আজানে কখনো কেয়ার করেনি।
-----------------------
আমি এবং আমরা হারিয়ে ফেলেছি আমাদের মুক্ত স্বাধীন স্বপ্ন রঙিন দিন গুলো।
....এখন আমাদের উপর রোজা ফরজ হয়ে গেছে। তাই আসুন আল্লহ তা'আলার হুকুম সঠিক ভাবে পালন করি ।
কেননা রোজার বদৌলতে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে অসংখ্য নেয়ামত।
__লেখা:H.M Alamgir
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯