তুমিআমি, কেউ যদি বৃক্ষের ন্যায় হইতাম-
তবে আজন্ম চুমুর খোলসে আমাদের জন্ম গভীর শেকড়ে প্রতিথ হইতো, যোগ দিতাম তোমার মেন্সট্রুয়েশনের সভাতে,
জরায়ুর সমদ্বিখন্ডনে ভঙ্গ হইতো অনাদির ডিফল্ট সেটিং,
মুইছা দিতাম রিলিজিয়াস, মোরেজের যত-হিস্টোরি, কুকিজ, ক্যাঁশ-
আমাদের নিংড়াইয়া জন্মাইতো নতুন ফসল- নতুন ঘাস,
মৌসুমি ফসল হইয়া আমিতুমি বিলাইয়া যাইতাম অনাগতের আহার্যে,
উদরপূর্তি কইরা আমাদের সন্তানেরা আবার মই দিতো এই ধরার বুকে,
অঙ্কুরোদগম হইলে আমিতুমি আবার চুমু খাইতাম শ্বসনে।
ঋতুর হাওয়া বইয়া যাইতো মাটির যততত্র রঙ্গে,
কখনো উর্বর, কখনো দুর্ভিক্ষ- চৌচির ট্রাংস্টেন রৌদ্রে।
চুমুর ওয়েস্টার্ন ডেভেলপমেন্ট হইছে,
সভ্যতা এখন হরেক রকমে চুমু খাইতে পারে-
ফরাসি চুমু, প্রজাপতি চুমু, মাকড়শা চুমু,
কিন্তু আমাদের চুমুতে থাকবে না কোনো সিভিলাইজেশন, এথিকস কিংবা জৌলুস,
আমাদের চুমু হবে আদিম উন্মাদনায় প্রমত্ত,
হাহাকারে দুপুরের মতো নিভৃত, সন্ধ্যার বিষাদের মত নির্লিপ্ত,
কিন্তু-
মগজে ফুটবে এক টুকরো মাশরুম ক্লাউড,
হৃদয়ে জমবে পৃথিবীর সব যুদ্ধের দামামা, সব ক্ষুধার্তের চিৎকার, নিপীড়িতের আর্তনাদ,
আমরা হবো ধর্ষিতার মতো পবিত্র,
শরীর দুটো এলিয়ে যাবে মায়ের স্তনে মুখে দেওয়া সদ্য জন্মানো শিশুর নিথর দেহের মতো।
(আমার ভীষণ ভালোবাসতে ইচ্ছা করে-
তোমারে।)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪৩