আমি যদি নেড়ি কুত্তা হইতাম, ইচ্ছা হইলেই তোমারে লাগাইতে পারতাম,
খুঁজতে হইতো না তোমারে এপাড়া-ওপাড়া, আলোতে-অন্ধকারে,
মানুষের বাচ্চা হইয়া তোমারে ছুঁইতে চাইলেই ওরা আমারে অসভ্য বলে,
তুমিই বলো- নেড়ি কুত্তাটার মতো আমার মনটা কি তোমারে পাইতে চায় না?
যখন তখন, ইচ্ছা হইলে-
কামনায়- বাসনায়, ভোগে-বিলাসে,
সকালে-বিকালে, দুপুরে ভাগাড়ে।
ওরা খালি শরীরটাই দেখে,
সংস্কারের আচ্ছাদনে ওরা সঙ্গমের সুখ খোঁজে;
আমার কি সবই ক্ষুধা, না পাওয়া, না থাকা?
সকালের রুটি কলা, দু বেলা ভাতের থালাতেও তোমারে না পাওয়ার ক্ষুধা,
আমি শ্রমিক হইলেও রোজ ঘরে ফিরি,
নেড়ি কুত্তার মতো সব ভুইলা তোমারে লাগাইতে পারি,
আমার সাহেবি কোটেও তোমার গন্ধ মাখাইতে পারি।
তোমারে ভাবতে ভাবতে ভাদ্র মাসের কুত্তার মতো হাপাঁইতে থাকি,
আচ্ছা- তোমারে না ভাবলেই কি আমি নেড়ি কুত্তা হইতাম?
নাকি শুধু তোমারে ভাবতে পারি বইলাই, আমি একটা মানুষের বাচ্চা হইয়া রইলাম?
তোমারে পাইলেও হারানোর ভয়,
আবার, না পাইয়া মরার আক্ষেপেও আমার হৃদয় ক্ষয়,
হই,
- একটা নেড়ি কুত্তাই হই,
তাও যদি তোমাতে রই।
কি করবো- বলো?
আমি তো একটা মানুষেরই বাচ্চা-
তাই তো তোমারে যেমনে খুশি ভাবতে পারি,
নেড়ি কুত্তা হইয়াও বাঁচতে পারি, ভালোবাসতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪২