প্রিয়,
পৃথিবীর রঙ ক্যামন, জানো?
তোমার মত;
ঠিক সন্ধ্যার প্রচ্ছন্ন আলোতে যেমন দেখায়,
খেয়াল করোনি, জানি-
তুমি না থাকলে, আমিও জানতাম না।
স্যাঁতস্যাঁতে বর্ষার মাটির গন্ধ কিসের মত?
তুমি কি করে জানবে-
বলা হয়নি,
তোমার শরীরের গন্ধ যেমনি আমায় ডাকে ।
মাঝেমাঝে পুরানো খসখসে প্রেমপত্রের নিথর শব্দগুলো ছুঁয়েছ?
অনুভূতির মত-
যে শব্দগুলো আমাদের কাছে নিয়ে এলো,
অস্থিরতায়- তুমি বুকের উপর বালিশ গুঁজে,
লুটিয়ে দিয়েছিলে নিজেকে কল্পনার বিরান ভূমিতে।
তুমি কি জানতে?
এই দীর্ঘ সবুজ প্রান্তরে গ্রীষ্মের চৌচির সত্ত্বা,
দুর্ভিক্ষের শরীর পুষে।
আমাদের বিচ্ছেদ বসন্তে হয়নি-
শেষবারের মত তোমার শাড়ির আঁচলে উন্মত্ত পৃথিবীর ধুলো জমাবো বলে,
ধ্বংস হওয়া সভ্যতার উত্তাল বাতাসে আমার প্রেমিকার চুলে মত্ত হওয়ার ছিলো যে,
তুমি কি জানো? তুমি প্রকৃতির নিশান,
আমার এবং আমাদের অস্তিত্বের ঝন্ডা উড়াও,
শেষ নিঃশ্বাসে।
একটা বটবৃক্ষ জন্মাবে, রণ প্রান্তরে-
ক্ষত্রিয়ের বুকও তোমার গরম নিঃশ্বাসে উদাস কবিতা খসাবে।
তুমি না থাকলে, আমার ঈশ্বরও পৃথিবীকে আলোকিত করতো নাহ-
ঈশ্বর জানেন-
ভোরের আলো তোমার জানালায় গিয়ে থামে।
বেঁচে থাকো, প্রিয়তমা-
সহস্র যোদ্ধার রক্তের স্রোত বয়ে গেছে তোমার শিরা-উপশিরায়,
ওরা শহীদ,
তোমার গর্ভে জন্মেছে বলে,
ওরা প্রেমিক-
তোমার চুমুর দাবি নিয়ে রাখাল বাঁশি বাজাবে বারেবারে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৫