পৃথিবীর আদিম আলোয় যাকে দ্যাখা,
প্রমত্ত কিশোরীর আলপথ ছুঁয়ে ফড়িং দলে ছুটে চলা,
দিগন্তের দেয়াল সূর্য গিলে খায়,
সূর্যের স্বাদ ক্যামন?
আচ্ছা-
সন্ধ্যার ঘাসে শিশির জমে, বুক কাঁপে ক্যানো?
আমার নাকি পৃথিবীর শরীর,
সে বলে- বুকের ভেতর ঘাস হয়েছে।
আজকাল সুইচ চাপলেই আলো হয়,
ট্রাংস্ট্রেনের সূর্য, সোডিয়ামে চাঁদ;
অথছ সপ্তর্ষির আলো চোখের অন্ধকারে নিমজ্জিত,
ঝিঁঝিঁ পোকার দল পথ হারিয়েছে-
ওরা ভীষণ আলোয় অন্ধ।
আলো গেলে মানুষগুলো অবাক হয়
বলে-লোডশেডিং;
অদ্ভুত এক বর্তনীর পাঁকে প্রেমপত্র লেখা হলো বৈকি,
একদিন চুমু খেলেও- ওরা চোখ বন্ধ করতে ভুলে যাবে,
এতো লোডশেডিং।
আমরা যারা কাঁদতাম-
পৃথিবীর আদিম আলোয় দেখা,
প্রেয়সীর নিমজ্জিত চোখের অভিলাষে;
অন্ধকার জড়ো করে মাঝরাতে বুকের উপর শক্ত করে দু’হাত ধরে-
অবাক বিস্ময়ে-
পৃথিবীর আদিম আলোয় তুমি দেখতে ক্যামন, প্রিয়তমা?
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১১