নিথর হাতে প্রস্তর মাখানো তোমার আদিম স্পর্শগুলো-
আমার কতটুকু জুড়ে আছে?
অথছ আমি চাইতাম নিজেরে রাখতে,
দিস্তা কয়েক পান্ডুলিপি আর দুয়েক বলপেনের আড়ষ্টতায়,
সমাধির ঠিকানা রাখতাম অস্পষ্ট,
বেনামী লাশের পরিচয়খানাও থাকতো অব্যক্ত,
প্রতি পৃষ্ঠায় থাকতো তোমার নাম;
আর বেঁচে থাকার দিনগুলো হয়ে উঠতো কিছু তারিখ,
যখন নিঃশ্বাস গুলো ফুঁসে উঠতো বুকের ভেতরটায়,
তোমায় ভেবে ভেবে নিজেরে খসাবে বলে।
পৃথিবীর অর্বাচীন সকালগুলো মত্ত হয়ে উঠলো,
ফেলে আসা অন্ধকার কুড়োতে গিয়ে বুকে জমানো বিমর্ষ ভালোবাসাটুকু খুয়ে আসা,
ঘরে আমার ফেরা হয়নি,
কেজি দরে বিকানো পান্ডুলিপির খাতায় রয়ে গেছি,
আমায় ক্যানো ফেরানো যায়নি?
বুকের ভেতরটা ক্যানো এতখানি ফাঁপা হলো?
সবটুকু জুড়ে থাকা হাহাকার গোগ্রাসে গিলে খেলো-
ঝরা পাতা, দুপুর রোঁদ,
চৈত্রের শহরে যখন বয়ে গেলো দমকা হাওয়া,
হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলাম,
আচমকা বেণী খুলে মিলিয়ে গেলে ঝটিকা মিছিলে,
মশালের আলোয় তোমায় আর খুঁজে পাওয়া হয়নি।
বিপ্লব ব্যর্থ হলে স্লোগান গুলো দুমড়ে-মুচড়ে যায়,
তবুও খালি প্ল্যাকার্ড হাতে বসে থাকি তোমার পায়ের পাশে,
ঘর্ম ভেজা ব্লাউজটা জড়িয়ে যায় পিঠের বিবর্ণ আস্তরে,
আবার এবং আবার লিখব জনতার জন্য স্লোগান,
তোমার ঠোঁটে উঠলেই আমার সুখ হয়ে- বোলে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৯