আজকে সকালে অনলাইনে আসার পর দেশের দুটি বিশাল পরাজয়ের নিউজ দেখলাম।একটি ভালবাসার আরেকটি সাম্রাজ্য হাঁরানোর।হয়তো নিউজগুলো পূরনো হয়ে গিয়েছে তারপর ও লিখতে ইচ্ছে করলো.......
পরাজয়ের গল্প নাম্বার-০১
শাহজাহান ভালবেসে তাজমহল বানিয়ে ছিলেন।মজনু তো আর ও বিখ্যাত।চন্ডিদাস বা রোমিও কথা নাই বা বললাম।সবাই ভালবেসে বিখ্যাত হয়েছেন।তেমনি সামাজিক সাইটগুলোতে হঠাৎ করে ভালবাসার জন্য বিখ্যাত হয়ে গেলেন ঢাকা কমার্স কলেজের প্রথম বর্ষে পড়ুয়া কিছু ছাত্র-ছাত্রী।আমি আমার মন থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।তারা সমাজে একটি উদাহরন তৈরি করলেন।ভালবাসা একটি ভাল বিষয় তার মানে এই না তাকে খোলা রাস্তায় সবার সামনে দেখাতে হবে।আমি জানি না এ ভিডিওটি দেখার পর অভিনয়কারীদের পরিবারের কি চিন্তা-ধারা ছিল।আমি কেবল এটা মনে করি,যে প্রেমের দিওয়ানা হয়ে রাস্তাঘাটে সবার সামনে জড়িয়ে ধরার লজ্জা টুকু যখন কাটিয়ে উঠতে পেরেছে, লোকচক্ষুর অন্তরালে সেই প্রেম যে লিটনের ফ্ল্যাট কিংবা পার্কের চিপায় গিয়ে সব বিসর্জন দিচ্ছেনা - নিশ্চিত কিভাবে হচ্ছেন? কলেজ কর্তৃপক্ষ ওদের কে বহিস্কার করেছে বলেই শাস্তিটা দৃষ্টান্তমূলক হয়েছে।এই শাস্তি দেবার কারনেই শুধু ওই কলেজ না, এখন থেকে অন্য কলেজে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী গুলোও অপরিণত বয়সে এমন স্ট্যান্টবাজি করার আগে দ্বিতীয়বার ভাববে।ভালবাসা পবিত্র, ভালবাসা স্বর্গীয়। রাস্তাঘাটে প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরা-চুমু খাওয়াকে আমি ভালবাসা বলতে নারাজ।ভালবাসা আর স্ট্যান্টবাজি - দুইটা ভিন্ন জিনিস।
পরাজয়ের গল্প নাম্বার-০২
অনেকেই বলে আমরা সিলেটিরা নাকি সব কিছু নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করি।হয়তো কথাটা সত্য।ফেসবুকে আমাদের সিলেটের সবার জনপ্রিয় একটি পেইজ''দেশ বিদেশে বেটাগিরী আমরা হক্কল সিলেটি''।অনেকে অনেক কিছু লিখে।এটা নিয়ে আমরা নাকি বেশি লাফালাফি করি।হয়তো করি,এটা হয়তো আমাদের সাথে ভালই মানায়।আজ আমরা যেমন গর্ব করে বলি বাংলাদেশিরা বৃটিশদের শাসন করতে যাচ্ছে আর যখন নিউজ পেপারে পড়ি এর মূলে আমরা সিলেটিরা তখন ভালই লাগে।আজ আমাদের সিলেটের এক সম্রাটের পতন হলো।আমরা বিদেশে পরিশ্রম করে পয়সা কামাই।তাও হালাল টাকা।কারো সম্পদ দখল করে নয়।তিনি সিলেটি হলে ও তিনি ছিলেন অন্য রকম।তিনি কেবল সম্পদ চাইতেন।আর সেটা হালাল না হারাম দেখার দরকার নাই।প্রায় হাজার কোটি টাকার এই দেবোত্তোর সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে রাগীব আলীর দখলে ছিল। সম্প্রতি উচ্চ আদালতের এক রায়ে বলা হয়, রাগীব আলী প্রতারণার মাধ্যমে তারাপুর চা বাগান দখল করেছেন। আদালত ছয় মাসের মধ্যে চা বাগানটি দখলমুক্ত করতে সিলেটের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ প্রদান করেন। একইসাথে চা বাগান ধ্বংস করে গড়ে ওঠা সকল স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনাও দেন আদালত।তারাপুর চা বাগান, বাগান সংলগ্ন সকল খালি জায়গা আদালতের নির্দেশনা অনুয়ায়ী পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে চা বাগানের ভেতরে গড়ে ওঠা রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেলায় ৬ মাস সময় রয়েছে।তার মানে আমাদের সিলেটের তথাকথিত সম্রাট রাগিব আলীর সাম্রাজ্যর পতন শুরু হয়ে গেল।প্রশাসন আবার দেখিয়ে দিল তারা চাইলে সবি পারে।দরকার কেবল সৎ সাহস।
আশা করি আমাদের প্রশাসনের সবার মাঝে সৎ সাহস দেখা দেবে।এমনি করে সকল অপরাধীরা তাদের অপরাধের সাঁজা পাবে।আমাদের সোনার বাংলাটা সত্যিকারের সোনার বাংলা হয়ে গড়ে উঠবে।
দেশের সবাই ভাল থাকেন।সেই প্রত্যাশা থাকলো।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৪৫