somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছেলেটি কাঁদতে জানেনা, তবুও কেন কাঁদলো?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইনবক্সে কথা বলতে বলতে হঠাৎ আবেগের শিহরণে কেঁপে উঠলো ছেলেটি, ডুকতে কেঁদে উঠলো সে। চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না, ধরে রাখতে চাইলোও না। অঝোর ধারায় কেঁদেই চললো একাকি। কী বোর্ডের গতি শ্লথ হয়ে গেলো তার। ও প্রান্তের মানুষটি জানেও না কি করছে সে এপাশে। আবেগের শিহরনে হেচকি দিয়ে অঝোর ধারায় গড়িয়ে পড়ছে অশ্রুরা। থামবার কোন লক্ষন নেই, থামাবার কোন ইচ্ছাও নেই ছেলেটির্। সে এমন করে কখনো কাঁদেনা, কাঁদতে জানেনা। সীমাহীন কষ্টের মাঝে তীলে তীলে তৈরী করে নিয়েছে এক কঠিন হৃদয়। হৃদয় ফেটে চৌচির হয়, দেহ মনের উপরে বয়ে যায় প্রচন্ড ঝড় তবুও খুবই কম তার চোখের অশ্রু ঝড়ে। আশেপাশের সকলেই যখন ডুকরে কেঁদে যায় তখন তার চোখে কোন জলের লেশ মাত্র নেই। অনেক অভিনয় করে কাঁদার, তবুও পারেনা্। আজ আর সে অভিনয় করেনা, নিতান্ত আবেগে শিহরণে কাঁদতে থাকে অবিরাম । যত কঠিন, কঠোর, হৃদয় বিদারকই হোক এসব তার মনে বড় দাগ কাটলেও চোখের অশ্রু ঝড়াতে খুব কমই পারে।মনের অশ্রুরা অনবরত গড়িয়ে চললেও চোখের অশ্রুরা গড়ায় না। তাহলে হঠাৎ করে কেন অশ্রুরা গড়ালো, কেন সে হঠাৎ করে কেঁদেই চললো ??

প্রতিদিনের মতো আজও তার প্রিয মানুষটার সাথে ইনবক্সে কথা বলছে। যে কথা কোন শেষ নেই। একবার শুরু হলে চলতে থাকে অনেক সময় নিরন্তরভাবে। মেয়েটিকে পেলে তার আর কিছু লাগে না, সারাদিন শুধু কথা বলেই কাটিয়ে দিতে পারে।করে যায় ভাবের বিনিময়। কথার ঝুড়িতে কোন তলা নেই, নেই কোন কথার শেষ। অবিরাম যেন নতুন নতুন কথা উৎপাদিত হয় তাদের মাঝে। তাদের মাঝে কথাটা কোন ঝুড়ি নয়, এটা এক মহাসমুদ্র অথবা যেন কথার খনি। এক কথার লাইন ধরে ভাববিনিময়ের ধারা বয়ে চলে না জানার দেশে, সে কথার আঁকাবাঁকা পথ চলাকে থামাতে চায়না দু‘জনের কেউই। কোন সীমানা দেয়না, দাঁড়ি টানার ইচ্ছা থাকেনা তাইতো কথায় কথায় কথারা ছুটে চলে অজানার পথে। কোথায় তাদের পথ, কোথায় তাদের গন্তব্য তা কেউ ভাবার চেষ্টাও করেনা। শুধু করে যায় ভাবের আদান প্রদান, বিলিয়ে যায় নিরন্তর ভালবাসা। তারা নিজেরাও জানে, নিজেরাও বলে তাদের কথার কোন শেষ নেই। পার করে দিতে পারবে পুরোটা জীবন। শুধু একটি জীবনই নয়, এপার ওপাড়ের দু‘টি জীবন। আজকের রাতটাও এ ভাবের বিনিময় তাদের অজানার পথে ছুটে চলছে।কথা চলছে, চলুক কিন্তু তার মাঝে আবার অশ্রুহীন ছেলেটির চোখে কেন নেমে আসলো অশ্রুধারা??

জীবনের বাঁকে বাঁকে ছেলেটির সাথে মেয়েটির বেড়ে উঠা একই সাথে। অতিক্রান্ত সিকি শতাব্দী তাদের আলাদা করতে পারেনি, পারেনি কোন রেখা তৈরী করতে, মাঝখানে কোন দেয়াল তৈরী করতে।বেঁচে থাকার বাকী জীবনে তার সম্ভবনাও নেই। দুই জনমেই এ বন্ধন থাকবে সৃদৃঢ়। বয়ে চলা জীবনের দুই কুলে একই ধারায় প্রবাহমান দুটি সত্ত্বা যেন তাদের।অথবা দূরের পথে চলমান কোন অজানা পথের দুই ধারে হেটে চলছে তার দু‘জনে। সময়ের পরিক্রমায় কতটুকু পথটুক পার হলেই কোন মোহনায় অথবা কোন মোড়ে দাড়িয়ে পড়ে তারা, মিলিত হয় যায় খানিকের জন্য, ভাবের বিনিময় হয় অল্পই, অনুভুতিরা সে সময় যে যার জায়গায় নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে, সামনে বাড়ায় না। খানিকের এই ভাবের বিনিময় শেষে আবারও শুরু হয় পথ চলা, চলতে চলতে বয়ে যায় আরো খানিকটা সময়। বিনিময় হয়না ভাবের, তাই আবারও তারা অপেক্ষা করে কোন এক মোহনার অথবা কোন এক মোড়ের। সময়ের পরিক্রমায় কিছুটা দূরে , কখনবা কাছে দেখা মিলে সেই মোহনার, মোড়ের। আবার কিছুটা শুভ সময়, অতঃপর আবার আলাদা হয়ে অগোচরে দুটি দীর্ঘশ্বাস, শুরু হয় নতুন পথ চলা। এই পথচলা, মোহনা, মোড়ের অবস্থা, ভাবের বিনিময় তাতো সবই ঠিক আছে কিন্তু এর মাঝে এই পাথর হৃদয় ছেলেটি আবার কাঁদতে গেলো কেন??

সময়ের পরিক্রমায় এ দীর্ঘশ্বাস একটি সময় কমে আসলো। দু‘জন দু‘জনার দূরত্ব কমে আসলো অনেকখানি। এখন আর তারা মোহনা, মোড়ের অপেক্ষা করেনা। সুযোগ পেলেই দু‘প্রান্ত, দু‘পাড়ের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরী করে। সুযোগ পেলেই তারা আর দু‘প্রান্তের দূরত্ব দূরে ঠেলে কাছাকাছি চলে আসে মিলিত হয় ভালবাসার উষ্ঞ রাজ্যে।ভাবের বিনিময় করে, কথায় কথার ডালি সাঁজায়। কথার গতিকে নিয়ে যায় দূর থেকে আরো দূরে। সেখানে গিয়েও হয়না শেষ কথার তাদের পথচলা, কথারা কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে আবার শুরু করে নতুন করে দূরের যাত্রা। দু‘পাড়ের দূরত্ব কমিয়ে ছেলেটি মেয়েটিকে নিয়ে আসে একপ্রান্তে, আবার কখনো সে নিজেই ছুটে যায় মেয়েটির প্রান্ত। দূরত্ব ঘুচিয়ে হয় আরো কাছাকাছি। মাঝে মাঝে সে কাছাকাছির ফাঁকে হয় দুটি হাতের স্পর্শ অথবা দু‘টি বাহুর স্পর্শ। আগের সেই পথচলায় খানিকের স্পর্শ শিহরণের সৃষ্টি হলেও তা দ্রুতই মিলিয়ে গিয়েছে, কখনো বা তারাই মিলিয়ে দিয়েছে।কিন্তু পথচলায় দূরত্ব কমিয়ে এখন তাদের শিহরণে কমতি হয়না, ঘাটতি পরেনা কোথাও। সবই তো ঠিক আছে, তাহলে কাঁদলো কেন অশ্রুহীন ছেলেটি??

কে দিবে ছেলেটির এ প্রশ্নের উত্তর? কেউ তো দেখেনি, কেউ তো জানেনা, কেউ তো দেখার সুযোগ নেই, কেউ তো জানার সুযোগ নাই।নিজের বিছানায় উপুড় হয়ে বালিশে বুক রেখে যে করে যাচ্ছে মেয়েটির সাথে ভাবের বিনিময়, আবারো সেই কথার সরলরেখা। তাহলে উপায় কি কেন ছেলেটি কেঁদেছে এর উত্তর খোঁজার? উপায় একটাই যদি ছেলেটির মনে মাঝে ঘুরে আসা যায়। তাহলে হয়তো জানা যাবে কেন এ অশ্রুহীন ছেলেটি অঝোঢ় ধারায় কেঁদেছে……..? কেন শান্ত অশ্রুসাগরে ঝড় উঠেছিলো কোন পূর্বাভাস ছাড়াই…….? কেন শুকিয়ে যাওয়া অশ্রুনদীতে জোয়ার এসেছিলো হঠাৎ করে……? কেন অশ্রুঢল নেমে এসেছিলো মনের পাহাড় ভেঙ্গে….?
আজ সন্ধ্যায় হসপিটালের গুমোট ভাবটা কাটাতে ছেলেটির সাথে মেয়েটি ছাদে গেলো। ছেলেটি মেয়েটির হাত ধরলো, বাহুর সাথে বাহু পায়ের সাথে পা মিলালো, বুকের ডান পাশে জড়িয়ে নিলো, মাথার সাথে মাথার ঠেস লাগালো। মেযেটির আঙ্গুলে থাকা দুটি রিং এর সাদা রিংটি নিজের হাতে পরলো আর অন্য রিংটি মেয়েটির বাম অনামিকায় পড়িয়ে দিলো। বহুক্ষন তারা একসাথে ছাদে দাড়িয়ে বাতাস খেলো, আকাশের নিলিমায় ভেসালো নিজেদের। ছেলেটি মেয়েটির দিকে একবার তাকিয়ে আবার চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে। বলছিলো মনের কত কথা তারা প্রাণ খুলে। তাদের কথার কোন শেষ নেই। তারা নিজেরাও জানে তাদের কথা কখনো শেষ হয়না , হবেও না। ছাদে দাড়িয়ে দাড়িয়ে মনের সাথে মনের সংমিশ্রন করছিলো দু‘জনে। করছিলো মনের ভাবের বিনিময়।

মেয়েটিকে রেখে প্রাপ্তি, অতৃপ্তির এর দোলাচলে একটি সময় ফিরে আসতে হলো ছেলেটিকে বাসায় । ফিরে এসে আবার কথার ডালি সাজিয়ে বসলো তারা। কখনো মুঠোফোনে কখনো আবার ইনবক্সে।ছেলেটি পেলো এর মাঝে এক নির্মল ভালবাসা। এতো বছরের ভালবাসায় যেন পেল একটুকরো প্রশান্তি। মেয়েটি জানতে চাইলো কেন তাকে সে আজ সাথে করে নিয়ে যায়নি? কেনই বা সে তাকে জড়িয়ে ধরলো আজ? কথা বলতে বলতে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না ছেলেটি। হঠাৎ তার পাথর হৃদয়ের বাঁধ ভেঙ্গে গেলো। বাঁধাহীন জোয়ারে ভেসে গেলো সব দুঃখ কষ্ট। বাঁধভাঙ্গা জোয়ারে ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠলো সে। কেন সে কাঁদছে, কোথা থেকে তার চোখে এতো অশ্রু আসলো তা সে নিজেও ঠিক ভাবে জানেনা।

মানুষ কখন কাঁদে… যখন তাকে কেউ কষ্ট দেয় তখন। কিন্তু ছেলেটির বেলায় তো তা হয়নি। মেয়েটি তাকে কখনো কষ্ট দেয়নি বরং সে নিজে নিজেকে কষ্টের সাগরে ভাসিয়েছে বছরের পর বছর।তবে তাতে তার কোনই অভিযোগ ছিলোনা, কষ্ট ছিলোনা, অভিযোগও নেই কষ্টও নেই। বছরের পর বছর সে শুধু মেয়েটিকে একান্তভাবে ভালবেসেই গেছে। মনের গভীরে তাকে যত্ম করে রেখেছে। নিবরে নিভৃতে শুধু তার ভালবাসা বিলিয়ে গিয়েছে। কখনো বলার চেষ্টা করেনি তার মনের আকুতি। তাইতো মেয়েটিও বহু বছর বুঝেনি তার মনের আকুতি কিন্তু যখন সে বুঝলো তখন যদিও অনেক পানি গড়িয়ে গেছে বহুদূর।

তারপরও ছেলেটি থেমে থাকেনি। আর এই দীর্ঘ একাকি ভালবাসার পথচলায় ছেলেটি ভালবাসা খুব কমই পেয়েছে, যদিও চায়ও নি কখনো তারপরও সে ভালবাসা খুঁজে নিতে চেষ্টা করেছে বিভিন্ন ভাবে। ভালবাসা খুঁজে নিতে চেষ্টা করেছে বিভিন্ন কিছু দিয়ে। ছেলেটি ভালবাসা ছিলো মেয়েটির সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর নিয়ে, তার সুস্থতা অসুস্থতায় সবসময় পাশে থাকতে, চেয়েছে ছোট বড় যেকোন কাজে মেয়েটিকে হেল্প করতে, বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময় ভীত, ক্লান্ত, হতাশ হয়ে পড়লে সাহস যোগাতে।মেয়েটির দিকে একধ্যানে তাকিয়ে থাকতে, স্বপ্ব ও বাস্তবের রাজ্যে মেয়েটিকে রানী বানাতে। ছেলেটি চেয়েছে মেয়েটিকে যাতে কেউ কষ্ট না দেয়, সে সদা সর্বদা মেয়েটির প্রতিটি কাজে খেয়াল করতো , তার সকল কাজগুলো ভালোবাসতো, তার পছন্দ অপছন্দকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতো।তার সময়ের প্রতিটি পথচলার সাথে নিজের পথচলাকে মিলিয়ে নিতো। আর সর্বোপরি প্রভুর কাছে মনে খুলে বলতো মেয়েটি যাতে সুখে থাকে, ভালো থাকে, কেউ যাতে তাকে কষ্ট না দেয়, কোন অপমান, ক্ষতি, বিপদে ফেলতে না পারে।

আর এই সবই সে করে গিয়েছে বছরের পর বছর বহুবছর নিরবে, নিভৃতে, একাকি, চুপেচাপে একান্তভাবে ভালবেসে। তাইতো, মেয়েটি বলে … আমি অনেককে ঠিক করেছি কিন্তু তোমাকেই শুধু পারলাম না। আসলে তা পারেনি, পারবেও না। কেন পারবেনা? কারণ মেয়েটিকে সে ভালবাসে কোন অভাব, অভিযোগ, চাহিদা, বিনিময় ছাড়া।ছেলেটির হৃদয়, মনে, প্রতিটি শিরায় শিরায় সে খুঁজে পায় মেয়েটির অস্তিত্ব, মাঝে মাঝে বুকে হাত দিয়ে অনুভব করে তার ভালবাসার মানুষটির অবস্থান, উপস্থিতি।

তাইতো যখন ছেলেটি একটুকরো ভালবাসা মেয়েটির কাছ থেকে পেয়েছে তখন সে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি। আকাশ ভারী হলে যেমনি তারা তাদের বৃষ্টির অশ্রু ছেড়ে দেয়, নদীতে বান ডাকলে যেমনি বন্যা নিয়ে আসে, খারাপ আবহাওয়ায় যেমনি পাহাড়ি ঢল নেমে আসে ঠিক তেমনি ছেলেটির মনে নেমে এলো পাহাড়ী ঢল, নদীর বন্যা, আর অশ্রু বৃষ্টি। কেউ বাঁধা দিলো না, বাঁধা দেয়ার কেউ নেইও অবশ্য। নিজেও মুছতে চেষ্টা করলো না সে অশ্রুধারাকে, তাইতো পাহাড়ী ঢলের মতো অশ্রুধারা এসে তার মনে আঘাত করে নামিয়ে নিলো সব কষ্ট, দুঃখ , বেদনা, অপ্রাপ্তিগুলোকে। ভালাবাসার চাদরে আবৃত করলো সবকিছু, জড়িয়ে নিলো সমগ্র সত্ত্বাকে ভালবাসা দিয়ে।

এই ভালবাসাময়তাকেই শুন্য হৃদয়ে ধারণ করতে করতে কষ্ট হলো, তৃষ্ঞিত হৃদয়ে এ ভালাবাসায় দলিত মথিত হলো, তাইতো সে কেঁদে ফেললো কষ্টের পাথরগুলো সরিয়ে। অনবরত সে কেঁদেই চললো, ওপাড়ে মেয়েটি জানলোও না সে কাঁদছে। হ্যাঁ, পরদিন যখন এ অনুভুতিময় লেখাটার অর্ধেক সে পড়লো তখন সে জানলো ছেলেটি কেঁদেছে কিন্তু কেন কেঁদেছে তার উত্তর তখনো পায়নি। উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে চোখে চোখ রেখে। চার চোখের মিলনে পরে এ উত্তরের অপেক্ষায় রইল মেয়েটি। আসলে ছেলেটিও নিজেও সঠিকভাবে জানেনা কেন সে এভাবে কেঁদেছে। সে শুধু জানে তার ভালবাসা তাকে একটু ভালবাসা দিয়েছে। তার প্রিয় মানুষটি তাকে ভালবাসায় অনুমতি দিয়েছে। এ প্রাপ্তিটুকু হয়তো খুব বেশী না কিন্তু যেখানে ছেলেটির কিছুই ছিলোনা সেখানে একুটুই বা তার কম কিসে? একুটুর জন্য তার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

তবে একথা ঠিক ছেলেটি শুধু তার এ প্রাপ্তিটুকু পেয়েই বসে আছে তা নয়, ছোট ছো্ট এ প্রাপ্তিগুলোকে সে অনেক বড় প্রাপ্তির কাছে জমা করার জন্য অপেক্ষা করছে। হয়তো আরো কিছুটা সময় তার কাটবে এ অপেক্ষার প্রহরে, তার এ অপেক্ষা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সে নিজেও জানেনা তবে ছেলেটি বিশ্বাস করে তার অপেক্ষারা কখনো ব্যর্থ হয়না, তার মন, চিন্তা, ভালবাসারা কখনো তার সাথে প্রতারণা করেনা। যদিও তাকে তার জন্য অনেক ত্যাগ করতে হয়, সাধনা করতে হয়, হয়তো অপেক্ষাও করতে হয়তে তাকে বছরের পর বছর, তবুও তার ক্লান্তি নেই কারণ সে জানে তার মন, চিন্তা, ভালবাসারা কখনো তার সাথে প্রতারণা করেনা। তার মনের এই সাহস তাকে বহুদূর নিয়ে যায়। আর তাইতো তার জীবনের অনেক কিছুর মতো ছেলেটি মেয়েটিকে ভালবাসায় কখনো হতাশ হয়নি, ফিরে তাকায়নি, ধৈর্য হারায়নি, ক্ষ্যান্ত দেয়নি। শুধু নিরন্তর ভালবেসে গিয়েছে, ভালবাসা দিয়ে গিয়েছে। ছেলেটির অনেক প্রতিকূলতার মাঝেও ছেলেটি অপেক্ষা করছে হয়তো একদিন তার এ অপেক্ষার প্রহরে বড় প্রাপ্তি তার নিকট ধরা দিবে। সে অপেক্ষা হয়তো বছর ঘুরে যেতে পারে বা কম বেশী অথবা অনন্তকালের জন্য। তবুও তাতে তার কোন ক্লান্তি আসবেনা, ক্লান্ত হবেনা। যেদিন মেয়েটিকে তার একান্তভাবে পাওয়া হবে, প্রভুর কাছে তার প্রার্থনা গ্রহনযোগ্য হবে, সেদিন তার চোখের অশ্রুগুলো সফল হবে।
ছেলেটি সেদিনের অপেক্ষায়……………………………..
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×