লাকসামে সাঈদীর রায় পরবর্তী সহিংসতায় পুড়িয়ে দেয়া সেই বাড়িটি ঃ পুনর্বাসন পর্ব
আজ থেকে এক বছর আগে বাড়িটি যখন পুড়িয়ে দেয়া হয় তখন পোড়া বাড়ি ও হতাভাগা পরিবারের ছবিসহ একটি পোস্ট দিয়ে এই বিষয়ে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলাম।
সেই পোস্টের লিংক ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে জানিয়েছিলাম এগিয়ে আসার জন্য। ভাবলাম তিনি ব্যস্ত সময় পান না। তাই আমার মেসেজটি তার চোখে পড়েনি। কয়েকদিন পরে তার তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেস্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ইনবক্সে মেসেজটা দিয়ে সাহায্য করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এবারও কোন সাড়া শব্দ নেই। ভাবলাম তাদের সাহায্য করার জন্য আবেদন সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে। যেকোন কারনেই হোক তা অগ্রাহ্য করা হয়েছে। ইতিমধ্যে যশোরের মালোপাড়ায় আক্রান্ত এলাকা প্রশাসন থেকে পুনর্বাসন করা হয়ে গেছে। বুঝলাম বিকল্প পথে হাটতে হবে। আক্রান্ত পরিবার যদি একটি হয় তাহলে সেখানে কারো নজর তেমনভাবে পড়ে না। যদি একটি বাড়ি বা পুরো পাড়া হয় তাহলে হৈ চৈ বেশী হয়।
দেশের সব জায়গায় আক্রান্ত পরিবার ও বাড়িঘর পুনর্বাসিত হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এটি থেকে যাচ্ছে। একদিন তাদের ফোন দিয়ে জানালাম, আর কারো সাহায্যের আশা না করে এবার যেন নিজেরাই ঘর ঠিক করে নেন। তারা জানালো অর্থাভাবের কথা। সামনে বর্ষাকাল। পরের ঘরে কয়দিন থাকা যায়। তাদের পুনর্বাসনের জন্য যে খরচ তা আমার হাতেও নেই। তাই ধীরে চলো নীতিতে এগুলাম। প্রথমে কিছু টাকা দিয়ে বললাম, দেখে শুনে গাছ কিনেন, করাত কলে নিয়ে ঘরের মেরামতের উপযোগী কাঠ তৈরি করেন।
মাস খানেক পরে জানাল, সব রেডি।
এবার বললাম কাঠে আলকাতরা দিয়ে রোদে শুকাতে দেন।
ইতিমধ্যে লাকসামের বিভিন্ন দোকানে খোঁজ নিলাম কেউ আমাকে বাকীতে মাল দিবে কি না । আমি পরবর্তীতে মাসে মাসে কিছু টাকা কয়েক ভাগে দিয়ে পরিশোধ করব। এত বিশাল পরিমানে বাকীতে কেউ দিতে রাজি হচ্ছিল না, যেহেতু আমার বাড়ি লাকসাম থেকে দূরে, আমিও এলাকায় পরিচিত কেউ নই।
আমার এলাকার পরিচিত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও স্কুলের হেড মাস্টার আব্দুল জব্বার স্যারকে পুরো বিষয়টা বললাম । তিনি প্রথমে রাজি হলেন, পরে টাকার পরিমান শুনে দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে গেলেন। লাকসামে তার পরিচিত ব্যবসায়ী আছে , ছাত্র জীবনে তিনি লাকসাম কলেজের ছাত্র ছিলেন। টাকাটা শেষমেষ তার পকেট থেকেই দিতে হয় কি না এই ভেবে আজ না কাল করে সময়ক্ষেপন করতে লাগলেন।
অবশেষে ভয়ে ভয়ে একদিন গেলেন।
যে দোকানদারের কাছে তিনি গেলেন তিনিও আওয়ামীলীগ নেতা। চাহিদামত সব মাল দিলেন।
মাল দেয়ার পর সেদিনই সম্ভবত দোকানদারকে কেউ উলটাপালটা বোঝায়। তিনি চিৎকার চেচামিচি শুরু করে দিলেন, তাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা পরেরদিনই দিতে হবে। তা না হলে ......
এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসে সুশীল সমাজের বিশিষ্ট নাগরিক অত্র অঞ্চলের কমিনিস্ট নেতা কমরেড বিজয় বাবু।
চাকরী-বাকরী এটা সেটা করে তার বেশ কিছু টাকা ব্যাংকে জমা। সে তৎক্ষণাৎ দোকানদারের দাবী পুরন করে তার মুখ বন্ধ করে দিল।
আর এখন আমি সবাইকে মাসে মাসে কিছু কিছু করে দিচ্ছি ।
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মপোলব্ধি......
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।
আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন