চাল ৫০-৭০ টাকা কেজি
সয়াবিন তেল ১৫০-১৬০ টাকা কেজি
আলু ৫০-৬০ টাকা কেজি
পেঁয়াজ ১৩০-১৪০ টাকা কেজি
কাঁচামরিচ ২২০-২৩০ টাকা কেজি
লবন ৪০-৪৫ টাকা কেজি
৪ জন মানুষের একটা পরিবার তিনবেলা খাবারে আলুভর্তা ডাল দিয়ে ভাত খেতে চাইলেও দৈনিক ৫০০ টাকায় কুলায় না। এদিকে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর পরিবারে মাসিক আয় ২০,০০০ টাকার নীচে। তাই এই মুহুর্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আর্থিক সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরা প্রয়োজন। এরচাইতে বড় কোন করণীয় এই মুহুর্তে নেই বলে মনে করি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএসের তথ্য পর্যালোচনা ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) নিজেদের উদ্যোগে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে করা সাম্প্রতিক এক জরিপ থেকে জানা যায়, খাদ্য মূল্যস্ফীতি চলতি বছর রেকর্ড ১৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডির তথ্যমতে, দেশে গত পাঁচ বছরে শুধু ভোগ্যপণ্যের দাম ৩১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি আর অতিরিক্ত মুনাফা'র বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং কার্যকর বাস্তবসম্মত বাজার মনিটরিং করে দ্রব্যমূল্য অচিরেই যৌক্তিক সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে পণ্য বিক্রয় নিশ্চিত করাটা মূল ফোকাসে থাকা উচিত। দায়িত্ব প্রাপ্তরা দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন আশা করি।
আমার এক বন্ধু আমার এই লেখার প্রেক্ষিতে বললো, "শুধু আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্য বেশি না। সারা পৃথিবীতে এই অস্থিরতা চলিতেছে। জাহা কন্ট্রোল করা খুবই দুষ্কর।
আমার উত্তর পরিষ্কার, সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি, মুদ্রার বিনিময় হারের পতন রোধ, অযৌক্তিক মুনাফা রোধ, কঠোর বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং কেন্দ্রীয়ভাবে পণ্য বিপনন পলিসি মেকিং এবং যথাযথ প্রয়োগে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমপক্ষে ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশ কাস্টমস এর ডেটাবেস থেকে আমদানিকৃত পণ্যের মোট খরচের সাথে খুচরা বাজার মূল্যের তফাত পর্যালোচনা করলেই অনেক শুভংকরের ফাঁকি বের হয়ে আসবে।
জীবনযাত্রার মৌলিক প্রয়োজনগুলোকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না আনতে পারলে সবকিছুই বৃথা যাবে দিনশেষে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:৫৬