somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Four Beautiful Ladies, বাংলাদেশী মডেলিং জগতে যাদের তুলনা ছিল শুধুই তারা - ওরা চারজন (পেছনে ফিরে দেখা)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মাঝে মাঝে এমন হয় যে, একটা দীর্ঘ এক ঘন্টার নাটকের চাইতে ৩০ সেকেন্ড বা এক মিনিট এর একটা বিজ্ঞাপন আমাদের মনে অনেক গভীর দাগ কেটে যায়। আর নব্বই এর দশকে এরকম বিজ্ঞাপনের কিন্তু অভাব ছিলো না। ফিলিপস বাত্তি, মেরিল বেবি লোশন, শাইন পুকুর, ডিপ্লোমা গুঁড়া দুধের বিজ্ঞাপনগুলো এখনো নস্টালজিক করে সে সময়কার ইয়ং জেনারেশনদের। আর অতি অবশ্যম্ভাবী যে, সেই বিজ্ঞাপনের মূখ্য চরিত্রের মডেলরা দর্শক হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন খুব সহজেই। আর সে সময়ের তরুন-যুবা'দের হৃদয় হরণকারীনি চার মডেল কন্যাদের সংক্ষিপ্ত কথন নিয়ে আজকের এই পোস্ট। তার আগে এই সিরিজের শুরুর পেছনের ছোট্ট একটা গল্প বলে নেই।

২০১৮ সালের কুরবানি ঈদের অনুষ্ঠানমালায় মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের “রাঙ্গা সকাল” অনুষ্ঠানে হাজির করা হল হারিয়ে যাওয়া মডেল-অভিনেতা ফয়সাল’কে। বহুদিন পর তাকে দেখে মনে পড়ে গেল বাংলাদেশ টেলিভিশনের সেই সময়গুলোর কথা যখন এই দেশে বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে তারকা খ্যাতি’র শীর্ষে ছিলেন বেশকিছু পরিচিত মুখ। এখনকার মত অভিনেতা/অভিনেত্রী, নায়ক/নায়িকা, গায়ক/গায়িকা নয়; এক চেটিয়া দখল ছিল এদের হাতে আমাদের বিজ্ঞাপনী মডেল জগত। নস্টালজিক হয়ে গিয়েছিলাম। তখনই মাথায় ছিল এ নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার। সময় আর ব্যস্ততা’র কারনে দেয়া হয় নাই। আজ যখন হাতে কিছুটা অবসর সময় পেলাম ভাবলাম লিখেই ফেলা যাক ছোট করে হলেও একটা পোস্ট। আমার দেখা সেই সময়ের চার নক্ষত্র মডেল হলেনঃ নোবেল, শিমুল, পল্লব, ফয়সাল। সংক্ষেপে এদের নিয়ে লিখলাম একটা পোস্টেঃ Four Handsome, বাংলাদেশী মডেলিং জগতে যাদের তুলনা ছিল শুধুই তারা - ওরা চারজন (পেছনে ফিরে দেখা)। তো সেই পর্ব লেখার সময় বলেছিলাম পরের কিস্তি লিখবো সেই সময়ের চার মডেল কন্যা মৌ, তানিয়া, সুইটি এবং রিয়া'কে নিয়ে। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন বছর, ব্লগে ছিলাম না বলা চলে; মাঝে মাঝে উদয় হয়ে ডুব দেয়া। তো এখন যেহেতু কিছুটা নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করছি, তাই সেই কিস্তিটা আজ লিখে ফেলা যাক। আর এই ধরনের একটা সিরিজ না হয় চালু রাখা যাক, যার শিরোনাম হবেঃ ওরা চারজন (পেছনে ফিরে দেখা)। আগামী পর্বে না হয় লিখবো ৯০ এর দশকের চার নাট্য তারকা অভিনেতা তৌকির আহমেদ, আজিজুল হাকিম, জাহিদ হাসান আর টনি ডায়েস'কে নিয়ে।

তো আসুন শুরু করি আজকের পোস্টঃ

===========================================================================


(০১) সাদিয়া ইসলাম মৌ
বাংলাদেশের মডেল শব্দটি উচ্চারণ করলে সবার আগে দুটি নাম চলে আসে, নোবেল-মৌ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা নারী মডেল কে? এর উত্তরে প্রায় শতভাগ মানুষ বেছে নিবেন সাদিয়া ইসলাম মৌ'কে। ১৯৭৬ সালের ২১ জুন জন্ম এই বাংলাদেশী মডেল কন্যার, বাবা প্রয়াত সংগীতশিল্পী সাইফুল ইসলাম এবং মা রাশা ইসলাম। যখন ক্লাস সেভেন/এইটে পড়েন, তখনই একটি শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়ে মডেলিং জগতে আবির্ভাব তার। তবে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার যাত্রা সাড়ে তিন বছর বয়সে নাচের মঞ্চ দিয়ে। হ্যাঁ, সাদিয়া ইসলাম মৌ মডেল এর চাইতে আগে নৃত্যশিল্পী। আর এর পেছনে ছিলেন তার মা। তার নানা আজফার হাসান মাহমুদ ছিলেন শান্তিনিকেতনের শিক্ষার্থী এবং রবীন্দ্রনাথের ছাত্র। আর মা রাশা ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের স্টিল অ্যাড মডেলিং-এর পথিকৃৎ এবং বাংলাদেশের প্রথম মডেল ও নৃত্যশিল্পী। সেই ছোট্ট বয়স থেকে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হয়ে শিক্ষকতা থেকে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট এ জড়িয়েছেন। মৌ এর উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞাপন এর বিবরণ দিতে গেলেও পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাবে। তবে মৌ ও নোবেল দুজনেই কেয়ার বিজ্ঞাপনগুলোকে নিয়ে গিয়েছিলেন অন্য পর্যায়ে। হয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ব্রান্ড লাক্সের মডেল, করেছেন পাকিজা প্রিন্ট শাড়ী, আপন জুয়েলার্স, মৌচাক জুয়েলার্স সহ আরো অনেক বিজ্ঞাপন। সর্বশেষ করেছেন মোবাইল কোম্পানী রবির বিজ্ঞাপন, তার সেরা জুটি নোবেলের সাথে। ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম তিনি টেলিভিশন নাটক "অভিমানে অনুভবে" এর মাধ্যমে টিভি নাটকে যাত্রা শুরু করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ অল দ্য বেস্ট, বদনাম, মনে পড়ে রুবি রায়, নীল আকাশ প্রেম বিষ, ইত্যাদি। ১৯৯৪ সালে ইত্যাদির গানে মডেল হতে গিয়ে পরিচয় ঘটে নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা জাহিদ হাসানের সাথে, সেখান থেকে ভালবাসা এবং অতঃপর বিয়ে। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে, মেয়ে পুষ্পিতা এবং ছেলে পূর্ণ। বর্তমানে মডেলিং-এ খুব কম দেখা দিলেও নৃত্য করেন নিয়মিত। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আছেন।

===========================================================================


(০২) তানিয়া আহমেদ
নব্বই এর দশকের আরেক জনপ্রিয় মডেল তানিয়া আহমেদ। ৫ই জুন ১৯৭২ সালে জন্ম এই মডেল এবং অভিনেত্রীর। পিতা জনাব নাসিম আহমেদ বিশ্বাস একজন অধ্যক্ষ ছিলেন। তার পৈতৃক নিবাস পটুয়াখালী জেলার কলাপড়া থানার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া গ্রামের বিশ্বাস বাড়িতে। এদিকে তার আপন দুই মামা চিত্র তারকা সোহেল রানা এবং রুবেল। তো বাংলা চলচ্চিত্রের দুই স্বনামধন্য নায়ক এর আপন ভাগ্নী হওয়ার সুবাদে ছোটবেলা থেকেই মিডিয়া জগতের সাথে পরিচিতি ছিল। একদিন নিতান্তই খেয়ালের বশে মডেলিংয়ের জন্য বিনোদন দুনিয়ার কিংবদন্তি আফজাল হোসেনের কাছে অডিশন দিতে যান। সেখানেই অফার পান ‘ডায়মন্ড তেল’-এর বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার জন্য। সেটাই তানিয়ার শুরু, প্রথম বিজ্ঞাপনেই সাড়া ফেলেন। এরপর ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন মডেলিং জগতের প্রিয় মুখ। মডেল হয়েছেন হেনোলাক্স, আজাদ প্রোডাক্টস, এইচআরসি টি, এরপর নাটকে অভিনয় শুরু ১৯৯৫ সালে 'সম্পর্ক' নাটকের মাধ্যমে। তার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছেঃ দক্ষিণের ঘর, আদিত্য, আগামী কালের রূপকথা, সেকু কোন্দার, মন্থর, রঙের মানুষ, মাধুরী ও অন্যান্য, রূপালি রাত্রি, রঙের মানুষ, ভবের হাট, ঘটক এবং আমরা প্রভৃতি। প্রভৃতি। ২০০৪ সালে হুমায়ুন আহমদে এর 'শ্যামল ছায়া' চলচ্চিত্র দিয়ে যাত্রা শুরু বড় পর্দায়। এরপর মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী'র 'মেড ইন বাংলাদেশ' (২০০৭), হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত 'নয় নম্বর বিপদ সংকেত" (২০০৭) চলচ্চিত্র, ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'বিশ্বরণ্যের নদী' এবং হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে মেহের আফরোজ শাওন নির্মিত 'কৃষ্ণপক্ষ' সিনেমায় অভিনয় করেন। এই গুণী শিল্পী ১৯৯৯ সাল থেকে শুরু করেন গানের ভিডিও পরিচালনা; এরপর ২০০৪ সালে চলচ্চিত্র সম্পাদনা এবং ২০০৮ সালে নাট্য পরিচালক হিসেবে নাম লেখান। ১৯৯৯ সালে সঙ্গীতশিল্পী এস আই টুটুলকে বিয়ে করেন এবং তাদের দুই সন্তান শ্রেয়াশ আহমেদ ও আরশ আহমেদ'কে নিয়ে সুখী দাম্পত্য জীবন পার করছেন।

===========================================================================


(০৩)তানভিন সুইটি
নব্বই এর দশকের আরেক জনপ্রিয় মডেল সুইটি; পুরো নাম তানভিন সুইটি বেগম। পিতা আব্দুর মোতালিব, ঢাকার নিবাসী। ১৯৯১ সালে হুট করেই মডেলিং এ যাত্রা, সুইটির মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু হয় ইন্টারমিডিয়েটে পড়াকালীন সময়ে। নিজের এক বান্ধবীকে মডেলিং করতে দেখে নিজেও উৎসাহী হন এই মাধ্যমে। ফিলিপস কোম্পানির ক্যালেন্ডার মডেল হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। এর পর মডেলিং জগতের একচ্ছত্র কারিগর আফজাল হোসেন এর হাত ধরে ডায়মন্ড ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন দিয়ে তার টিভি বিজ্ঞাপনে কাজ করা শুরু। এরপর সুইটি কাজ করেছেন নিরমা ডিটারজেন্ট, র‍্যাংগস টিভি, এরোম্যাটিক বিউটি সোপ, ট্যাং মিনি প্যাক সহ বহু জনপ্রিয় টিভি বিজ্ঞাপনে। মডেলিং এর পাশাপাশি ১৯৯৫ সাল থেকে মঞ্চ নাটকে কাজ করছেন সুইটি। থিয়েটার স্কুলে একবছরের একটি অভিনয় বিষয়ক কোর্স এর মাধ্যমে এই জগতে তার পথচলা শুরু। ১৯৯৫ সালে মঞ্চে প্রথম অভিনয় করেন সৈয়দ শামসুল হকের ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ নাটকে। মঞ্চ জগত তিনি মেরাজ ফকিরের মা, স্পর্ধা, তোমরাই এখনও, ক্রীতদাস এবং মুক্তি মঞ্চের নাটকগুলিতে অভিনয় করেছিলেন। এখনো মঞ্চে নিয়মিত তিনি। বিটিভি যুগে প্যাকেজ নাটক শুরু হলে নাটকে অভিনয় শুরু করেন। এর মধ্যে প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহের বিপরীতে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ নাটক অন্যতম। দক্ষিনের জানালা খোলা, আলো আসে আলো যায়, সুন্দরী, হারানের নাত জামাই, পাশাপাশি, সেদিন দুজনে, রং বদল, হে অনন্তের পাখি, দৌড়, যতো দূরে যাই, চিহ্ন, দোকানির বউ, লাবন্যপ্রভা সহ অসংখ্য ভিন্নধর্মী গল্পের নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়, মডেলিংয়ের পাশাপাশি করেছেন টিভি উপস্থাপনাও। ১৯৯৯ সালে ভালবেসে বিয়ে করেন নির্মাতা ও নাট্য প্রযোজক রিপন তাহসিন'কে। নির্মাতা সুইটি টেলিভিশন নাটকও তৈরি করেছেন এবং 'শঙ্খচিল' নামে তার একটি নাটক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আছে। সুইটি অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও, কাজ করেছেন নির্মাতা আবু সাইয়ীদের 'বাঁশি' (২০০৮), দি ডিরেক্টর (২০১৯), আগস্ট ১৯৭৫ (২০২১) চলচ্চিত্রে। এছাড়া রয়েছে তার নিজস্ব বুটিক হাউজ "সুইটি বুটিক" নামে।

===========================================================================


(০৪) ফারজানা রিয়া চৌধুরী
১৯৯২ সালে কোকোলা বিস্কুট-এর বিজ্ঞাপনে প্রথম মডেলিং করেন রিয়া। তার পুরো নাম ফারজানা রিয়া চৌধুরী। তার বাবা জহুরুল হক চৌধুরী ছিলেন আইনজীবী আর মা ইলা জহুর চৌধুরী গৃহিণী। প্রথম বিজ্ঞাপন দিয়েই দর্শকদের মন জয় করে নেন রিয়া। ছোটবেলা থেকে নাচ শিখতেন বুলবুল ললিতকলা একাডেমী'তে। পরবর্তীতে নৃত্যশিল্পী রিয়া বুলবুল ললিতকলা একাডেমীতে নাচের শিক্ষকতাও করেছেন। অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি শেষে ইডেন কলেজ থেকে সমাজকল্যাণ বিষয়ে স্নাতক এবং লালমাটিয়া মহিলা কলেজ থেকে ঐ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। মডেলিং করেছেন কোকোলা বিস্কুট, জেসমিন টেলকম পাউডার, হাঁসমার্কা নারিকেল তেল, ভেনাস জুয়েলার্স, এরোমেটিক বিউটি সোপ, আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন, হেনোলাক্স সহ আরও অনেক পণ্যের। বিটিভি যুগে প্যাকেজ নাটক শুরু হলে প্রায় সকল মডেলদেরই টিভি নাটকে দেখা গিয়েছিলো; ব্যতিক্রম ছিলেন না রিয়াও; কাজ করেছেন টিভি নাটকে। উল্লেখযোগ্য নাটক এর মধ্যে রয়েছে 'যে যেখানে দাঁড়িয়ে', 'চুপ কোন প্রশ্ন নয়', 'খেলা খেলা সারাবেলা', 'কাগজের নৌকা' ইত্যাদি। শেষ নাটক করেছেন ২০১৪ সালে। এর পাশাপাশি বাংলাভিশন চ্যানেলে উপাস্থাপনা করেছেন রূপচর্চা বিষয়ক অনুষ্ঠানও। মডেল রিয়া ২০০৮ সালে মিনহাজ নামের কাতার প্রবাসী একজন বৈমানিককে বিয়ে করেছিলেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ২০১৩ সালের মার্চে আমেরিকা প্রবাসী সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ইভান চৌধুরীকে বিয়ে করেন এবং বর্তমানে সেখানেই একটি ছেলে সন্তান নিয়ে স্বামীর সাথে স্থায়ী হয়েছেন।

===========================================================================

এদের বাইরে মিতা নুর, অল্প বয়সেই যে পরপারে পাড়ি দিয়েছিলেন। তার 'আলো আলো' খ্যাত অলিম্পিক ব্যাটারির বিজ্ঞাপন এর কথা কার না মনে আছে। আর এর পরের প্রজন্মে মোনালিসা অন্যতম মডেল, কিন্তু উপরের চারজনের সময়কাল এ আসেন না। এর বাইরে নাট্য অভিনেত্রী শমী, বিপাশা, মিমি এবং চলচ্চিত্রের মৌসুমী, পূর্নিমারা মডেলিং এ এসেছিলেন; কিন্তু এই পর্ব মূলত যারা মডেল হিসেবেই প্রথম পরিচয়ে পরিচিত তাদেরকে নিয়ে।

===========================================================================

পুরাতন কিছু জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন দেখে শেষ করিঃ



আলো আলোঃ


বাত্তির রাজা ফিলিপসঃ


সোনা জাদু মনিরে, মেরিল বেবী লোশনঃ


বড়রাও কম নোংরা করে না, হুইলঃ



আমার জন্য বাড়ী! শাইনপুকুরঃ


তোমার ঘন কালো চুলে হারিয়ে যায় মন, জুই নারিকেল তেলঃ


বেশী স্বাদ, বেশী কাপ, বেশী লাভ চা, স্টারশিপ কন্ডেন্সড মিল্কঃ


খবর একখান, আরসিকোলাঃ


পয়সা আছে? একটা গান শুনবেন? পেপসি, জেমসঃ


বার্জার রুবিয়ালাকঃ


বম্বে সুইটস পটেটো ক্রাকার্সঃ


ঝলমল কালো চুল, কিউট শ্যাম্পুঃ


মেরিল ফ্রেশ জেলঃ


লেমেন ডিউ সোপঃ


এই টিনের নাম কি, নাম শুনে কাম কি? গরুমার্কা ঢেউ টিনঃ


কেয়া ট্যালকম পাউডার


ঘরের কথা পরে জানলো কেম্নে? বৌরানী প্রিন্ট শাড়ি


সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০
৩৭৫ বার পঠিত
১৬টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভিসা বন্ধ করায় ভারতকে ধন্যবাদ।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩



ভারত ইদানীং ভিসা দিচ্ছেনা; তারা ভিসা না দিয়ে আমাদেরকে শিক্ষা দিতে চায়! তাদের করদ রাজ্য হাতছাড় হওয়া খুবই নাখোশ, এতোই নাখোশ যে মোদী মিডিয়া দিনরাত বয়ান দিচ্ছে এই দেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতের চিকিৎসা বয়কট এবং

লিখেছেন পবন সরকার, ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৬


ভারতের এক হাসপাতাল ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশের কোন রুগিকে তারা চিকিৎসা দিবে না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো যে হাসপাতাল থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে সেই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য বাংলাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। চামচা পুঁজিবাদ থেকে চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল দেশ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৩






চামচা পুঁজিবাদ থেকে দেশ চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা মিলে চোরতন্ত্র করেছে।

সোমবার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত পাঠাবে তবে............

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২


শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে বিচারের জন্য ভারতের কাছে ফেরত চাইতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশকে প্রতিহিংসামূলক বিচারপদ্ধতি বাদ দিতে হবে। বিচারে শেখ হাসিনা যাতে ন্যায় বিচার পান বাংলাদেশকে আগে তা নিশ্চয়তা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত সোনার ডিম পাড়া হাঁস হারিয়েছে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫২



শেখ হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র-অপপ্রচার করছেন। ভারত চাচ্ছে বাংলাদেশে একটি অশান্তি হোক। কারণ ভারত একটি মসনদ হারিয়েছে। সোনার ডিম পাড়া হাঁস হারিয়েছে।

আওয়ামী লীগ প্রতিদিন একটি সোনার ডিম পেড়ে নরেন্দ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×