ইফতারির দাওয়াত খেয়ে এসে রুমে ফিরলাম। ঈদের আগের ক্লাস টার্ম ভাইভা শেষ বিয়াফক মজা । রুমে আমরা ৬ বন্ধু মিলে আড্ডা শুরু করলাম। আড্ডা আর আড্ডা থাকল না। শুরু হল পাগলামি । ৫ জন মিলে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিলাম ---" অতঃপর তারা ছয় জন পাগল একসাথে হইয়া ছাদে আড্ডা দিতে থাকিল...'০৫ এর সকল পাগলকে নিমন্ত্রণ...... "। আরেক পাগল দৌড়ায় বেড়ায়...। স্ট্যাটাস দেয় না। অবশেষে অট্টহাসি দিয়ে সেও দিল স্ট্যাটাস । রাত বাড়ে পাগলামিও বাড়ে । অবশেষে রাত ১২ টায় ঠিক করলাম ঘুরতে বের হব রাস্তায়। সিএনজি ঘন্টা হিসেবে ভাড়া করে । এক পাগল আটকে গেল.... গার্লফ্রেন্ডের সাথে ফোনে নাইট ডিউটি দিতে হবে। যেতে পারবে না। বের হলাম আমরা ৫ পাগল। কাল বাসায় চলে যাব। আবার ঈদ এর পর এভাবে একসাথে হব। তাই পাগলামিরও বাধা নাই আজ রাতে ।
একটা একটা সিএনজি কে বলি। কেউ রাজি হয় না । স্বধিনতা৭১ বলে " এরা বুইঝা ফালাইছে যে ফেসবুকের পাগল রাস্তায় নাইমা আসছে " । অবশেষে একজন রাজি হইল। ঘন্টা ১৫০ টাকা। বের হলাম। সিএনজির পিছনে ৩জন আর সামনে ২জন । সিলেটে সিএনজিতে সামনে দরজায় গ্রিল থাকে না। ৫জন মিলে একটার পর একটা গান গাইতেছি আর ঘুরতেছি ।
সিলেট ক্যাডেট কলেজের সামনে দিয়ে যাবার সময় একটা বেপরোয়া ট্রাক ছুটে আসল। না কিছু হয় নাই । তারপর ছুটলাম এয়ার পোর্ট রোডের দিকে। নির্জন রাস্তা। দারুন লাগছিল রাত্রি ভ্রমন । এয়ারপোর্টের সামনে পার্কিং লটে গিয়ে হঠাৎ পাগল রাকিবের শখ হল সে এইটা কত সেকেন্ডে দৌড়ে যাবে সেটা দেখবে। সময় লাগল ১৫ সেকেন্ড। এরপর মিরাজ মাহমুদ। মাঝপথে গিয়ে স্যান্ডেল স্লিপ করে পড়ল। হাত ছরে গেল অনেকখানি । তাড়াতাড়ি এয়ারপোর্টের পাশে একটা টং দোকানে নিয়ে হাত ধুয়ানো হল। এরপর গেলাম একটা ফার্মেসিতে। ড্রেসিং এর তুলা নাই এখানে । আবার আরেকটাতে গেলাম। ড্রেসিং করিয়ে আবার ফিরতি পথ। আবার গান গাইতে গাইতে গাইতে ফিরে এলাম । কিন্তু গেট এ তালা । কি আর করা!!! দেয়াল টপকাও।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৩৬