ছাত্র হিসেবে খুব ভাল ছিলাম তা নয়, যতদূর মনে পড়ে মেধা ভিক্তিক কোন প্রতিযোগিতা নয় প্রথম পুরষ্কার পেয়েছিলাম এসএসসি পরীক্ষায় ভাল ফল করার জন্য। একটা সংগঠন থেকে এমপি সাহেবের হাত দিয়ে পুরষ্কার হিসেবে দেয়া হয়েছিল- একটা সনদ, "আসাদ থেকে গণঅভ্যুত্থান" বইটি, অক্সফোর্ড এর একটি বাংলা টু ইংলিশ ও একটি ইংলিশ টু বাংলা ডিকশনারী, একটি দামি কলম ও পাঁচশত টাকা। এগুলো খুব যত্ন করে রেখে দিয়েছিলাম যা আজো হয়ত আমার গ্রামের বাড়িতে খুজলে কোথাও পাওয়া যাবে।
গ্রমের কৃষক পরিবারের ছেলে-মেয়েদের ভাল বা মন্দ কোন কৃতিত্বেই মায়েদের ভূমিকা স্বীকার্য নয়, এখানে সকল কৃতিত্ব শুধু বাবাদের। আর আমার ক্ষেত্রে মা তো খোজ নেয়ারই সময়-সুযোগ পেত না। সারাদিন সংসারের কজের চাপে নিজের খেয়াল রাখারই সুযোগ হতনা।
বাবাই ছিল আমার সব।
ছেলে মেয়েদের স্কুলে আনা-নেয়ার সকল দায়িত্বই তার মায়ের। মেয়ে ক্লাস ওয়ান-এ ও ছেলে মাত্র নার্সারী-তে পড়ে। প্লে-তে ভাল ফল করায় ছেলেটা স্কুল থেকে একটা ছড়ার বই উপহার পেয়েছিল। মা-দিবস উপলক্ষে একটি সংগঠন থেকে স্কুলে মেধা-ভিক্তিক প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে গত সপ্তাহেও সে পুরষ্কার পেয়েছে। শুধু তাই নয় তার কৃতিত্বে উক্ত সংগঠন আজ মা-দিবসে তাকে এবং তার মাকে সংবর্ধনা ও উপহার দিয়েছে। মা-ছেলে দুজনই খুউউউব খুশি। কিন্তু মেয়েটার মন খারাপ কেন তাকে উপহার দেয়া হলনা? তাই বাবার কাছে সব অভিযোগ, তবে আগামী বছর সেও পাবে - বাবার এই আশ্বাসে অতপর তার মুখেও হাসি ।
মা-দিবসে সকল মায়ের জন্য শ্রদ্ধা ও ভালবাসা...........
মায়ের সম্মাননা...........
ছেলের উপহার.........
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮