অতৃপ্তিতে ভরে উঠা বিমর্ষ ঋতুতে গ্রীষ্মের গন্ধ।
ভেজা কাশফুল, দলিত ঘাসেও পড়েছে আকাশের ছায়া।
শহরের দেয়ালে দেয়ালে একগুচ্ছ স্বপ্নের মৃত্যুর বিভীষিকার -
দাবানলে পুড়ে গেছে আমাজন বন।
আর সমস্ত পৃথিবী জুড়ে ক্লান্তির ছাপ!
দুটি পাতার ছায়ায় দাঁড়িয়ে পথিকের চোখে রঙিন চশমা;
ধুলায় ধূসর ।
কার্বন মাখা ধুলায় শ্বাস নিতে নিতে হলো তার অভিযোজন ।
মুখে তার একরাশ ধোঁয়া মাখা হাসি!
শীতল আখিতে ভ্রুকুঞ্চনসম তীব্র বঞ্চনার তীক্ষ্ণ তীরে -
বিদ্ধ মুসাফির আজ তিক্ত !
জনশূন্য প্রান্তরে ছন্নছাড়া ঘুঘুর ডাক এসে লাগে -
রোদের শব্দমাখা বিষাক্ত কানে !
লোহার শিকলের মতো জং ধরা সংকোচে তার -
ঘসা লেগে হল তীব্র সংকট ।
একফোঁটা জলের তৃষ্ণায় পাপড়িতে জমে গেল তার লবণাক্ত জল!
পদ্মার বুকেও জমে গেছে পলি, ফেটে চৌচির ; তবুও -
রাক্ষসের তৃষ্ণার নেই সার!
তার প্রচণ্ড পিপাসা !
অপরিণামদর্শী মানুষের ভ্রুকুটি হেরি -
পাঁজরে তার জ্বলে পলাশীর আগুন।
চিলের চোখের মতো সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে দেখে -
পরাজয়ের অনাগত ভবিষ্যৎ !
জলের কষ্ট মনেপড়ে যায় তার।
...............
অতঃপর ;
বিনিদ্র রাত্রিগত, জমে আছে শুধু এক বুক নিশ্বাস ।
তপ্ত দিবসের প্রান্তে পড়ন্ত বিকেল, উড়ে যায় বালিহাঁস
(জুলাই ০৯,২০২০)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫