লেখাটা অতি সংক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তবুও সংক্ষেপেই মোদ্দা কথাটা বলে ফেলি যদিও এতে লেখার গুনগত মান কমে যাচ্ছে। ... লেখাটা কয়েক মাস আগের। তাই নতুন কিছু সংযোজন করতে ইচ্ছে করছে না।
:
কিছু মানুষ একটা গুহার ভিতরে এমন ভাবে বন্দী আছে যে, চাইলেই ঘাঁড় ফিরিয়ে পিছনে দেখতে পারে না। ফলে বাইরের আলো আর সূর্য তারা দেখতে পায় না। তারা শুধু গুহার দেয়ালে বাইরের মানুষের ছায়া, আর কথাবার্তার প্রতিধ্বনি শুনতে পায়। অর্থাৎ তারা শুধু বাস্তবতার ছায়া দেখতে পায়। তাদের পিছনে উজ্জ্বল আগুন জ্বলছে। তার মাঝে ছোট একটা দেয়াল।
এখন তাদের মুক্ত করে দেয়া হলে তারা পিছন ফিরে এ দৃশ্য দেখলে ভাববে, আগে যেভাবে ছিলাম সেটাই ভাল ছিল। কেননা আলোর কারণে তাদের চোখ জ্বালা করছে, আর তারা ছোট দেয়ালের কারণে বাইরের পথ দেখতে পাচ্ছে না। ...
তাদের মধ্য হতে যদি কাউকে বাইরের দুনিয়ায় ঘুরিয়ে আনা হয়, সে যদি বাইরের সূর্য, আলো, প্রকৃতি প্রভৃতি দেখতে পায় তাহলে সে আর গুহা জীবনে ফিরে যেতে চাইবে না। এবংকি যদি জোর করেও তাকে গুহায় বন্দী করা হয়, সে সেখানে ছটপট করতে থাকবে। তার মানিয়ে নিতে কষ্ট হবে।
আর গুহার ভিতরের মানুষ গুলো তার ছটফটানি দেখে তাকে নিয়ে উপহাস ও অবজ্ঞা করবে। কেননা তারা বাইরের জগৎ সম্পর্ক্যে জানে না।
এটাই প্লেটোর গুহা-রূপক। প্লেটোর এই গল্পের অন্তর্নিহিত অর্থ ব্যাপক ও বিশাল । এটি একটি রূপক গল্প যার মাধ্যমে প্লেটো জ্ঞানী আর অজ্ঞানীর মধ্যে পার্থক্য দেখিয়েছেন।
[ সক্রেটিস থেকে সার্ত্রে: দার্শনিক অন্বেষা। ]
(সংক্ষেপে)
April 16,2020
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪২