আমরা যখন রেগে যাই, ইমোশনাল হই, দুঃখ পাই তখন এমন কিছু কাজ বা জিনিস আছে যেগুলোর মাধ্যমে আমাদের রাগ, দুঃখ বা ইমোশন লাঘব হয়। আমাদের ভিতর থেকে এসকল ইন্দ্রিয়তাড়িত কিছু একটা বের করে দেয়ার মাধ্যমে স্বস্তি পাওয়ার প্রক্রিয়াই হচ্ছে ক্যাথারসিস তত্ত্ব ।
কিছু মানুষ আছে যে রেগে গেলে জিনিস ছুড়ে মারে বা ভাঙচুর করে। এতে তার রাগ কিছুটা কমে। কেউ রাগলে বকাবকি করে, গালাগালি করে। এতেও তার রাগ কমে। কেউ বা অন্য কিছু করে। তবে একই পন্থা সবার জন্য কাজ করে না।
দুঃখ পেলে বা ইমোশনাল কোন কারণে মানুষ কান্নাকাটি করে। তখন কিছু মানুষ গান শুনে স্বস্তি পায়। কেউ সুখ পায় স্রস্টার দরবারে প্রার্থনা করে।
কেউ তার মনের অবস্থা অন্য কাউকে বলে সুখ পায়। কোন ট্রাজেডি বা ইমোশনাল মুভি দেখেও কেউ কেউ তার ক্যাথারিসিস ঘটাতে পারে।
আবার কখনো রাগ কিংবা অভিমান ভেঙে প্রিয়জনের সাথে কথা বলে ফেলার মাধ্যমেও ক্যাথারসিস হতে পারে।
এভাবে একএকজনের ক্যাথ্যারসিস একএক ভাবে হতে পারে।
তবে সবচেয়ে ভাল হয়, ব্যক্তি যদি তার ক্যাথারসিসের প্রক্রিয়াটা আগে থেকে বুঝে নিতে পারে।
ক্যাথারসিস হল অন্তরের বিশুদ্ধিকরণ পদ্ধতি। রাগ, ঘৃণা, হতাশা, ভয়, দুঃখ প্রভৃতি নেতিবাচক আবেগ মন থেকে বের করে দিয়ে স্বাভাবিক হওয়ার পদ্ধতি ।
এরিস্টটল সর্বপ্রথম এ শব্দটা তার পয়েটিক্স নামক গ্রন্থে ব্যবহার করেন। তিনি ট্রাজেডি নাটকের মাধ্যমে ক্যাথারসিসের কথা বলেছেন যদিও এটি হতে পারে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, ছবি আঁকা প্রভৃতির মাধ্যমে। বর্তমানে মনোবিজ্ঞানে এ শব্দটা বহুল পরিচিত ।
[ নিজের মতো করে সংক্ষেপিত ]