(এক)
এক যে ছিল প্রজাপতি। প্রজাপতিটা যেমন ছিল দু্ষ্ট তেমনি মিষ্টি।
প্রজাপতিটা গান গাইতে পারতো গুনগুন করে। আর পারতো ডানা মেলে উড়ে উড়ে নাচতে।
তার দুই ডানা জুড়ে ছিল অনেক অনেক রং।
ও য়া ও....
দেখতে কী দারুন সুন্দর।
কত রকম রং!
পাখায় তার লাল রং, নীল রং, হলুদ রং, বেগুনী রং। আরো কতো রং!
(দুই)
প্রজাপতিটা সারাদিন ঘুরে বেড়ায়, এখানে, সেখানে।
বাগানে, নদীর ধারে, সবুজ মাঠে
বাড়ির ছাদে, বারান্দার টবের ফুল গাছে।
কারণ, ফুলের পাপড়িতে বসে পাখা নাড়তে প্রজাপতির খুব ভালো লাগে।
তিড়িং....বিড়িং...থাক...ধিনা...
(তিন)
অর্থি বারান্দায় লাগিয়েছে অনেক রকম ফুলের চারা।
কোনটাতে ফুটেছে লাল ফুল, কোনটাতে হলুদ ফুল।
একদিন হলো কী জানো!
প্রজাপতির চোখ পড়লো অর্থিদের বারান্দার টবে।
ফুলগুলো দেখে প্রজাপতি বলে উঠল- ও..মা, কী সুন্দর ফুল!
সেই বলে প্রজাপতি ফুলে দুলতে শুরু করলো।
দুল...দুল...দুলুনী...
টবের ফুলগুলো প্রজাপতির খু-উ-ব পছন্দ হয়ে গেল।
(চার)
অর্থি টুকটুকে লালপরী জামা পড়ে ঘরে বসে ছবি আঁকছিল।
প্রজাপতির কথা শুনে বারান্দায় এলো অর্থি।
প্রজাপতির সাথে অর্থির অনেক গল্প হলো। মজার মজার গল্প।
....হুম মজা....
অর্থি গান গাইতে পারে।
ছবি আঁকতে পারে।
বই পড়তে পারে।
ছড়া বলতে পারে।
অর্থি মাছ ধরতে পারে।
(পাঁচ)
পরের দিন সকাল বেলা প্রজাপতি এসে হাজির।
প্রজাপতি এসে বললো- অর্থি, আমি বারান্দায়। তোমার জানলা খোল।
অর্থি, আমি বারান্দায়। তোমার জানলা খোলো।
অর্থি পর্দা সরিয়ে জানলা খুলে দিল।
জানলা দিয়ে প্রজাপতি অর্থির ঘরে এলো।
আর আসতেই অর্থির ঘর নানান রংয়ে ভরে গেল।
ও য়া ও....
অর্থি মহাখুশি। সে কখনো এতো রং দেখেনি।
লাফাতে লাগলো- কী মজা, কী মজা।
(ছয়)
অর্থির সাথে প্রজাপতির খুব বন্ধুত্ব হয়ে গেলো।
ওরা একসাথে খেলে, হাসে, গান গায়।
টিং...টিং...টিং...টং
এবার তাহলে একটা মজার গান শিখি সবাই মিলে।
প্রজাপতি প্রজাপতি
প্রজাপতি প্রজাপতি
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা
টুকটুকে লাল নীল ঝিলিমিলি আঁকাবাঁকা।।
তুমি টুলটুলে বন-ফুলে মধু খাও
মোর বন্ধু হয়ে সেই মধু দাও,
ওই পাখা দাও সোনালী-রূপালী পরাগ মাখা।।
কোথায় পেলে ভাই এমন রঙ্গীন পাখা
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৫