জীবনের দায়িত্ব কখনই বোধ করিনি জীবনের কোন বাঁকে,
আমি মনের হুকুমে চলি,হই ভবঘুরে একা পথে,যখন তখন।
নীলের সাথে জলের লীলায় বাঁধ সাধি ঘোর অন্ধকারে।
তারপর আবার হেঁটে চলি খুনী রেললাইনের বুকের পরে।
চলতে চলতে থেমে যেতে হয়েছিল ক্ষুধার্ত কিশোরের ডাকে,
ভাত খেতে চেয়েছিল সে,উপায়হীন আমি ভবঘুরে।
সাথে করে নিলাম তাকে,চল দেখি যদি কিছু জোটে!
হাঁটি আর ভাবি,ধনীর দুয়ারে এ রাতে ভৎর্সনা ছাড়া কি দেবে?
সেই ভালো যাই সমব্যথী কারো কাছে,যদি দয়া করে!
সারা রাতের অত্যাচারে ঢল ঢল চোখে তাকে খেতে দেখে,
আমি আর কিশোর দৌড়ে গিয়ে বলি,আমাদের খেতে দেবে?
মুচকি হেসে বলেছিল সে,কেন দেবনা ভাই?পারবে খেতে?
পেট পুড়ে খেয়ে মহা সুখে,বললাম,বুবু আজ যাই তবে?
হঠাৎ করেই কেঁদে ফেলল সে,অশ্রু লুকিয়ে হেসে বলে-
বেশ্যাকে বুবু বলে ডাকলে?তোমার জাত যাবেনা তাতে!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২২