সেই কবে আমার মুখ থেকে সম্মোধনমুলক "মা" আর "বাবা" শব্দটা বের হয়েছে মনে করতি পারছি না । কারন আমার পুরো শৈশব কাল পিতার স্নেহের পরশ থেকে বঞ্চিত। ১৯ বছর বয়সে মাথার উপর থেকে মায়ের অভিভাবকত্বের ছায়াটা ও সরে যায়। আমার জীবন চলা হয়ত থেমে নেই কিন্তু এর মাঝে অপুর্নতার কত বিশালতা তার পরিমান ও আমার জানা নেই।
বিবাহ করেছি আড়াই বছর চলছে। মায়ের একপাশে আমি আর অন্যপাশে আমার অর্ধাংগিনীকে নিয়ে ফ্রেমে বাধা কোন ছবির স্মৃতি দেখার সুযোগ আমার হয় নাই। মায়ের সেবা করার জন্য নিজের স্ত্রীকে উপদেশ কিংবা আদেশ দেওয়ার তৃপ্তির সেই অনুভুতি আমার হয় নাই।
ছোটকাল থেকেই মনে মনে একটা স্বপ্ন লালন করতাম, "স্ত্রীর কথায় কোনদিন মায়ের সামনে অচেনা সুরে কথা বলব না"।
আজ কোন সন্তানকে তার পিতা-মাতার অবাধ্য হতে দেখলে খুব কষ্ট পাই। মুল্যবান রতনের অবমুল্যায়ন সইতে পারি না।
সারাদিন মানুষদের এই বিবেকবর্জিত কাজগুলো দেখে রাতের অন্ধকারে প্রভুর কাছে শুধু এই মিনতি করি, " হে আল্লাহ! অবুঝদের বুঝ দাও। আর আমার মা-বাবাকে তোমার রহমতের চাদরে ঢেকে রাখ। আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭