প্রকৃতির মাঝে একটি নিত্য সুন্দর খেলা বিদ্যমান। প্রাতের সূর্য ক্রম বহমান ধারায় ভর করে গুটি গুটি পায়ে মধ্য গগণে ধাবিত হয়। তার সকালের পরশ সকালের সমস্ত প্রাণি, সমস্ত উদ্ভিদের অঙ্গ ধারায় মেখে দুপুরের স্নানের জন্য প্রস্তুতি নেয়। প্রকৃতির এ অববাহিকায় আজও এ ধারার কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। কেবল ব্যত্যয় ঘটল তোমার মাঝে।
শৈশব পেরুলে। কৈশোরের আগেই সমাজ নামক সংস্কারের ত্রিভূমিতে নিজেকে আবদ্ধ করলে। কি বুঝলে, আর কি বুঝলে না তা আর জানা হল না। কে পাইল, আর কে পাইল না তাও আর বুঝা হল না।
কিন্তু আমি বুঝলাম যে,- ‘আমি পাইলাম না।’
“পাইলাম না” এই কথাটার একটা অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আছে। এটা আমি যতটা না বুঝলাম, তুমি যতটা বুঝলে, তার চেয়ে বেশি বুঝেছিল অপু। কারন সে হৈমন্তীকে পেয়েছিল। যে পাওয়ার আনন্দ বুঝতে পারে, তার মাঝে না পাওয়ার শঙ্কা থাকে। সে শঙ্কা থেকেই বলেছিল, “আমি আজ হৈমন্তীকে পাইলাম।”
আমার ক্ষেত্রে তার পুরোই উল্টো। বেচারা হৈমন্তীকে না পাওয়ার জ্বালা আমার নাই, কারন যে পেয়ছিল সে তাকে বুঝতে পেরেছিল। কিন্তু হইমন্তীরূপী যাকে কল্পনা করেছি, তাকে যে পেল প্রকৃতই কতটুকো পেল তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১