প্রায় ১৪ শত বছর পূর্বে মুহাম্মদ (সাঃ) এর আগমনে পৃথিবীতে ইসলাম ধর্মের আগমন। ইসলাম শুরুতে শুধু আরব জাতির মাঝে সীমাবদ্ধ থাকায় তখন এর প্রচার বা প্রসার বা মান্যতায় খুব বেশি দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়নি ( যুদ্ধ,কলহ ছাড়া)।
কিন্তু ইসলাম যখন আরবদের ছাড়িয়ে অন্য রাষ্ট্রগুলোতে বিস্তার লাভ করল তখনই কিছু কিছু জাতিগত দ্বন্দের উদ্ভব হল। যেমনঃআরবদের হাত ধরে উপমহাদেশে ইসলামের প্রচার ও প্রসার লাভ। সুফি, মুসলিম ব্যাবসায়ীদের দ্বারা প্রথমে সবাই ইসলামকে জানতে পারে। এইভাবেই ইসলামের সুচনা হয় আর এরি ধারাবাহিকতায় মুসলিম রা প্রায় ৭০০ বছর এই উপমহাদেশে শাসন করে। এই সুযোগে ভারত উপমহাদেশে ইসলামের ব্যাপক প্রসার লাভ। ৪৭ এ ২ টা রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয় শুধুমাত্র ধর্মের উপর ভিত্তি করে।
এর পর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে আমরা মুসলিম ও বাঙালি এই দুই পরিচয়ে বড় হই।
আর এই দুই পরিচয়ে বড় হতে গিয়ে মাঝে মাঝে নিজেদের মাঝেই কিছু কিছু দ্বন্দের উদ্ভব হয়। আর মুসলিম ও বাঙালি সাংস্কৃতির পার্থক্য অনেক। হাজারো বছর ধরে বয়ে চলা বাঙালি সাংস্কৃতিক দিক গুলো ইসলামের সাথে অনেকাংশেই সাংঘর্ষিক।
আর এই বাঙালি সাংস্কৃতিক মূলত হাজারো বছর ধরে বয়ে চলা ধর্মীয় প্রনালীর রুপান্তরিত রুপ।আর এক জন মুসলিম বাঙালি হিসেবে আমাদের দুই দিকটাই খেয়াল রেখে চলতে হবে।
দুইটা দিক খেয়াল রাখতে গেলে অবশ্যই দেখতে হবে আমার দ্বারা যেনো কোনটি অবমাননাকর না হয়।
ইসলামে যে কাজটি স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ তা থেকে বিরত থাকা।
বাঙালি কালচারে যে কাজটি ইসলাম সমর্থিত নয় সেটা থেকে বিরত থাকুন।
আর ইসলাম সবসময় মধ্যম পন্থাকে বেছে নিতে বলেছে। ধর্ম নিয়ে কোন বারাবারি নেই। যারা এই গুলো করবে তারা বেশি আবেগতাড়িতভাবেই করছে। দেশের আইন আছে সে অনুযায়ী দোষীদের শাস্তির ব্যাবস্থা হবে।
আপনার চোখে কিছু খারাপ লাগলে অবশ্যই বলবেন, প্রতিবাদ করবেন তবে তার জন্য নিয়ম আছে, নিয়মহীন কোন কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়।
পরিশেষে এইটাই বলব সহিষ্ণু হতে হবে সকল ধর্মের সবাইকেই। আপনি যখন ইউরোপ অথবা আমেরিকায় যাচ্ছেন তখন বাঙালি বলেই প্রথমে পরিচয় হয়।
আবেগ তারিত হবার আগে ভাবতে হবে আমার আবেগ জাতির জন্য কোন ক্ষতির কারন হচ্ছে কিনা?
আপনি ভালো কিছু করতে না পারেন ঠিক আছে কিন্তু ক্ষতি করার আধিকার আপনার নাই।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩