মাঝে মাঝে গল্পকার উপন্যাসিক জাফর ইকবাল সাহেব পত্রিকায় লেখালেখির সত্য আর গল্পময়তায় গুলিয়ে ফেলেন । তাতে গল্পের মান রক্ষা হয়, চাটুকারিতার পদ রক্ষা হয় কিন্তু একজন লেখকের জাত রক্ষা হয় না । কারণ গল্প মিথ্যা সবাই জানে কিন্তু এই কলামায়িত গল্প কিন্তু বিভ্রান্তি ছড়ায় । আর যদি এর মাধ্যমে যদি সরকারের সফলতা ব্যার্থতার ভুল মানদণ্ড তৈরী করে দেন তার প্রভাব মারাত্মক । এই অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে সবাই শুধু একজন জাফর ইকবালের লেখা পড়েই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় না । বাস্তবতার সাথে মিলিয়েও নেয় । তখন মিথ্যাবাদীদের কে ঠিকই ছুড়ে দেয় ইতিহাসের আস্তাকুড়ে ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক আমিও চাই । কিন্তু এনার মেয়ের শ্বশুড় ওনার পার্টির লোক এমন করে সব বাদ দিয়ে একেবারে ধরে ধরে জামাতের লোকদের ঝুলিয়ে দেয়ার যে মানসিকতা তাতে জাফর ইকবাল সাহেবদের মতো শ্যাম কুল দুদিক রক্ষা করতে সরকারকে গোল্ডেন এ প্লাস দিতে পারেন আমি এফ গ্রেড দেয়ার বিকল্প দেখিনা ।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা তারা করেছেন । তা ছিলো আদর্শিক তা লালপানির ঘোরে না থাকলে যে কেউ বুঝতে পারেন ।
এইসব লোকেরা যারা অগনিত হত্যা ধর্ষণ লুটতরাজ করেছে চল্লিশ বছর আগে আর এখন 'তারা' কী নপুংশক হয়ে গেছেন, লুটতরাজ ভুলে গেছেন ? সত্যি সেলুকাস !
শিবিরের ছেলেরা দেশপ্রেম মানে মাথায় পতাকা বেধে নাচানাচি কিংবা পহেলা বৈশাখে ঐ রবীন্দ্রসংগীত গাওয়াকে 'দেশপ্রেম' মনে করে না । যারা এমন দেশপ্রেমিক বলে নিজেদের দাবী করেন তাদের অনেকেই নিজের অবস্থানে থেকে দুনীঁতি, ঘুষ চাদাবাজি, ফাও খেয়ে, নেশা করে, বলাত্কারের শতক উদযাপন করে তাদের 'স্বাধীনতার চেতনা'র প্রকাশ করেন । তাদের এই অনুষ্ঠানসবর্স্ব দেশপ্রেমকে ধিক । এক্ষেত্রে এসব 'অদেশপ্রেমিক' শিবিরের ছেলেরাই তাদের চরিত্র ও আমানতদারীতার ক্ষেত্রে উজ্জল দৃষ্টান্ত ।
জাফর সাহেব আসুন একটা পরীক্ষা করি । একটি ক্যাম্পাসে শিবিরকে দায়িত্ব দিন আরেকটাতে আপনার অতিচেতনার অধিকারী ছাত্রদেরকে দায়িত্ব দেখুন কোন ক্যাম্পাসে লেখাপড়া ও সৃজনশীলতা বিকাশের পরিবেশ থাকে আর কোন ক্যাম্পাসে কনডম, ফেনসিডিলের বোতল আর গাজার পুড়িয়ার ছড়াছড়ি থাকে । তারপরও ঐ শিবের গীত চলবে এরা স্বাধীনতার বিরোধী হ্যান ত্যান । আপনার ঐ নোংরা চোখ দিয়ে সফেদ সৌন্দর্য চোখে পড়েনা পড়ে শুধু নর্দমার কীট আর বস্তাপচা আদর্শের ধজ্জাধারী সুবিধাবাদী কিছু মানব সদৃশ জন্তু । যারা সমাজকে যৌনরোগের জীবানু ছাড়া কিছু দিতে পারে না ।
যাই হোক । আপনার পত্রিকার গল্প গুলো দারুণ হয় ।ভুল করে বিশ্বাস করে ফেলতে ইচ্ছে হয় । যখন লোডশেডিং, উচ্চদ্রব্যমূল্য আর ক্রমশ বেড়ে যাওয়া তেল গ্যাস বিদ্যুতের দাম মানুষের হৃদয়ের ক্ষত বাড়িয়ে চলছে তখন আপনি সরকারের দেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনে অবিরাম বিদ্যুতপ্রবাহের হীমশীতল কক্ষে বসে সরকারে এ প্লাস গোল্ডেন এ প্লাস দিয়ে চলেছেন । ভেবেছেন আপনার এই অদ্ভুত চাটুকারীতায় অবাক হবো ? মোটেও নয় । সমাজে এমন মীর জাফর দের উপাখ্যান নতুন নয় । তবে ভয় হয় এই সংক্ষেপণের যুগে মানুষেরা আবার 'মীরজাফর' গালিটিকে সংক্ষেপ করে 'জাফর' বানিয়ে দেয় কী না !
মনে রাখবেন একটু দয়া করে চাটুকারিতায় সব পাওয়া গেলেও সবচেয়ে দাবী আত্মমর্যাদা বোধটাই কিন্তু হারাতে হয় । চোখ খুলে দেখার চেষ্টা করুন । অকার বিদ্বেষ কোন কল্যাণ আনে না কখনো ।
"পৃথিবীর সব মীরজাফরদের বোধোদয় হোক ।"