ফেরা
সজিব টিএসসির একটা ছোট চায়ের দোকানে বসে আছে স্বর্ণালির জন্য। তারা দুইজন চারুকলার স্টুডেন্ট। স্বর্ণালি আজ ক্লাসে যায়নি। সজিবকে ফোন দিয়ে টিএসসিতে থাকতে বলেছে। সজিবের আজকে চারটা টিউশনি। এখন বাজে বিকেল ৫টা। স্বর্ণালি এখনো আসেনি। আজকে নির্ঘাত দুইটা টিউশনি মিস যাবে। একদিন মিস দেয়া মানে দ্বিতীয় দিন স্টুডেন্টের বাবা অথবা মার ফোন আসবে। যেন একদিন না পড়ানতে স্টুডেন্ট এক বছর পিছিয়ে গেছে। সজিব বিরক্ত হলেও স্টুডেন্টের গার্জিয়ানের কাছ থেকে ফোন পেয়ে বেশ বিগলিত হয়ে বলবে, জি অ্যান্টি কালকে অনেক বিজি ছিলাম। সময় করতে পারিনি একদম। আর ফোন দিয়ে যে জানাবো আজকে আমি আসতে পাড়ছি না সেই সময়টাও পাইনি। সমস্যা নেই অ্যান্টি, আমি ওর পড়া কাভার করে দিবো। আগামী অফডেতে আসবো পড়াতে।
এভাবে মিথ্যা কথা বলতে একদম ভাল লাগে না। কিন্তু কি করতে পাড়ে সজিব! প্রায়ই তাকে স্বর্ণালির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। ১ ঘণ্টা দেড় ঘণ্টা লেট স্বর্ণালির কাছে কোন বিষয় না। আজও হয়তো এসে বলবে, সজিব তুই যা এখন, আমার অনেক কাজ আছে। আর এইদিকে যে সজিব এতক্ষণ অপেক্ষা করলো তার কিছুই না। সজিবও কিছুই বলবে না। লজ্জা মাখা একটা হাসি দিয়ে বলবে, ঠিক আছে। তারপর হয়তো একটু সময় মন খারাপ করে রেখে একটা গান ধরবে মনে মনে, আমার স্বপ্নগুলো কেন এমন স্বপ্ন... বলেই থেমে যাবে। নাহ, সজিব এই গান কখনো গাইতে চায় না। তবুও এই গানের কথাগুলো তার মুখস্থ। সে চায় না তার স্বপ্নগুলো অধরা থাকুক। গানের সাথে স্বপ্নের ধরা অধরার কি সম্পর্ক এটা সজীবই ভাল বলতে পারবে।
সজিব ইতিমধ্যে দুই কাপ চা খেয়েছে স্বর্ণালির জন্য অপেক্ষা করতে করতে। সাথে ৭টা সিগারেট। ব্যাগে থাকা ‘প্রতীচ্য পুরাণ’ বইটাতে ডুবে আছে। আহা, কি একটা আকর্ষণ। পড়া শুরু করলে আর উঠতে ইচ্ছে করে না। তবে সে এখন এতোটা আকর্ষণ অনুভব করতে পারছে না। আজকে তাকে চারটা টিউশনিতে যেতে হবে। দুইটা টিউশনি গতদিন ডুব মারার অপরাধে আজকে কাভার করতে হচ্ছে আর বাকি দুইটা স্টুডেন্ট পড়ানোর ডেট আজকেই। ভেতরে খচখচ করছে আর এইদিকে স্বর্ণালির কোন খবর নেই।
চোখ উপরে তুলতেই খেয়াল হল কেউ একজন এগিয়ে আসছে। লাল শাড়ি পড়া। কাঁধের একপাশে কালো একটা চাদর ভাঁজ করে ফেলে রেখেছে। হেলতে দুলতে স্বর্ণালি সজিবের কাছে এসে হাসতে হাসতে বলল, কি রে এমন ভ্যাবলার মতো তাকায় আছিস কেন?
তোকে দেখছি। তুই এতো সুন্দর কেন?
তাই, না? আচ্ছা দেখ তো আমাকে কেমন সুন্দর লাগছে। খুব বেশি সুন্দর, না শুধু সুন্দর?
আমার চোখে তুই সবসময় খুব বেশি সুন্দর।
আরে গাধা তোর কথা বলিনি। অন্য সবাই আমাকে দেখলে কি ভাবতে পাড়ে বল তো! এঞ্জেলিনা জোলি না কি কেট?
আরে ওরা তো শাড়ি পড়ে না। শাড়ি পড়লে না হয় চিন্তা করে দেখতাম।
সজিব ঠিক বুঝতে পারছে আজকেও স্বর্ণালি তাকে বিদায় দিয়ে কোথাও চলে যাবে। আজকে সজিবের চারটা টিউশনি। এখনই যদি স্বর্ণালি চলে যায় তাহলে তার অন্তত একটা টিউশনি মিস হবে। বাকি একটার অভিভাবককে মিথ্যা না হয় বলে ফেলবে কিন্তু স্বর্ণালি তো কিছুই বলছে না। শুধু হাসছে।
কি রে কেন থাকতে বলেছিস বললি না তো!
আজকে একজনের সাথে দেখা করতে যাব।
মিটমিট করে হাসছে স্বর্ণালি।
তা আমাকে কেন থাকতে বলেছিস?
আজকের ক্লাস নোট নেয়ার জন্য। চল ফটোকপি করে ফেলি।
সজিব হতাস হয় না। একটু খুশিই হয় বলতে গেলে। এই অসম্ভব সুন্দরীর পাশে থাকলে সজিবের কেমন যেন আন ইজি লাগে। কিন্তু আবার পাশে না থাকলে বুকের ভেতর কষ্ট হয় খুব। কি জানি একটা শুন্যতা হাহাকার করে বুকে।
তোকে ফটোকপি করতে যেতে হবে না। আমি করে রাখছি। নে ধর।
থেঙ্কিউ দোস্ত। ওকে, বাই। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। রাতে কথা হবে।
২.
রাতে যে স্বর্ণালি ফোন দিবে না এটা সজিব জানে। তবুও আশায় থাকা, যদি ফোন আসে! সে ফোন কখনো আসে না। হয়তো আসে যখন সজিবকে স্বর্ণালির প্রয়োজন পড়ে। হয়তো শপিঙে যাবে নয়তো কোন বইয়ের খোঁজ দরকার। কখনো একা একা ফিল করলে সজিবকে নিয়ে কিছুক্ষণ ঘুরবে রিক্সায় করে। ঘণ্টা প্রতি রিক্সা ভাড়া করে ওরা দুইজন মাঝে মাঝে ঘুরতে বের হয়। এটা তাদের বলতে গেলে নিত্যদিনকার ঘটনা। শাহবাগের ফুলের দোকান থেকে একদিন স্বর্ণালি অনেক গোলাপ ফুল কিনল। সজিব উৎসুক হয়ে আছে এইতো ফুল ভর্তি একটা হাতের পরশ সজিবকে ছুঁয়ে যাবে। কিন্তু না, সে ফুল ছিল অন্য কারো জন্যে। হয়তো সজিবের খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড আকাশের জন্য। সজিব তখনো জানত না।
ক্লাসে বেশ কিছুদিন স্বর্ণালির অনুপস্থিতি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে যায়। কেউ কোন খবর জানে না স্বর্ণালির। অথচ ক্লাসের কারো যেন কোন ভাবান্তর নেই। স্বর্ণালির খুব কাছের বন্ধু শিহাবকে প্রশ্নটা করতেই যেন একটা ধাক্কা খেলো সজিব। আরে স্বর্ণালির তো এখন দ্বৈত জীবন। হানিমুনে সে এখন মরিশাসে। তুমি মিয়া ঘাস কাইটাই দিন পাড় করলা। তোমারে দেখলে মায়া হয়।
৩.
এরপর কেটে গেছে একটা বছর। স্বর্ণালি কোন যোগাযোগ করেনি। ক্লাসে এসেছে, সবার সাথে কথা বলেছে কিন্তু সজিবকে এড়িয়ে গেছে। সজিব কখনোই তার দুর্বলতার কথা স্বর্ণালিকে বুঝতে দেয়নি কিন্তু একজন স্বাভাবিক মানুষ মাত্রই বুঝতে পাড়ে সজিবের ভেতরের অবস্থা। কিন্তু এতো কাছাকাছি থেকেও স্বর্ণালি বোঝেনি কখনো।
সেদিন ক্লাস শেষে সবাই চলে গেছে। সজিব একা একা বসে ছিল ডিপার্টমেন্টের সামনের সিঁড়িতে। কেউ একজন পরিচিত মানুষ এসে সজিবের সামনে দাঁড়াল। কি রে দোস্ত, কেমন আছিস?
চমকে তাকাতেই সজিব দেখে আকাশ দাঁড়িয়ে। সেই আকাশ! কতদিন পর দেখা। কতদিন পর বলতে মোটামুটি তিন চার মাস তো হবেই। যে আকাশের সাথে সজিবের বৈকালিক চা সিগারেট আর কিছু উচ্ছিষ্ট সময়ে ঘন মাদকের মাদকতার আবেশে ঘেমে যাবার সময় পাড় হয়েছে আজ সেই আকাশের দেখা। সজিব লাফ দিয়ে উঠে জড়িয়ে ধরে আকাশকে। এতো দিন কৈ লুকায় ছিলি? বেটা তুই একটা ফাউল। চল যাই চা খাই। কতদিন তোর সাথে বসে চা সিগারেট খাই না।
খাব তার আগে তোর সাথে একজনের পরিচয় করিয়ে দেই।
সজিব চারপাশে তাকিয়ে কাউকেই খুঁজে পায় না। বলে, কোথায়? কেউ তো নাই!
আছে আছে, বিশেষ একজন। তুই দেখলে ঠিক চিনবি।
সজিব কিছুটা থতমত খেয়ে সামনে তাকিয়ে দেখে আকাশ স্বর্ণালির দিকে আঙ্গুল তুলে ইশারা করছে। এসবের মানে কি? স্বর্ণালির সাথে কি তাহলে আকাশের বিয়ে হয়েছে?
সরি দোস্ত, হুট করেই বিয়ে করতে হইছে আমাকে। খুব সিম্পল একটা অনুষ্ঠান করছিলাম। আব্বা হজ্বে যাবার আগে বিয়েটা কমপ্লিট করতে চাইলেন। এক বাপের এক ছেলে বলেই সমস্যা। এখনো গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করলাম না তার আগে বিয়ে! বুঝ আমার কেমন অবস্থা! লজ্জায় কাউকে বলতে পারিনি। স্বর্ণালি আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় হয়। সেদিন তোর কথা বলল। আমি তো ভাবতেই পারিনি তোরা ক্লাস মেট।
সজিবের মুখের রঙ যে খুব দ্রুত পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে সেটা আকাশ খেয়াল না করলেও আমি খুব ভাল করেই বুঝতে পারছিলাম। হঠাৎ যেন সজিবের চোখে জল এসে গেলো। সে খুব সাবধানে মুখে দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বলল, উপস, কি এক কথা শুনাইলি দোস্ত। দারা আগে তোর কথাগুলো রিপিট করে নেই।
আকাশ বুঝতে পারেনি কিছুই। সজিবও জানাতে চায়নি। এর মাঝেই স্বর্ণালি চলে এলো। তারা তিনজন চা খেলো। আকাশ স্বর্ণালির সামনে সিগারেট ধরায়নি। আহ, কেউ যদি সজিবকে কড়াকড়ি ভাবে নিষেধাজ্ঞা দিত সিগারেট খেলে তোমার সাথে আগামী এক মাস কোন কথা হবে না আমার! স্বর্ণালি হয়তো এই কথা বলতে পারতো। সে সুযোগ হয়তো ছিল কিন্তু আজ সে কথা ভাবাও পাপ।
বিষণ্ণতার কোন রঙ হয় না। তবে এতে খুব বেশি কালোর আধিক্য থাকে, এটা সজিব জানে। রাত হলে আনন্দ হয় মনে কিন্তু দিনের আলো সহ্য হয় না। কেউ জানলো না ক্লাসের বোকাসোকা ছেলেটার কি এমন হল! কেউ হয়তো গায়েও মাখল না। বোকা মানুষগুলোকে সমবেদনা জানানো যায় কিন্তু বারবার বোকামির সাথী হওয়া যায় না। সজিবের তাই কেউ ছিল না। ছিল হয়তো। কিছু দুরন্ত সময় এবং সেটা স্বর্ণালি আর আকাশের সাথে। আজ তারা অনেক দূরের মানুষ। ইচ্ছে করলেও তাদের সামনে দাঁড়াবার মানে খুঁজে পায় না সজিব। গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট। এখন একটা জবের জন্য ট্রাই করতেই হয়। কিন্তু রেজাল্টের যে অবস্থা তাতে কেউ যে সাহস করে জব দিবে এ আশা সজিব করে না। সুপ্রাচীন কাল থেকে রেজাল্টই সব। কোয়ালিটি ইজ নেক্সট কন্সিডারেবল ফেনোমেনা।
এমনই একদিন বিকেলে টিএসসিতে স্বর্ণালির সাথে দেখা। আগের চেয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে। খুব বিষণ্ণ লাগছে দেখতে। চিনতে কষ্ট হয়। সজিব ঘুরে চলে আসছিল স্বর্ণালির সামনে থেকে। কিন্তু স্বর্ণালিই ডাকল।
কেমন আছিস সজিব?
হুম, ভাল। অনেক ভাল। তোর কি খবর? এখানে কি করিস?
কিছু না। এমনি হাঁটছিলাম।
স্বর্ণালির বলার ঢঙ্গে এমন একটা বিষণ্ণতা ছিল যে সজিব কিছুটা সময় থমকে দাঁড়ায়। তাকিয়ে থাকে স্বর্ণালির চোখের দিকে। কিছু কি পড়তে পাড়ে? নাহ, আগেও পারেনি। এখন তো স্বর্ণালি দূর দেশের কোন অতিথি। যার চোখের ভাষা পড়তে ভাষাবিদ হতে হবে। সজিবের এতো সময় কৈ?
চা খাবি? চল চা খাই।
সানন্দে রাজি হয়ে গেলো স্বর্ণালি।
কোন কারণে কি মন খারাপ? বলবে না বলবে না করেও বলে ফেললো সজিব।
একটু আশ্রয়ের জায়গা পেয়ে কেঁদে দেয় স্বর্ণালি। এটা তো সেই পরিচিত চোখের জল। কতো দেখেছে সজিব। এই চোখের গতিপথ খুব ভাল করে জানা আছে। গরগর করে বলে দেয় সব। আকাশের সাথে স্বর্ণালির দুর্ভেদ্য সম্পর্কের কথা শুনে সজিবের খুশি হবার কথা। কিন্তু স্বর্ণালির সমান কষ্টে যেন সজিবও জর্জরিত। কিন্তু সে কি করতে পাড়ে একমাত্র প্রার্থনা করা ছাড়া! স্বর্ণালি একসময় সজিবের হাত ধরে। কাঁদতে কাঁদতে বলে, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে সজিব।
নির্বাক বসে থাকে দুইজন অচেনা তরুণ তরুণী। যাদের হয়তো একসময় খুব কাছাকাছি থাকার কথা ছিল, নিজেদের অনুভুতিতে মান অভিমান করার কথা ছিল সেখানে তাদের মাঝে আজ তৃতীয় একজন। তারা তৃতীয় ব্যাক্তিটির জন্য নিজেদের অপরিণত ভালোবাসার বীজ বপন করতে পারেনি। তৃতীয় পক্ষ এতো বেশি শক্তিশালী কে জানত!
রাত তখন তিনটা। প্রতিদিনের মতো সজিব নেশার ঘোরে। তার পৃথিবী এখন দুলছে। সে দুলছে। স্বর্ণালি দুলছে। দুলছে তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত নিয়তি। এভাবে ফোনে কথা বলতে একদম ভাল লাগে না সজিবের কিন্তু নিজের ইচ্ছের মুল্য যে দিতে পাড়ে না তাকে তো অন্যের ইচ্ছে পূরণ করে যেতেই হবে। বেশ কিছুদিন যাবত স্বর্ণালি সাথে ফোনে কথা হচ্ছে। অবস্থা এমন যেন ফোনে কথা না হলে জীবনের একটা অধ্যায় অসমাপ্ত থেকে যাবে। এতো সব চিন্তার মাঝে স্বর্ণালির ফোন আসে।
কি করছিস সজিব?
কিছু না। তোকে নিয়ে ভাবছি। তুই যদি আমার বউ হতিস তবে আকাশের মতো পাষণ্ড আমি হতাম না। তোর ইচ্ছের স্বাধীনতা দিতাম আর তোকে অনেক ভালবাসতাম...
সজিব জাস্ট স্টপ দিস। তোর গালে ইচ্ছে করছে কষে কয়েকটা থাপ্পর দিতে। তুই কখনো আর আমাকে ফোন দিবি না আর আকাশকে নিয়ে যা তা বলবি না।
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে সজিব। নেশার ঘোর কেটে গেছে। এখন আকাশে মেঘ জমবে। অনেকদিন পর ঝড় উঠবে। আজ সত্যিই এলোমেলো বাতাস বইছে। সজিবের খুব ইচ্ছে করছে কারো পাশে চুপ করে বসে থাকতে। সে মানুষটি জানতে চাইবে না সজিবের কি হয়েছে। এতো সব অপমান বয়ে বেড়াতে বেড়াতে সজিব আজ খুব ক্লান্ত।
বিকেলে আকাশের সাথে দেখা। গাঁজা কেনার পরিকল্পনা তখনই ঠিক হয়। আকাশের এলোমেলো অবস্থা দেখে আজ সজিব অনেক খুশি হয়। যে কষ্টের কথা কেউ জানে না সে কথা কেউ জানবেও না। সজিব একাএকা মজা পাবে। যন্ত্রণা পালনের মাঝেও একধরণের আনন্দ আছে। কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে বেঁচে থাকার মতো একটা চ্যালেঞ্জিং জীবন বয়ে বেড়ান খুব সহজ না। একমাত্র বোকাসোকা সজীবই জানুক কি এমন কষ্ট বয়ে বেড়ায় সে। সে কথা না জানুক কর্মব্যাস্ত বিচক্ষণ নাগরিক সকল। গাঁজা কিনতে গিয়ে কি হল আকাশের যে ওভাবে দৌড়াতে দৌড়াতে ছুট্টে হবে তাকে? সবাই তাকে ছুড়ে ফেলতে চায় কেন? ধুর শালা, যার যা ইচ্ছা করুক গে। নেশায় ডুবলে কি আর কিছু লাগে? দীর্ঘ একটা ঘুম শেষে উঠলেই সব ঠিক। তারপর আবার নেশা, আবার ঘুম। এইতো জীবন!
পরিশিষ্ট: প্রকৃতি সজিবকে আর কষ্ট দিতে চায়নি হয়তো। আকাশের বলা শেষ কথাটা ‘স্বর্ণালির বাড়ি যাচ্ছি ওকে ফিরিয়ে আনতে’ সজিবের কানে এসে পৌঁছায়নি। তরঙ্গে উড়ে গেছে অন্য কোন এক ছন্নছাড়া যুবকের বুকে ছুড়ি বসাতে। সেটা আর একটা গল্প।
'ফেরা' প্রথম পর্বের লিংক।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:৫৯