ঢাকায় ‘আত্মসমর্পণ’, পশ্চিমে কাশ্মীর নিয়ে দর-কষাকষি
মিজানুর রহমান খান, ওয়াশিংটন ডিসি থেকে | তারিখ: ১৬-১২-২০১২
জম্মু ও কাশ্মীর এবং আজাদ কাশ্মীর প্রশ্নের ফয়সালার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রশ্নের চূড়ান্ত ফয়সালা হয়েছিল। অধিকতর জনপ্রিয় ধারণা অনুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ থামেনি, বরং তখন তা চলছিল। এমনকি ইরানের শাহ পাকিস্তানের জন্য মার্কিন অস্ত্র কিনতে চাপাচাপি করেন ১৬ ডিসেম্বর, সৌদি আরবও ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অস্ত্র দিতে চেয়েছে। সেই সঙ্গে চীনা আশা ছিলই। সিআইএসহ গোটা মার্কিন প্রশাসন ধরেই নিয়েছিল যে অরোরা-নিয়াজির দস্তখত শেষ দৃশ্যপট নয়, পশ্চিমে যুদ্ধ ব্যাপকতা লাভ করতে পারে। তাঁরা এই গোয়েন্দা তথ্যে নির্ভর করেছিলেন যে ইন্দিরা ১৬ ডিসেম্বরের পরে আজাদ কাশ্মীর পুরোটা না নিলেও সীমান্তরেখা বদলাবেন এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক শক্তিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অবমুক্ত করা দলিল থেকে এ-সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গেছে।
জ্যাকব ও সিআইএ: এদিকে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সিআইএ প্রতিবেদন দিয়েছিল যে ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের চিফ অব স্টাফ জেনারেল জ্যাক জ্যাকব বলেছেন, ভারত থেকে অতিরিক্ত সামরিক শক্তি পৌঁছানোমাত্র তিনি সামরিক আইন জারি করবেন।’ এই প্রতিবেদক এ বিষয়ে জানতে চাইলে গত ৩০ নভেম্বর দিল্লি থেকে পাঠানো এক বক্তব্যে জেনারেল জ্যাকব বলেন, ‘সামরিক আইন জারিসংক্রান্ত সিআইএর বিবৃতিটি মিথ্যা। ১৯৭১ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সরকার চালাতে বাংলাদেশ ও ভারতের কর্মকর্তা ও টেকনোক্র্যাটদের আমরা জড়ো করেছিলাম। ১৭ ডিসেম্বর তাঁরা বাংলাদেশে চলে আসেন এবং দ্রুত কাজ শুরু করেন। সামরিক আইন জারির কোনো চিন্তা বা উদ্দেশ্যই ছিল না। আমাদের দিক থেকে মেজর জেনারেল সমির সিনহা এ বিষয়টি সমন্বয় করেছিলেন। কলকাতায় আমি টারকো নামে একজন সিআইএ এজেন্টের তৎপরতা উন্মোচন করেছিলাম। এতে তিনি প্রীতি বোধ করেননি।’
জেনারেল জ্যাকবের এই বক্তব্যের বিষয়ে সিআইএর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ৩ ডিসেম্বর সিআইএর মুখপাত্র মলি হেল এই প্রতিবেদকের ই-মেইলে একটি সংক্ষিপ্ত প্রাথমিক বার্তা পাঠান, ‘ই-মেইলের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’ তিনি অবশ্য ইঙ্গিত দেন যে এটি সিআইএর সংশ্লিষ্ট কোনো বিভাগে পাঠানো হয়েছে। মলি হেলের কথায়, ‘আমরা আপনার ই-মেইলটি ফরোয়ার্ড করেছি।’ সিআইএকে এ বিষয়ে প্রথম আলোতে ১৬ ডিসেম্বর প্রতিবেদন ছাপানোর ধারণা দেওয়া হয়েছিল। একটি ওয়াকিবহাল সূত্র বলেছে, ‘আইন অনুযায়ী সিআইএ এর উত্তর দিতে পারে। কিন্তু আইন তার জন্য কোনো সময়সীমা আরোপ করে না।’ সিআইএর দপ্তরে যোগাযোগের এক সপ্তাহ পর একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার মার্কিন কনসাল জেনারেল স্পিভাকের পাঠানো একটি তারবার্তায় সামরিক আইন জারির একটি উল্লেখ এই প্রতিবেদকের নজরে আসে। এতে বলা হয়, ‘ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা ও অবাঙালি খুনোখুনি ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইআরসি (ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রস) হাসপাতালের প্রশাসক মি. ক্লস স্কুপন সামরিক আইন জারি করতে জেনারেল জ্যাকবের কাছে আবেদন করেছেন। জ্যাকব এর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে বলেন, শহরে এখন মাত্র এক ব্যাটালিয়ন সৈন্য আছে। যখন আরও সৈন্য আসবে তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। বিকেল পৌনে পাঁচটায় নগরে ছয়টি ভারতীয় ট্যাংকের চলাচল লক্ষ করা যায়।’
স্পিভাকের এই বার্তা সম্পর্কে ১৩ ডিসেম্বর জেনারেল জ্যাকব আবার এই প্রতিবেদককে জানান: ‘আইআরসির মি. স্কুপনের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা তাঁর মনে পড়ে না। বিমানবন্দরের টারমাকে অনেক লোকই তাঁকে নানা প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি হয়তো সত্যিই আমাকে সামরিক আইন জারি করতে বলেছিলেন। সেদিন বন্দুকের আওয়াজ শোনা যেতেই পারে। আমি উপস্থিত লোকদের বলেছিলাম, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। তবে আমি কখনোই সামরিক আইন জারির সঙ্গে একমত হইনি। অবশ্য মার্কিন কনসালের ওই বিবরণেও এটা নেই যে আমি সামরিক আইন জারির পরিকল্পনা করেছিলাম।’
হুঁশিয়ারি: নিক্সন-কিসিঞ্জারের বাংলাদেশবিরোধিতার তথ্য সবারই জানা। কিন্তু এটাও সত্য যে সরকারিভাবে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে নিক্সন ভারতকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ ১৬ ডিসেম্বরের আগে করেননি। লক্ষণীয়ভাবে বাংলাদেশ বিজয়ের পরমুহূর্তেই তা করেছেন। ‘বাংলাদেশ মানি কিন্তু কোনোক্রমেই আজাদ কাশ্মীরের ছিটেফোঁটা নয়।’ সপ্তম নৌবহর পাঠানো থেকে নিক্সন-কিসিঞ্জার এই অবস্থান নেন বলেই প্রাপ্ত মার্কিন দলিলগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে। অন্যদিকে, ইন্দিরা গান্ধীও পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর নেবে না, ওয়াশিংটন ১৬ ডিসেম্বর এই নিশ্চয়তা পেয়েই পশ্চিমে একতরফা যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেন। এবং তা দিল্লির মার্কিন মিশনকে জানিয়ে দেন। ১৬ ডিসেম্বরের পরে ইয়াহিয়াকে অপসারণ করে জম্মু ও কাশ্মীরকে জিম্মি করে বাংলাদেশ সংকটকে দীর্ঘ করার পশ্চিম পাকিস্তানি নীলনকশা এভাবে ভেস্তে যায়। ‘চিন্তামুক্ত’ ইয়াহিয়া ১৭ ডিসেম্বর পাল্টা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন।
সুতরাং, গোপনীয় মার্কিন দলিলগুলো বলছে, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্সের উৎসবমুখর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আংশিক এবং ১৭ ডিসেম্বর নিক্সন-ইন্দিরা-ইয়াহিয়ার কঠিন কূটনীতির বাতাবরণে সম্পূর্ণ সংকট ঘোচে। তাই পরোক্ষভাবে হলেও লোকচক্ষুর আড়ালে কাশ্মীরের সঙ্গে বাংলাদেশের একটা বিনিময় ঘটে একাত্তরে। কিন্তু বিরোধ চলমান থাকে। ধারণা করা যায়, উভয় দেশই উভয়ের কাশ্মীরি ভূখণ্ডের অংশবিশেষ দখল করে নিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্র একটা জোরালো ধারণাই করছিল যে পশ্চিম বদলা নেবে। ইরানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডগলাস ম্যাক আর্থার ১৬ ডিসেম্বর এক তারবার্তায় ওয়াশিংটনকে বলেন, ইরানের শাহ সরাসরি পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে যাবে না। তবে ইরান পাকিস্তানের জন্য মার্কিন অস্ত্র কিনতে চাইছে। এ বিষয়ে তারা কূটনৈতিক নয়, সামরিক পর্যায়ে কথা বলতে চায়।
ঝাকে তলব: ওয়াশিংটন সময় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের সকাল ১০টা। বাংলাদেশ সময় রাত নয়টা। জেনারেল হেগ মার্কিন কর্মকর্তাদের জানালেন, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত এল কে ঝাকে এক্ষুনি তলব করতে বলেছেন নিক্সন। ঝাকে জানিয়ে দিন যে ‘কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে যে নিশ্চয়তা তিনি চেয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সেটা তাঁকে দিচ্ছে। পাকিস্তান কাশ্মীর নেবে না। এখন ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে দ্রুত বলুক, তারা আজাদ কাশ্মীর নেবে না।’
এরপরই ঝাকে প্রচ্ছন্ন হুমকির নির্দেশনা। জেনারেল হেগ জোসেফ সিসকোকে বলেন, ‘ঝাকে আপনি বলুন, পূর্ব পাকিস্তানের পতনের পরে আর লড়াই চালানোর যুক্তি নেই। এর পরও যদি ভারত তা চালায়, তাহলে সেটা ‘মার্কিন-ভারত সম্পর্কে সবচেয়ে বিপর্যয়কর ফল বয়ে আনবে।’ (হেগ অবশ্য এটাও বলেন, এর চেয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলবেন না)
লক্ষণীয় যে দ্রুত এই নির্দেশ তামিল হয়। অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সিসকো ভারতের রাষ্ট্রদূত ঝাকে ডেকে বলেন, ‘আপনি কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানি নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন, সেটা জানালাম। তারা তা নেবে না। এখন আপনারা বলুন, আজাদ কাশ্মীর নেবেন না।’ ঝা বলেন, শিগগির জানাব। সিসকো বলেন, ‘এপির রিপোর্ট দেখলাম, ভারত পশ্চিম ফ্রন্টে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেছে। এটা সরকারিভাবে আমাদের নিশ্চিত করুন।’ ঝা এ সময় নির্দিষ্ট করে জানতে চান, পাকিস্তান কি আজাদ কাশ্মীরের বিষয়ে আমাদের নিশ্চয়তা চাইছে? সিসকোর সংক্ষপ্ত উত্তর: ‘হ্যাঁ’।
সপ্তম নৌবহর মোতায়েনের বিষয়ে ঝা জানতে চাইলে সিসকো বলেন, ‘এ নিয়ে কিছুই বলার নেই। এটা যেখানে ছিল সেখানেই আছে।’
মার্কিন নথি সাক্ষ্য দিচ্ছে, সিসকো-ঝা বৈঠকের আগেই ভারতের একজন মুখপাত্র ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার ২০০০ ঘণ্টা থেকে পশ্চিম ফ্রন্টের সর্বত্র যুদ্ধবিরতির একতরফা প্রস্তাব দেয়। এর পরও দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সচিব পিএন হাকসার মার্কিন ডিসিএমকে ১৬ ডিসেম্বর ডেকে এ-সংক্রান্ত ঘোষণার অনুলিপি হস্তান্তর করেন। অন্যদিকে ১৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের স্থানীয় সময় ১৫০০ ঘণ্টায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফারল্যান্ডকে বাসায় ডাকেন পাকিস্তানি পররাষ্ট্রসচিব সুলতান হোসেন খান। খান বলেন, ইয়াহিয়া পশ্চিমে যুদ্ধবিরতি প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থানে পৌঁছেছেন। তিনি ইয়াহিয়ার বিবৃতির লিখিত কপি ফারল্যান্ডকে দেন।
আরও কিছু প্রমাণ: ১৬ ডিসেম্বরেই যে বিপদ কাটেনি, তার আরও প্রমাণ মার্কিন নথিপত্রে স্পষ্ট। এতে বলা আছে, পূর্ব পাকিস্তানে যখন আত্মসমর্পণ চলে, তখন ইয়াহিয়াকে গৃহবন্দী করার গুজব ছড়ায়। নতুন উদ্যমে পশ্চিম ফ্রন্টে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে পাকিস্তান। তিব্বতে কথিত চীনা ‘তৎপরতা’, দিল্লিকে আমেরিকার ‘হুঁশিয়ারি’, তুরস্ক ও অন্যান্য আরব দেশ থেকে অস্ত্র সরবরাহের ঘটনায় পশ্চিম পাকিস্তান যুদ্ধ চালিয়ে নিতে উৎসাহিত হতে পারে। পশ্চিম পাকিস্তান একটি ‘সম্মানজনক শান্তির’ আশায় পশ্চিম ফ্রন্টে একটি সাধারণ যুদ্ধবিরতি ও সেনা প্রত্যাহারে ভারতের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানে বাধ্যবাধকতা অনুভব করতে পারে। কাশ্মীরে গণভোট বা ভারতের কাছে অগ্রহণযোগ্য ঠেকে তেমন একটা কিছুর জন্য শর্ত দিতে পারে তারা। তাই এ পর্যন্ত প্রাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা আশাবাদী হতে পারি না যে পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ থামলেই তাড়াতাড়ি পশ্চিমেও উভয়ের মধ্যে যুদ্ধের অবসান ঘটবে। ১৬ ডিসেম্বর তৈরি করা ছয় পৃষ্ঠার এই দলিলটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রজার্স স্বাক্ষরিত। এর উপসংহারে বলা হয়, ‘পশ্চিমে ভারতের একতরফা যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইয়াহিয়ার যুদ্ধ চালানোর ঘোষণা আমাদের এই মূল্যায়নকেই ওজন দেয়।’
আত্মসমর্পণের পরে: ‘ঢাকার পরে: পশ্চিম পাকিস্তানে যুদ্ধবিরতির দৃষ্টিভঙ্গি।’ এটি একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তৈরি করা সিআইএ-সমর্থিত একটি অবস্থানপত্র। ১৬ ডিসেম্বরই একটি তারবার্তায় তা ১১টি মার্কিন মিশনে পাঠানো হয়। ইসলামাবাদের মার্কিন মিশন ওয়াশিংটনে জানতে চেয়েছিল যে ঢাকার পরে পশ্চিম পাকিস্তান ও কাশ্মীর প্রশ্নে ভারত কী ভাবে? এতে বলা হয়, একটি রিপোর্ট বলেছে, মিসেস গান্ধী চীনকে আশ্বস্ত করেছেন যে আজাদ কাশ্মীর নিতে তাঁর পরিকল্পনা নেই। আর যদিও ভারত এখন উপসংহারে পৌঁছেছে যে প্রত্যক্ষ চীনা হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে পূর্ববঙ্গ হারানোর লোকসান পোষাতে পশ্চিম পাকিস্তানের কাশ্মীর অভিযানের সম্ভাবনা তো আছে। এটা ঘটলে ভারতের ‘কট্টরপন্থীরাই’ শক্তি পাবেন বলে ওই তারবার্তায় উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘একটি অখণ্ড পশ্চিম পাকিস্তান নাকি তা আরও কয়েকটি ভাগে ভাগ হলে তা ভারতীয় স্বার্থ রক্ষা করবে, সেটা ভারত বিবেচনা করছে বলে কিন্তু স্পষ্ট নয়। পূর্বে পতনের ফলে পশ্চিমে কে টেকে, তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। আমরা বিশ্বাস করি, ভারত সচেতন আছে যে বাংলাদেশ আন্দোলন সমর্থন করে বিশ্ব তাকে যে সহানুভূতি দিয়েছে, এখন পশ্চিম পাকিস্তানে আগ্রাসন চালালে সেটা উবে যাবে। অবশ্য আমরা কিছু চিহ্ন দেখি যে কোনো ক্ষতিপূরণের আশা ছাড়াই পাকিস্তানের জনগণ পূর্বাঞ্চল হারানো মেনে নেবে। পশ্চিমে পাকিস্তানি বিমান ও স্থলবাহিনী সর্বশক্তি দিয়ে কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে যুদ্ধে নামেনি।
Click This Link