বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। রহমান রহিম আল্লাহর নামে শুরু করছি।
৯৪. সুতরাং কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে ও সৎকর্ম করলে তার প্রতিটি উদ্যোগ ও শ্রমের প্রতিফল সে পাবে। কারন তা যথাযথ ভাবেই সংরক্ষিত হচ্ছে।
৯৫. কিন্তু এটা অবধারিত সত্য, যে-সব জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি, সেখানকার অধিবাসীরা কখনোই (পাপের পথ থেকে) প্রত্যাবর্তন করবে না।
৯৬. যতক্ষন পর্যন্ত না ইয়াজুজ-মাজুজ কে ছেড়ে দেয়া হবে এবং তারা চারদিক থেকে সকল উচ্চতা অতিক্রম করে (পঙ্গপালের মতো) জমিনকে ছেয়ে ফেলবে। ৯৭. যখন মহাবিচারের অঙ্গীকার পূরনের সময় ঘনিয়ে আসবে, তখন সত্য অস্বীকার কারীদের চোখ আতঙ্কে স্থির হয়ে যাবে। আর্তনাদ করে বলবে, হায়! দুর্ভোগ আমাদের! আমরা উদাসীন ছিলাম! আমরা পাপে নিমজ্জিত ছিলাম!
৯৮. (তখন ওদের বলা হবে) তোমরা এবং আল্লাহ ছাড়া যাদের তোমরা উপাসনা করেছ, সবাইকে জাহান্নামের ইন্ধন বানানো হবে। তোমরা সেখানেই প্রবেশ করবে। ৯৯. এই উপাস্যরা যদি প্রকৃত উপাস্য হতো, তবে তাদের জাহান্নামে প্রবেশ করতে হতো না। কিন্তু ওদের প্রত্যেকেই জাহান্নামে থাকবে। ১০০. জাহান্নামে এই শরিকদের কানফাটা আর্তনাদ ছাড়া আর কিছুই তারা শুনতে পাবে না।
১০১. (বিশ্বাসী ও সৎকর্মশীলদের জন্যে) আমি আগে থেকেই কল্যান নির্ধারিত করে রেখেছি। তাদের জাহান্নাম থেকেও দুরে রাখা হবে। ১০২. তারা এ (জাহান্নামীদের) আর্তনাদের ক্ষীনতম শব্দও শুনবে না। তারা সেখানে তাদের মনপসন্দ সবকিছু চিরকাল উপভোগ করবে। ১০৩. মহাবিচারের সমাবেশ ময়দানের বিভীষিকায় বিশ্বাসীরা কখনো বিচলিত হবে না। ফেরেশতারা তাদের স্বাগত জানিয়ে বলবে, 'আজ তোমাদের সেই শুভ দিন, যার প্রতিশ্রুতি তোমাদের দেয়া হয়েছিল।'
১০৪. (হে মানুষ! সেদিনের কথা ভাবো) যেদিন মহাকাশকে লিখিত কাগজের পাতার ন্যায় ভাঁজ করে গুটানো হবে। আর যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সুচনা করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। ওয়াদা পালন করা আমার দায়িত্ব আর আমি ওয়াদা পালন করবই।
১০৫. আমি আসমানী কিতাব সমূহে লিপিবদ্ধ করে রেখেছি যে, আমার সৎকর্মশীল যোগ্য বান্দারাই শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবে। ১০৬. এতে আল্লাহর ইবাদতকারী জনগোষ্ঠীর জন্যে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে।
১০৭. (অতএব হে নবী!) আমি আপনাকে বিশ্বজাহানের জন্যে করুনার নিদর্শন (রহমাতুল্লিল আলামীন) হিসেবে পাঠিয়েছি। ১০৮. (হে নবী! ওদের) বলুন, আমার উপর ওহী আসে যে, তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহ! এরপরও কি তোমরা তার কাছে সমর্পিত হবে না?
১০৯-১১১. যদি ওরা এই সত্য মানতে অস্বীকার করে, তবে (হে নবী!) তুমি ওদের বলো, আমি প্রকাশ্যভাবেই সবাইকে অবধারিত আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করে দিচ্ছি। যদিও আমি জানি না, প্রতিশ্রুত আজাবের সময় কাছে, না দুরে। তোমরা মুখে যা বলো, তা-ও তিনি জানেন আর যা গোপন রাখো তা-ও তিনি জানেন। কিন্তু আমি জানি না (আল্লাহর আজাব বিলম্বিত হওয়া) তোমাদের জন্য একটা পরীক্ষা, না তাঁর সাময়িক করুনা!
১১২. (হে নবী!) বলো, 'হে আমার প্রতিপালক! তুমি ন্যায়বিচার করো।' এবং (বলো) 'আমাদের প্রতিপালক তো দয়াময়। তোমরা যে অবমাননাকর কথা বলছ, তার মোকাবেলায় তিনিই আমাদের সহায়!'
[সুরা আম্বিয়া-২১; রুকু ৭; আয়াত ৯৮-১১২; ]
[প্রিয় পাঠক, 'আল কোরআন বাংলা মর্মবানী' কোরআনের বাংলা অনুবাদ নয়। আল্লাহতে সমর্পিত একজন মানুষ হিসেবে কোরআনের বানীর যে অন্তর্নিহিত অর্থ আমি উপলব্ধি করেছি, তা-ই আন্তরিকতার সাথে মায়ের ভাষায় উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।... - শহীদ আল বোখারী মহাজাতক]
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২২