গ্রীক সভ্যতা অনুযায়ী তাদের দেবতারা দেবীদের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হতেন। এরই মাধ্যমে জন্ম নেয়া এক জারজ সন্তান কিউপিড হল তাদের প্রেমদেবতা। তাছাড়া আফ্রোদিত, এথেনা, থেসিস সহ মোটামুটি সকল দেবীই উলংগ থাকতেন বলে তাদের মূর্তিগুলো আভাস দেয়। ইদিপাস দেব তো স্বয়ং নিজ মাতার প্রতি কামভাবে আসক্ত ছিলেন।
.
মিশরীয় সভ্যতার বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করলে সর্বাগ্রে আসবে ইনসেস্ট এর নাম। রাজপরিবারের বংশধরদের মাঝে যাতে "রাজকীয় রক্ত" বিশুদ্ধতার মানদন্ড বজায় রেখে প্রবাহিত হতে পারে এজন্যে পিতা-কন্যা, পুত্র-মাতা, ভাই-বোন এর মাঝে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলে পরবর্তী প্রজন্মকে "ডিজাইন" করা হত।
.
রোমানদেরকে জেনারেলাইজ করে বলতে হলে একটা বিশেষনে এদের পরিচয় দেয়া যায়। এরা ছিল স্যাডিস্ট। এরা গবাদি পশুর মত মানুষ কেনাবেচা করত। এই দুর্ভাগা মানুষগুলোকে সিংহ বা বাঘের খাচায় ছেড়ে দিত। এদের নাম দিত গ্ল্যাডিয়েটর। গ্ল্যাডিয়েটররাজীবন বাচানোর জন্যে হিংস্র পশুর সাথে ধস্তাধস্তি করে অবশেষে খাদ্যে পরিনত হত আর এগুলো দেখে "উচু" জাতের রোমানরা আনন্দে হাততালি দিত।
.
তের-চৌদ্দ শত বছর আগে একজন লোক ছিলেন। জাযিরাতুল আরব, ইরাক, শাম, মিসর সহ আশেপাশের সুবিশাল অঞ্চলে ছিল তাঁর রাজত্ব। পিতার নাম খাত্তাব। মক্কার ক্বাবার দিকে সিজদা দিয়ে উপাসনা করতেন। হেজাযে আগত শেষ নবী (স) এর ধর্মের অনুসারী ছিলেন এই লোক। এই লোক এত বড় সাম্রাজ্যের অধিপতি হওয়া সত্ত্বেও ভিখারির ছদ্মবেশে রাত বিরাতে ঘুরে বেড়াতেন প্রজাদের অবস্থা দেখার জন্যে। কখনো নিজে পিঠে করে আটার বস্তা বয়ে নিয়ে যেতেন দুখিনী মায়ের ঘরে তার ক্ষুধার্ত বাচ্চাদের জন্যে। আবার কখনো নিজের স্ত্রীকে দিয়ে প্রসববেদনায় কাতর বেদুইন নারীর সেবা করাতেন। শোনা যায়, তাঁর সময় নাকি কতক অঞ্চলে দান-দক্ষিনা নেবার মত লোক খুজে পাওয়া যেত না। ন্যায়পরায়নতায় তাঁর জুড়ি মেলা ছিল ভার। তাঁর পূর্বসূরিও ছিলেন এমনই আদর্শবান, মহৎ। আর উত্তরসূরিদের মধ্যেও এসেছে এমন অসংখ্য ন্যায়পরায়ন বাদশা।
.
তবুও গ্রীসের ব্যভিচারকে ডাকবো সভ্যতা বলে, মিশরীয় নোংরামিকে ডাকব সভ্যতা বলে, রোমান বর্বরতাকে ডাকব সভ্যতা বলে। আর ইসলামকে ডাকব নেহাত সেকেলে মধ্যযুগীয় আর পশ্চাদগামী এক অচল জীবন ব্যবস্থা বলে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৫