ছবি- সংগৃহীত।
"আজ থেকে আজ কখনো বলবনা কখনো বলবনা আর ভালোবাসি" ছাগু ও কাঠমোল্লা ছাড়া গান ভালো বাসেনা এমন কেউ নেই। এল আর বির গান যারা শোনের তারা উপরে লেখা গানের লাইনটির সাথে পরিচিত। একটি মেয়ে, ধরে নেই মেয়েটির নাম তর্ষা।প্রচন্ড ভালোবাসত একটি ছেলেকে। ছেলেটি ছিল মৌলবাদী জামায়াত শিবির। বুয়েটের ছাত্র হলেও ভাবসাব বর্তমানের কথিত মাদ্রাসার ছাত্রদের চেয়েও জঘন্য। পড়া লেখা করলেও আচরণ ব্যাবহারে ক্লাসলেস বস্তি বলা যায়। সাধারণত ভালো ও ক্লাসি মেয়েরা ছাগু মাগু গুলোকেই পছন্দ। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যা জানেন তা আমরা জানিনা। তাই ছাগু জি এফ হিসেবে ভালোমেয়েটিকে এক্সেপ্ট না করে বস্তি মাদ্রাসা মার্কা একটারে বিয়ে করছে দুনিয়ার ক্ষেত। ছাগুরা সাধারণত সাধারণ মেয়েদের বিয়ে করে যেন তাদের কাজের বুয়া বানিয়ে রাখা যায়।
তো মেয়েটি অনেক ট্রাই করেও ছাগুর মন পায়নি। বরং সে একটু ফাস্ট ও ড্যাশিং টাইপের হওয়ায় হতে হয়েছে অবহেলিত। ইয়াং মেয়েতো চ্যাকা খেয়ে বাকা হয়ে গ্রল। ব্রোকেন হার্ট সেশন জট, ইউনিভার্সিটি ছেড়ে হাতে ড্রাগ তুলে নিল। ভুল মানুষকে ভালোবেসে নিভে যেতে লাগছিল একটি সম্ভাবনাময়ী প্রদীপ। মেয়েটি ২/৩ বছর এর মধ্যে ড্রাগ এডিকটেড হয়ে যায়। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কৃপা কিংবা ভাগ্যের জোরে ভর্তি হয় লিনার গ্রুমিং স্কুলে। মাত্র ৭ মাসে মেয়েটির কথা বার্তা, চাল চলন, ড্রেসাপ, গেটাপে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে। পারসোনালিটি ডেভেলপ হয়। তর্ষার ব্রেনে ঢুকিয়ে দেয়া হয় সে যদি নিজেকে ভালো না বাসে তাহলে তাকে ঐ ছাগু কেন কেউ ভালোবাসবেনা। ৭ মাস ফ্রীতে গ্রুমিং করিয়ে তাকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলা হয়। নাম লেখানো হয় উঠতি মডেলের তালিকায়। একটু একটু করে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে স্থান করে নেয়। এক পর্যায়ে হয়ে উঠে সে বাংলাদেশের সুপার মডেল।
সে যখন ছাগু থেকে কষ্ট পেয়েছিল তার ওয়ালে স্ট্যাটাস দিয়েছিল - " আজ থেকে আজ, কখনো বলবোনা কখনো বলবোনা আর ভালোবাসি। " এরপর ছাগুকে মেসেজ দিসে " One day you will be apologised " | এরপর আই ডি ডিএক্টিভেট করে দিছিল। আজ ছাগুর অবস্থান একটি ইঞ্জিনিয়ারীং এর চাকুরী আর মেয়েটার অবস্থান সে একজন সেলিব্রিটি মডেল। আর ছাগু বস্তিনির সাথে চরম মাত্রায় অসুখী।
এবং কপালে নিজে নিজে ঝাটার বারি দিচ্ছে এই বলে যে, হায়! কি জিনিস হারালাম!