ডিরেক্টর অপু তার অ্যাসিস্ট্যান্ট শাওনকেবলল, “আজ তোমাকে প্লট বলব। তোমার স্ক্রিপ্ট লেখা কমপ্লিট হলেই কাজ শুরু করব।কলকাতার শিবকুমার অনেকদিন ধরেই চাচ্ছিলেন আমার সাথে কাজ করতে। এবারের ফিল্মটাকলকাতার শিল্পীদের নিয়েই করব।”
“হুম, এটা ইন্দো-বাংলাদেশি ফিল্ম হবে?”
“হুম” মাথা নাড়ল অপু। বলল, “Rebirthএরউপর।”
“পুনর্জন্ম?”
“হুম, ঐখানকার লোকজন এসব মাল ভালো খায়।”
“বাণিজ্যিক ছবি?”
“হুম, কলকাতার producerএর সাথে যখন কাজকরছি, বাণিজ্যিক ফিল্মই করে দেখি আগে। কি বল?”
“কাহিনী একটা মাথায় ঘুরছে অনেকদিন ধরেই।সাজাতে পারিনি পুরোপুরি। পুনর্জন্ম নিয়ে স্টাডি করেছি বেশকিছুদিন। একটা মজারব্যাপার কি জানো? পুনর্জন্মের উপর যতো ফিল্ম হয়েছে, সব ফিল্মগুলোতেই বিশাল ভুলরয়েছে। পুনর্জন্মের কনসেপ্ট অনুসারে, কর্মফল ভোগের জন্য বারবার জন্ম হয় মানুষের।মৃত্যু হল আত্মার দেহবদল। অর্থাৎ আত্মা এক দেহ ছেড়ে অন্য দেহ গ্রহণ করে। রাজা ভরতনামে এক রাজা একটি হরিণশিশুকে ভীষণ আদর করতেন, পরের জন্মে তিনি হরিণ হয়ে পৃথিবীতেআসেন। ফিল্মগুলোতে নতুন জন্মে দেহবদল অর্থাৎ চেহারাবদল দেখায় না।”
“জ্বি, স্যার। তাই তো... Om Shanti Om,Magadheera...”
“এখন গল্পের প্লট শোনো। গল্পে ২টা যুগ।একটা বর্তমান যুগ, আরেকটা হল ১৫শ’ শতাব্দী। সমান্তরালে ২টা যুগকে দেখাবো আমরা।২০১৪এর অরণ্য একটা প্রাইভেট ফার্মের owner। সে প্রায়ই যুদ্ধের স্বপ্নদেখে। যুদ্ধের স্বপ্নে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়, প্রায়ই সে দেখে অনেকটা মুঘলশাসকের মতো পোশাকপরা একসেনার সামনে হাঁটুমুড়ে পড়ে থাকে। আর সেই সৈনিক তরবারি উঁচু করে গলায় আঘাত করে, তখনি ঘুম ভেঙ্গে যায়।নয় বছর বয়স থেকে এই স্বপ্ন দেখছে সে। ইদানিং তার স্বপ্নে ক্রন্দনরতা এক রাজবধূকেদেখতে পায়, যে তাকে বারবার অনুরোধ করে না যাওয়ার জন্য। রাজবধূকে বীণা বাজাতেওদেখেছে সে। অরণ্য এক সাইকোলজিস্টের কাছে যায়। সাইকোলজিস্ট বলেন, তার বেশি বেশি মুভিদেখার ফল এটা। অরণ্যর বন্ধুদের ধারণা, অরণ্য জাতিস্মর।”
“জাতিস্মর?”
“যারা আগের জন্মের কথা মনে করতে পারে,তারা জাতিস্মর।"
“অরণ্যর বন্ধু অরণ্যকে বেদেদের পল্লীতে নিয়েযায়। জটাধারী এক জ্যোতিষী বাবা অরণ্যর হাত দেখে ও কথা শুনে তাকে ধ্যান করারপরামর্শ দেন। এতে হয়ত অরণ্যর আগের জন্মের কথা পুরোপুরি মনে পড়ে যাবে। আটমাসmeditation করে অরণ্য হাল্কা হাল্কা আঁচ করতে শুরু করল। প্রায় এগার মাস পড়ে সে তারস্বপ্নগুলোর ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে সমর্থ হল। ১৫২৭সালের দিককার কথা, ও ছিল রাজপুত,নাম ছিল মহারানা সংগ্রাম সিংহ। তাঁর বড় ভাই জয়মল। জয়মল অম্বা এক অপরূপ সুন্দরনর্তকীর অনুরক্ত ছিলেন। জয়মল অম্বাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়েও বিয়ে করছিলেন না। অম্বারপরিবার বিষপ্রয়োগে জয়মলকে মেরে ফেলল। তখন সিংহাসনে বসেন মহারানা সিংহ। ইতিহাসের বইঘেঁটে অনেক তথ্য বের করতে সক্ষম হয় অরণ্য। মেডিটেশনের জন্য নতুন ভিশন দেখেস্বপ্নে। জয়মলের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে যায় মহারানা সিংহ। কিন্তু অম্বার সামনেগিয়ে হতবিহ্বল হয়ে যান মহারানা সিংহ। ধরণীর সব রূপ যেন অম্বায় এসে মিলিত হয়েছে। তরবারিরবাট থেকে হাত খসে পড়ে। নিয়মিত যাওয়া আসা শুরু করেন রানা সিংহ। রানী কর্ণবতী জানতেপারার পর অনেক চেষ্টা করেন রানা সিংহকে আটকাতে, রানা সিংহের পা জড়িয়ে ধরেন,প্রার্থনা করেন, কাঁদেন। কর্ণবতীর কোন কথাতেই কর্ণপাত করলেন না রানা সিংহ। অম্বাররূপের মোহে মত্ত তিনি। ঐদিকে সম্রাট বাবরের নজর পড়ে চিতোর ও মেওয়াতে। টনক নড়তে দেরী হয় রানা সিংহের। যুদ্ধে যাওয়ার আগে শেষ বারের মত দেখা করতে যানঅম্বার সাথে, কর্ণবতী আবারো বাধা দেন। তখন রানা সিংহজানালেন যে, যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে তিনি অম্বাকে বিবাহ করবেন। অম্বার সাথে দেখা করতেগিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন, বেশি করেই মদ্যপান করেন ঐদিন। ভোর রাত্রে প্রাসাদেগিয়ে যুদ্ধের পোশাক পড়ে যুদ্ধক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে সৈন্য নিয়ে বের হলেন। রাজপ্রাসাদথেকে কর্ণবতী দেখতে লাগলেন, প্রার্থনা করতে লাগলেন ঈশ্বরের কাছে। যুদ্ধক্ষেত্রেশত্রুপক্ষের আক্রমণ থেকে বুঝতে পারলেন, রানা সিংহের যুদ্ধ পরিকল্পনা সম্পর্কে জেনেগেছে শত্রুপক্ষ। মনে মনে বললেন, “কেন? অম্বা কেন? আমি তো তোমাকে জ্যাষ্ঠ ভ্রাতারমত প্রতারণা করতাম না।” নেশার ঘোরে থাকাকালীন সময়ে যুদ্ধের পরিকল্পনা বারবার জানতেচাইছিল অম্বা। কর্ণবতীর নিষ্পাপ চেহারাটা ভেসে উঠলো চোখের সামনে। ইতিহাস অনুসারে,যুদ্ধে মারা যান রানা সিংহ। রানা সিংহের মৃত্যু সংবাদ শুনে রানী কান্নায় ফেটেপড়েন। কিন্তু শিশু রাজপুত্রকে সামনে রেখে রাজ্য পরিচালনা করতে থাকেন। আবারআক্রান্ত হয় চিতোর, এবার আক্রমণ করেন গুজরাটের বাহাদুর শাহ্। রানী বাবরপুত্রহুমায়ুনকে ‘ভাই’ সম্বোধন করে ‘রাখী’ পাঠান সাহায্যের আবেদন করে। কিন্তু হুমায়ুনদেরী করে ফেলেন। পরাজয় নিশ্চিত। রাজপ্রাসাদে শত্রুপক্ষ ঢুকে পড়বে। রাজপুত রমণীদেরকাছে সম্ভ্রমহানি থেকে মৃত্যু শ্রেয়। রানা সিংহকে স্মরণ করে অন্তরপুরের সকলরমণীদের নিয়ে ‘জোহর’ করলেন, ঝাঁপ দিলেন আগুন। ৮ মার্চ, ১৫৩৫সাল, উপমহাদেশেরইতিহাসে, পৃথিবীর ইতিহাসে ২য় জোহর। অরণ্যর পুনর্জন্মের সবকথা মনে পড়ে গেল।কর্ণবতীর সাথে অন্যায় করেছে সে। এই জন্মে সে কর্ণবতীকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেবে সে।কিন্তু কর্ণবতীকে কিভাবে খুঁজে বের করবে ও? জন্মান্তরে দেহ বদল হয়। কিভাবে চিনবেওর কর্ণবতীকে? রূপের মোহে অন্ধ রানা সিংহ ভালবাসার অনুভুতিকে অবজ্ঞা করেছিল।জ্যোতিষীর কাছে গেল অরণ্য। জ্যোতিষী বললেন, অপেক্ষা ছাড়া কিছুই করার নেই।
দু’বছর পর। অরণ্য একটা কাজে দূরেযাচ্ছিলো। রাস্তায় এক ভয়াবহ সুন্দরী মেয়ে লিফট চাইল। মেয়েটির কথা কোনমতেই ভুলতেপারছিল না। চেনা চেনা লাগছিল খুব। পুরাতন নায়িকাদের মত করে টেনে কাজল দেয়া চোখে।অরণ্যর মনে হল- এই মেয়েটি কি অম্বা? হয়ত এই জন্মেও অম্বার মত কেউ ওকে বিভ্রান্তকরতে চাইছে। সেই ‘কেউ’ই এই মেয়েটি। মেয়েটির নাম মন্ময়ী। কেন জানি অরণ্যর মনে হতে লাগলো,ওর মন জুড়ে মেয়েটি অবস্থান করছে। অরণ্য আবার রাজপুতদের ইতিহাস নিয়ে ঘাটতে লাগলো।অনেকগুলো বই কিনল, ঘাটতে ঘাটতেই ঘুমিয়ে পড়ল বইএর উপরে। রানী কর্ণবতীর পিছনে ছুটছেঅরণ্য মরুভুমির উপর দিয়ে, চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলছে, ‘প্লিজ, থামো’। রানী দৌড়াচ্ছে না, হাঁটছে, আর অরণ্য দৌড়াচ্ছে, তাও ধরতে পারছে না। ভীষণ তেষ্টা পেয়েছে ওর, বালুরউপর উপর হয়ে বসে পড়ল। কর্ণবতী ঘুরে দাঁড়ালো, জলের ঘটি এগিয়ে ধরল। হাত দিয়ে জল খেতেখেতে তাকিয়ে দেখতে লাগলো কর্ণবতীকে। কর্ণবতীর চোখের দিকে তাকিয়ে ভীষণ অবাক হল,কিছু একটা খুবই পরিচিত লাগলো। অরণ্যর ঘুম ভেঙ্গে গেল। মন্ময়ীর কাজল দেয়ার ধরনটাএকদম কর্ণবতীর মত। পুনর্জন্মের থিওরি অনুসারে, আগের জন্মের কিছু ছাপ নিয়ে আসেমানুষ। মন্ময়ী কি তাহলে কর্ণবতী? হয়ত অম্বার থেকে রূপসী হবার আকাঙ্ক্ষা জন্মছিলকর্ণবতীর, সেজন্যই হয়ত এতো সুন্দর মন্ময়ী। মন্ময়ীকে খুঁজে পেতে অসুবিধে হল নাঅরণ্যর। কিন্তু মন্ময়ী কি বিশ্বাস করবে? আজগুবি বলে উড়িয়ে দেবে না তো? মন্ময়ীরসাথে দেখা করল, বন্ধুত্ব করল। একদিন জানতে চাইল, মন্ময়ী পুনর্জন্মে বিশ্বাস করেকিনা। মন্ময়ী বলল যে সে করে। সে নাকি প্রায়ই স্বপ্ন দেখে, সে আগুনে ঝাঁপ দিচ্ছে।মন্ময়ীর স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে থাকে অরণ্য। মন্ময়ী বিকট শব্দে হেসে উঠে। বলে,“আমি যে সুন্দর সেটা জানি। আপনি যে আমার প্রেমে আমার প্রেমে পড়বেন সেটাও জানতামপ্রথম দিন থেকেই। কিন্তু এমন অবাস্তব গল্প ফাঁদবেন- ভাবতেই পারছি না। আপনি ফার্মেরকাজ ছেড়ে রূপকথার গল্প লিখুন। অনেক টাকা কামাবেন, বিশ্বাস করুন, নিজের প্রতিভাকেএভাবে নষ্ট করবেন না।”
“আপনি যে জোহরের স্বপ্ন দেখেন- সেটা তাহলেকি?”
“Nightmare, because of stress, I guess.আপনাকে একটা পরামর্শ দেই। একজন ভালো সাইক্রিয়াট্রিস্ট দেখান। আপনার প্রব্লেম সল্ভহয়ে যাবে।”
অরণ্য নানাভাবে ব্যাখ্যা করতে চাইলমন্ময়ীর কাছে। মন্ময়ী বিরক্ত হয়ে বলল, “আগের জন্মেও সুন্দরের পিছু ছুটেছেন, এজন্মেও ছুটছেন। আপনার তো দেখছি- মুক্তির কোন সম্ভাবনাই নেই। আচ্ছা, ওটা ছিল ১৫০০সাল, এখন ২০১৪। মাঝখানের ৫০০ বছরের মধ্যে আমি আপনি কেউই কি জন্মায়নি?”
অরণ্য বুঝতে পারল, পুনর্জন্মের এসব বলেকোন লাভ হবে না। মন্ময়ীকে মন দিয়ে জয় করতে হবে। কিন্তু মন্ময়ীর মন জয়ের রেসেকম্পিটিটরের অভাব নেই। অরণ্যর মত অজস্র গুণগ্রাহী আছে। বন্ধু হিসেবে পাশে থাকারসিদ্ধান্ত নিল অরণ্য। অসংখ্য বিয়ের প্রস্তাব যেত মন্ময়ীর জন্য, মন্ময়ী সব ফিরিয়ে দিত। অরণ্য প্রস্তাব পাঠানোরসাহসও করতে পারে না। মন্ময়ীর কাছে অরণ্য জানতে চায় সে কাউকে বিয়ে করছে না কেন।মন্ময়ী বলে, সে তার Mr. Perfect এর জন্য অপেক্ষা করছে, এমন একজন যে তাকে সবকিছুথেকে রক্ষা করে যাবে। অরণ্য মন্ময়ীকে বুঝতে পারে না। বলল, “কিভাবে খুঁজে পাবে সেই একজনকে?আর এটাই বা কিভাবে সিওর হচ্ছ যে যাদের রিজেক্ট করেছ তারা কেউ তোমায় রক্ষা করতেপারবেনা?”
“কিভাবে বুঝেছি-সেটা জানি না। তবে জানি,পারবে না।”
মন্ময়ীর এক কলিগ সবসময় মন্ময়ীর আশপাশ দিয়েঘুরঘুর করে। এমনকি মন্ময়ীর সাথে অরণ্য কথা বলার সময়েও। মন্ময়ী ভীষণ বিরক্ত ঐকলিগের উপরে, লোকটির নাম তপু। মন্ময়ীকে অরণ্য বলল, “কমপ্লেন করো না কেন এই লোকেরagainstএ?”
“কোন ক্ষতি তো করেনি। কি কমপ্লেন করবো?”
“মানে?”
“আড়ি পেতে কথা শুনলেও আমার কোন কথা বাইরেপাস করে নি। তাছাড়া ডিস্টার্ব বলতে আশেপাশে ঘুরঘুর ছাড়া তো কিছুই করে না।”
বেশকিছুদিন পরেই হুট করেই মন্ময়ী তপুকেবিয়ে করে ফেলল। বিয়ের কার্ড পেয়ে অরণ্য হতভম্ব হয়ে গেছিল, হা করে তাকিয়েছিলমন্ময়ীর দিকে।
মন্ময়ী মৃদু হেসে বলে, “অনেক অবাক হলে মনেহচ্ছে?”
“হুম।”
“তোমাকে বলেছিলাম না যে আমাকে সবসময় রক্ষাকরবে তাকে বিয়ে করবো।”
“কিভাবে বুঝলে যে ও তোমাকে রক্ষা করতেপারবে?”
“অফিসের লিফট নষ্ট ছিল। সিঁড়ি দিয়েনামছিলাম। As usual high heel পরা ছিলাম, হোঁচট খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলাম, পেছনে সাপোর্টফিল করলাম। ভালমত দাঁড়িয়ে পিছন ফিরে দেখি তপুকে। ওর মোটা চশমার মধ্য দিয়ে চোখেরদিকে তাকালাম। মনে হল, ওর চোখদুটি অনন্তকাল ধরে আমাকে পাহারা দিয়ে যাচ্ছে।”
অরণ্য ভীষণ depressed হয়ে গেল। ভাবল, এ জন্মেও সে কর্ণবতীকে হারালো। মন্ময়ীকে ভুলতে পারছেনা কোনমতে। অরণ্য পাগল হয়ে যায়। ওকে mental hospitalএ ভর্তি করা হয়।অরণ্যর গল্প এখানে শেষ। কিন্তু সিনেমা এখানে শেষ নয়, শেষ অংশে থাকবে টুইস্ট। ফিরেযাব ১৫২৭সালের ১৭ মার্চে। রানা সিংহের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে রানী কর্ণবতী আত্মহননেরসিদ্ধান্ত নেন। ঐদিন রাতেই রাজপ্রাসাদের ছাদে যান উপর থেকে লাফ দেবেন বলে। পেছনথেকে রানীকে ধরে বসবে রানীর দেহরক্ষী উত্তম সিংহ। রানীকে রক্ষা করে আসছিলেনবংশানুক্রমে। উত্তম সিংহ বলেন, “আমাকে মার্জনা করুন, মহারানী। রাজপুত্র এখনোপ্রাপ্তবয়স্ক নন, রাজ্য তো আপনাকেই পরিচালনা করতে হবে।”
১৫৩৫ সালের মার্চ। রানী অন্তরপুরের সকলরমণীদের নিয়ে জোহরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। দেহরক্ষী উত্তম সিংহ এসে রানীকেবলেন, “আমি প্রাসাদের বাইরে যাচ্ছি। সূর্য অস্তমিত হবার পূর্ব পর্যন্ত ‘জোহর’ নাকরার জন্য অনুরোধ করছি। সূর্য অস্তমিত হবার পূর্বে আমার সংবাদ না পাওয়া পর্যন্তঅপেক্ষা করবেন। আমি বেঁচে থাকতে আপনার কিছু হতে দেব না। বংশ পরম্পরায় আপনাকে রক্ষাকরা আমার দায়িত্ব।” কেমন লাগলো?”
শাওন বলল, “ভিন্ন ধরনের। তবে পুরোটা কিঐতিহাসিক?”
“ইতিহাসের সাথে অনেকটাই কল্পনা মেশানো।”
শাওন স্ক্রিপ্টের কাজ শুরু করার জন্য বসল।ফোন বেজে উঠলো। মিহি সুরে কেউ বলল, “হ্যালো, কি করছো?”
“কাজ।”
“নতুন ফিল্মের জন্য?”
“হুম”
“নাম কি?”
“এখনো ঠিক হয় নি। পুনর্জন্মের উপর। অপুস্যারের নিজের দেয়া প্লট। প্লট শুনে খুব অদ্ভুত লাগলো। পুনর্জন্মের কথা মানি না,বিশ্বাসও করি না। তবে কর্মফল মানুষকে ভোগ করতেই হয়।”
“হুম”
“স্যার একটি মেয়েকে খুব ভালবাসতেন।মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে।”
“মেয়েটি এমন করল কেন?”
“দোষ স্যারের। মেয়েটিও স্যারকে ভীষণভালোবাসতো, কিন্তু স্যারের নিজের অনুভূতির রিয়েলাইজেশন হয়েছে দেরীতে। এখন কর্মফলভোগ করছেন।”
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫১