“হ্যালো,
‘৯৯৯’
আমার একটি ‘অভাবী ঘুম’ পালিয়েছে কিছুক্ষণ আগে।
এতো রাতে খুঁজতে পারবেন না!!
আশ্চর্য!!!
শহরের রাতের পুলিশ কি করে!!,
হারিয়ে যাওয়া ঘুম- খুন হওয়ার চেয়েও বড় খুন।
আমাকেই খুঁজে নিতে হবে!!
শুনুন দয়া করে ফোন রাখবেন না,
‘অভাবী ঘুম’ রাতেই খুঁজতে হয়,
রেখে দিলেন!”
অনেকদিন হলো-
শুধু পোষ মানাবো বলে,
একটি ‘অভাবী ঘুম’ শিকলে বেঁধে রেখেছিলাম মানিব্যাগের গোপন ভাঁজে।
রাতেই হলেই তাকে শিকলে আটকে রাখতাম দু’চোখের ছায়ায়।
সেই ‘অভাবী ঘুম’ সারারাত ঝুলতে থাকতো
আমার দু’চোখের বিকারগ্র্রস্ত ছায়ায়।
তারপর এক ঘোরগ্রস্ত রাতে,
একটি অন্ধ পেঁচা যখন বুক ছিঁড়েফেড়ে উড়তে লাগলো,
আমার দু’চোখের ছায়াও মরতে লাগলো সেই
অন্ধ পেঁচার ডানার দাবড়ানিতে।
ঠিক তখনই সুযোগ বুঝে পালালো আমার ‘অভাবী ঘুম’।
আমার ‘অভাবী ঘুম’ এই শহরেই লুকিয়ে ছিলো।
ঘোরলাগা চোখ নিয়ে সে রাতেই পুরো শহর উকিঝুকি দিলাম।
কোথাও যখন পেলাম না,
তখন কেনো যে বারবার মনে হচ্ছিলো-
“অভাবী ঈশ্বর বোধহয় ঘুমোচ্ছে আমার অভাবী ঘুম চুরি করে”।
একসময় পেয়ে যাই তাকে।
এক ঘুমন্ত বাড়ীর দোতালার জানালায় উকি মারছিলো সে।
চোরের মতো আমিও দেয়াল টপকে উঠে আসি দোতালার জানালায়।
‘অভাবী ঘুমের’ কাঁধে হাত রেখে আমিও চোখ রাখি জানালায়।
সেই বাড়ীর বিছানায় পড়ে আছে তোমারই মরা ঘুম।
আমি জানতাম না
ঘুম মরে গেলে দু’চোখ এতো ভয়ংকর অভাবী দেখায়।
কারন একসময় তোমার দু’চোখে ছিলো আমার দোতলা ‘ঘুম বাড়ী’।
হ্যালো,
হ্যালো,
‘৯৯৯’
আমি পেয়েছি আমার ‘অভাবী ঘুম’।
আপনাদের আর কখনো বিরক্ত করবো না।
সে এখন পাহারা দিচ্ছে একটি ‘মরা ঘুম’।
আপনারা ভাববেন না,
সে একা নয়,
সাথে আছে আমারও দু’চোখের মৃত ছায়া।
———————————————
রশিদ হারুন
২৫/১১/২০১৯