প্রিয় মনোলীনা,
আগেতো কখনোই আমার এমন হতোনা,
এখন কেন যে এমন হয় হয়?
ঘুড়ি উড়াতে গেলেই
হাত কেটে যায়-
মায়াহীন রংগিন ধারালো সুতোয়।
আমার ঘুড়ি এখন দিশাহারা হয়ে
উড়ে আর উড়ে
তোমার মায়াহীন ‘জলে ডুবা’ আকাশে।
আর ঘুড়ির একটি অদৃশ্য ছায়া
ঝরে পড়ে আর পড়ে
আমার বুকে ‘শব্দহীন বিষন্ন’ দ্বীর্ঘশ্বাসে।
ছায়াটি কি খুঁজে ?
হয়তো ‘না দেখা মায়া’!!
মায়া খুঁজতে খুঁজতে
রক্তে মাখামাখি হয়ে যায়,
আর পার করে ফেলে
একটি ‘না দেখা জীবন’।
জানো মনোলীনা!!
এখন ঘুড়িটি আর মাটিতে নামে না।
নামাতে গেলেই প্রতিবারই সুতো ছিড়ে যায়,
আর ডুবে মরে সেই ‘জলে ডুবা’ আকাশে।
মনোলীনা,
এখন তোমার আকাশে
একটি ‘অন্ধ সূর্য্’ ঝুলে আছে।
আর আমি মায়া খুঁজতে
প্রতিদিনি পুড়ছি সেই অন্ধ সূর্যের রোদে।
ইতি
আমি ।
পুনশ্চ-: বাতাসে এখন শুধু আমার বুক পোড়া গন্ধ ভেসে বেড়ায়।তুমি ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রেখো, পোড়া গন্ধে তোমার শরীর আবার খারাপ না হয়ে যায়!!
————————————-
রশিদ হারুন
১২/১১/২০১৯