নাম- পাওয়া যায়নি
বয়স- আনুমানিক ৪৫ থেকে ৫০ এর কাছাকাছি একজন মানুষ।
গভীর রাতে মৃত অবস্হায় পড়েছিলো নির্জন রাস্তায় ।
সেদিন ভরা পূর্ণিমা ছিলো।
ময়না তদন্ত রিপোর্টে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে-
মৃত অবস্হায় লোকটির চোখ খোলা ছিলো,
সেখানে অসংখ্য জোনাকি খেলছিলো,
আর পূর্নিমার চাঁদ উড়ছিলো ইচ্ছেমতো।
ঠোঁটের কোনে বিষন্ন এক সময় ঝুলেছিলো।
বুকের মধ্যে হলুদ জলের একটি গভীর দিঘি ভেসে ছিলো।
সেই দিঘিতে সাঁতার কাটছিলো বিভিন্ন রংয়ের অভিমান।
মাথার ভিতর একটি বৃষ্টি ভেজা আকাশ, কিছু পিচ্ছিল পাহাড়,
আর পাতা ঝরা একটি বিশাল বন পাওয়া গেছে।
বুক পকেটে ছিলো একটি কলম,
হাতে ছিলো একটি সাদা ডায়রী।
মৃত্যুর কারন হিসাবে বলা হয়েছে অতিরিক্ত
অভিমানের বেহিসাবী দাপাদাপিতে বুকের দিঘির হলুদ জল বেড়ে গিয়েছিলো।
সেই জলে ডুবেই মানুষটির মৃত্যূ হয়েছে।
পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে ১০০% নিশ্চিত হয়ে বলা যায়-
“মানুষটি একজন কবি ছিলো,
অভিমান কবিকে হত্যা করেছে”।
———————————————
রশিদ হারুন
২২/১০/২০১৯